বাইম

সাপের মতো দীর্ঘাকার ও প্রায় নলাকার এবং আঁইশবিহীন এই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম Mastacembelus armatus এবং ইংরেজি নাম Tire-track spiny eel এবং Fish Base নাম Zig-zag eel আর বাংলা নাম বাইম, মাব ও সল বাইম। পৃষ্ঠদেশ বাদামী, যার মধ্যে কালো বর্ণের আঁকাবাঁকা দাগ (ব্যান্ড) দেখতে পাওয়া যায়। অঙ্কীয়ভাগ হলুদাভাব বাদামী। মুখ ছোট আর উভয় চোয়ালে তীক্ষ্ণ দাঁত দেখতে পাওয়া যায়।

পৃষ্ঠপাখনার প্রথম ৩২-৪০টি পাখনারশ্মি কাঁটায় রুপান্তরিত হয়েছে যা মাথার পর থেকে শুরু করে দেহের অর্ধেকেরও পর পর্যন্ত বিস্তৃত। অবশিষ্ট পাখারশ্মির গোড়ায় এক সারি কালো বৃত্তাকার দাগ দেখতে পাওয়া যায়। বক্ষ ও পুচ্ছ পাখনায় যথাক্রমে ২১-২৭ ও ১৪-১৭টি পাখনারশ্মি বর্তমান। পায়ুপাখনার প্রথম তিনটি পাখনারশ্মি কাঁটায় রুপান্তরিত হয়েছে অবশিষ্ট পাখনারশ্মির সংখ্যা ৬৪-৯০টি। শ্রোণী পাখনা অনুপস্থিত। পৃষ্ঠ ও পায়ু পাখনা পুচ্ছপাখনার সাথে সংযুক্ত।

বাইম

স্বাদে ব্যতিক্রম হওয়ায় অনেকের প্রিয় মাছের তালিকায় এই মাছের নাম রয়েছে। গরমের শুরুতে বেশিমাত্রায় ধরা পড়ে। চাষ করা হয় না। মাছ চাষের জলাশয়ে একে অনাকাংঙ্খিত মাছ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়।

স্বাদুপানি ও মোহনা জলের জলাশয় যেমন- নদী, খাল, বিল, পুকুর ও প্লাবনভূমিতে বাস করে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপাল, মায়ানমার, থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ চিনে দেখতে পাওয়া যায়।

তথ্যসূত্রঃ
শফি, মো. এবং কুদ্দুস, মি. মু. আ.; ১৯৮২। বাংলাদেশের মাৎস্য সম্পদ। ১ম সংস্করণ। বাংলা একাডেমী, ঢাকা, বাংলাদেশ। মো. পৃ. xii+৪৪৪।

Rahman, A K M; 2005. Freshwater Fishes of Bangladesh, 2nd Edition. Zoological Society of Bangladesh, Department of Zoology, University of Dhaka, Dhaka, Bangladesh, XVIII+394 pp.

Talwar, P.K. and A.G. Jhingran; 1991. Inland Fishes of India and Adjacent Countries. Oxford and IBH Publishing Co. Pvt. Ltd., New Delhi, India. LIV + 1158 pp.

www.fishbase.org


Visited 4,559 times, 1 visits today | Have any fisheries relevant question?
বাইম

Visitors' Opinion

এ বি এম মহসিন

প্রফেসর, ফিশারীজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী-৬২০৫, বাংলাদেশ। বিস্তারিত ...

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.