গত ২৯ মার্চ, ২০১০ তারিখে রাজশাহীর চেম্বার অব কমার্স ও ইণ্ডাষ্ট্রিস এর সম্মেলন কক্ষে সম্পন্ন হলো বাংলাদেশের মৌসুমী প্লাবনভূমিতে সমাজভিত্তিক মাছ চাষ এর চূড়ান্ত কর্মশালা।
বাংলাদেশের মৌসুমী প্লাবনভূমিতে সমাজভিত্তিক মাছ চাষ (Community Based Fish Culture in Seasonal Floodplains in Bangladesh) একটি এ্যাকশন রিচার্স প্রকল্প যা ওয়ার্ল্ডফিশ সেন্টর (বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া অফিস), বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা কাউন্সিল ও মৎস্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে ২০০৫ সালের মার্চ হতে শুরু হয়ে ২০১০ সালের মার্চে শেষ হয়। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশের বিভিন্ন মৌসুমী প্লাবণভূমিতে সমাজভিত্তিক মাছচাষের গবেষণার উপর ভিত্তি করে প্রযুক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ফ্রেমওয়ার্ক তৈরী করা।
উক্ত কর্মশালায় প্রকল্পের সুফলভোগী ও ফিশারীজ এর সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ/প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালার শুরুতে পবিত্র কুরআন ও গীতা পাঠের পর স্বাগত বক্তব্য পাঠ করেন জনাব ইসরাইল গোলদার (জেলা মৎস্য কর্মকতা, রাজশাহী)। এর পর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. বিনয় কুমার বর্মন, রিচার্স কোওর্ডিনেটর, ওয়ার্ল্ডফিশ সেন্টার (বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া অফিস)। অতঃপর প্রকল্প নেতা ড. নাতাশা শরীফ তার বক্তব্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রকল্পের কার্যক্রম তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জনাব উইলিয়াম জে. কলিস (পরিচালক, ওয়ার্ল্ডফিশ সেন্টার, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া অফিস) তার বক্তব্যে বাংলাদেশের এলাকাভিত্তিক জলজসম্পদের পার্থক্যের বিষয়টি উল্লেখ করেন যার সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিও গুরুত্ব পায়। কর্মশালার প্রথম পর্বের শেষে জনাব আবু বকর সিদ্দিক, উপ পরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর, রাজশাহী বিভাগ, তার বক্তব্য প্রদান করেন।
কর্মশালার দ্বিতীয় পর্বে (টেকনিক্যাল সেশন) সভাপতিত্ত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারীজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সভাপতি ড. মোহা. আখতার হোসেন। এই পর্বে প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গবেষকবৃন্দ তাদের গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন।
প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশেষ অবদানের জন্য অনুষ্ঠানের শেষে জেলা মৎস্য কর্মকতা জনাব ইসরাইল গোলদার ও মোহনপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকতা জনাব মোঃ সাইদুর রহমানকে ওয়ার্ল্ডফিশ সেন্টার এর কর্মকর্তাবৃন্দ পুরস্কার প্রদান করেন।
Visited 243 times, 1 visits today | Have any fisheries relevant question?