পদ্মার বিপন্নপ্রায় শুশুকের সাথে এই আচরন এনিমেল এথিক্স এর পরিপন্থী
পদ্মার বিপন্নপ্রায় শুশুকের সাথে এই আচরন এনিমেল এথিক্স এর পরিপন্থী

গত ২১ আগষ্ট ২০১০ তারিখে পদ্মার গোদাগাড়ী পয়েন্ট থেকে জেলেরা একটি শুশুক ধরার পর এভাবে ঠোট ও লেজ বেঁধে বিক্রির জন্য আড়তে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে জীবন্ত এই শুশুকটি ১৬৫০.০০ টাকায় বিক্রি হয়।

অনুসন্ধানে জানা যায় পদ্মায় জেলেদের মাছ ধরার উদ্দেশ্যে ফেলা জালে অনেকসময় শুশুক জড়িয়ে যেয়ে আটকে যায়। শুশুকের ভাল বাজারমূল্য থাকায় জেলেরা সেই শুশুক নদীতে ছেড়ে না দিয়ে আড়তে নিয়ে আসে। শুশুকের মাংসের তেমন কোন চাহিদা না থাকলেও এর তেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে কবিরাজ ও মৎস্য শিকারীদের কাছে। এছাড়াও কবিরাজরা এই তেল ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করে এবং মৎস্য শিকারীরা এই তেল চার (Bait) তৈরিতে ব্যবহার করে থাকে।

গতকাল রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মহিষালবাড়ি মৎস্য আড়ত থেকে শিশিরের তোলা ভিডিও চিত্র দেখার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারীজ বিভাগের শিক্ষক এবিএম মহসিন মন্তব্য করেন “পদ্মার বিপন্নপ্রায় শুশুকের সাথে এই আচরন এ্যনিমেল এথিক্স এর পরিপন্থী”।

ভিডিওচিত্র দুটি সরাসরি ইউটিউবে দেখা যাবে এখানে এবং এখানে

ভিডিও চিত্রের চিত্রগ্রাহক শিশির তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন এভাবে-
জীবন্ত শুশুকটি এমন নির্মমভাবে বেঁধে রাখায় আমার ইচ্ছে করছিল শুশুকটি কিনে নিয়ে পদ্মায় ছেড়ে দিয়ে আসি। কিন্ত আহত ও দীর্ঘক্ষণ পীড়নের কারণে এটি আর নদীর মুক্ত পরিবেশে টিকে থাকার সম্ভাবনা খুব কম বিধায় আবার তা জেলেদের জালে আটকা পড়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকায় সে ইচ্ছের সেখানেই ইতি টানতে হল।

কৃতজ্ঞতাঃ
শিশিরকে, যিনি ভিডিও দুটি প্রকাশের অনুমতি দিয়ে সহায়তা করেছেন।


Visited 557 times, 1 visits today | Have any fisheries relevant question?
বিপন্ন পদ্মার বিপন্ন শুশুক নিধন চলছে এভাবেই

Visitors' Opinion

রফিক উদ্দিন আহমেদ

সিনিয়র কম্পিউটার অপারেটর, ফিশারীজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। বিস্তারিত

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.