মাছের আবাসস্থল ও প্রজননক্ষেত্র সংরক্ষণ: মৎস্য জীববৈচিত্র্য রক্ষার অন্যতম উপায়

বাংলাদেশে দ্রুতগতিতে মৎস্য জীববৈচিত্র্য হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে মৎস্যবিজ্ঞানীদের মধ্যে আজ আর কোন দ্বিমত নেই। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই মৎস্য জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বর্তমানে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হলেও তার মূল সুরটিই হচ্ছে দেশীয় মাছের আবাসস্থল ও প্রজননক্ষেত্র সংরক্ষণ। কিন্তু বিষয়টি উপস্থাপন

প্লাবনভূমিতে মাছ চাষ: দেশীয় মৎস্য জীববৈচিত্র্যের কফিনে ঠোকা শেষ পেরেক

যে ভূমি বছরে ৩-৪ মাস বন্যার প্লাবিত জলে ডুবে থাকে সে ভূমিকে সাধারণভাবে প্লাবনভূমি বলা হয়ে থাকে। হিমালয়ের ভাটিতে অবস্থিত এই সমতল ভূমির এটিই স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য যে প্রতি বর্ষায় উজানের বন্যার পানি ভাটির উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়ে।

বাংলাদেশের বিদেশী মাছ: ফ্যান্টম টেট্রা

ফ্যান্টম টেট্রা মাছটি ব্ল্যাক ফ্যান্টম টেট্রা নামেও পরিচিত। মাছটির বৈজ্ঞানীক নাম Hyphessobrycon megalopterus । ফ্যান্টম টেট্রা মাছটি থাইল্যাণ্ড ও সিঙ্গাপুর হতে একুরিয়াম মাছ আমদানীকারকদের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করে (Galib and Mohsin, 2010 and 2011)। এদের আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকা (Wikipedia,

বাংলাদেশের বিদেশী মাছ: ব্ল্যাক কার্প/স্নেইল কার্প

ব্ল্যাক কার্প মাছটি ১৯৮৩ সালে চীন হতে মৎস্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনা হয় (Rahman, 2007; Khaleque, 2002; Galib and Mohsin, 2011)। এর বৈজ্ঞানিক নাম Mylopharyngodon piceus । এটি স্নেইল কার্প নামেও পরিচিত (Galib and Mohsin, 2011)। বাংলাদেশে এই মাছটি মূলতঃ

বাংলাদেশের মৎস্য বৈচিত্র্য হ্রাসের কারণ

বর্তমানে বিল, হ্রদ, হাওড়, প্লাবনভূমি ও নদীর মত উন্মুক্ত জলাশয়ে দেশী মাছের প্রজাতির সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকলেও বিদেশী প্রজাতির সংখ্যা বিপদজনক ভাবে দ্রুত বাড়ছে যা দেশের মৎস্য বৈচিত্র্যের জন্য মোটেও কোন আশাপ্রদ খবর নয়। সময় নষ্ট না করে এখনই প্রয়োজন

বাংলাদেশের মৎস্য বৈচিত্র্য: অতীত ও বর্তমান

মাছে-ভাতে বাঙ্গালীর এই দেশে মাছ দেশীয় সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যেরই অংশ। বাংলাদেশের জলাশয়ে পানি আছে আর মাছ নেই এমনটি নিকট অতীতে যেমন কেউ দেখেনি তেমনই বর্তমানেও কেউ ভাবে না। কিন্তু এর ভবিষ্যৎ নিয়ে মৎস্য জীববৈচিত্র্য বিশেষজ্ঞরা বর্তমানে শঙ্কিত। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থেকে