পুঁইয়া, Burmese loach, Lepidocephalichthys berdmorei
পুঁইয়া, Burmese loach, Lepidocephalichthys berdmorei

শ্রেণীতাত্ত্বিক অবস্থান (Systematic position)
পর্ব: Chordata
শ্রেণী: Actinopterygii (Ray-finned fishes)
বর্গ: Cypriniformes (Craps)
পরিবার: Cobitidae (Loaches)
উপপরিবার: Cobitinae
গণ: Lepidocephalichthys
প্রজাতি: L. berdmorei

নামতত্ত্ব (Etymology)
Lepidocephalichthys শব্দটি গঠিত হয়েছে গ্রিক শব্দ lepas যার অর্থ নাছোড়বান্দা (limpet) এবং গ্রিক শব্দ ichtys অর্থ মাছ (fish) এর সমন্বয়ে (Fishbase, 2015)

সমনাম (Synonyms)
Acanthopis berdmorei Blyth, 1860 !
Acanthopsis berdmorei Blyth, 1860
Cobitis berdmorei (Blyth, 1860)
Lepidocephalus berdmorei (Blyth, 1860)
Lepidocephalichthys bredmori (Blyth, 1860) !
Lepidocephalus cataractus Fowler, 1939
Lepidocephalus guntea birmanicus (non Rendahl, 1948)
[Note: ! – Marks misspellings of the species names that must not be used.]

সাধারণ নাম (Common name)
বাংলা: পুঁইয়া, বার্মিজ পুঁইয়া
English: Burmese loach, Pepper Loach, Giant Pepper Loach

ভৌগলিক বিস্তৃতি (Geographical Distribution)
বাংলাদেশ (Rahman, 1989 and 2005); ভারতের মনিপুর এবং মায়ানমারে (Talwar and jhingran, 1991) এদের দেখা মেলে।
Dahanukar (2010) অনুসারের এই মাছ বাংলাদেশ, চিন, ভারত (মনিপুর), লাওস, মালয়েশিয়া, মায়ানমার ও থাইল্যান্ডে পাওয়া যায়।

সংরক্ষণ অবস্থা (Conservation status)
IUCN Bangladesh (2000) অনুসারে বাংলাদেশে এই মাছের সংরক্ষণ বিষয়ে তথ্য ঘাটতি (Data deficient, DD) রয়েছে।
Dahanukar (2010) অনুসারে এই প্রজাতির বৈশ্বিক সংরক্ষণ অবস্থা Least Concern (LC) অর্থাৎ এই মাছ প্রকৃতিতে বিস্তৃত পরিসরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়।

পুঁইয়া, Burmese loach, Lepidocephalichthys berdmorei
পুঁইয়া, Burmese loach, Lepidocephalichthys berdmorei

বাহ্যিক অঙ্গসংস্থান (External Morphology)
লম্বা দেহ পার্শ্বীয়ভাবে চাপা। দেহের অগ্রভাগের চেয়ে পশ্চাৎভাগ পার্শ্বীয়ভাবে অধিক চাপা হয়ে থাকে। মুখ ছোট, নিম্নমুখী ও পুরু ঠোঁট বিশিষ্ট। তুণ্ড নিচের দিকে বাঁকানো । এদের মোট তিনজোড়া স্পর্শী উপস্থিত যার প্রতিজোড়া চঞ্চু, উপরের চোয়াল ও নিচের চোয়ালে অবস্থিত। নিচের চোয়ালে ত্বকীয় ঝালর (flap) দুটি বা চারটি স্পর্শীর মত অভিক্ষেপণ উৎপন্ন করে থাকে। Islam (2009) অনুসারে এই মাছের চোখ মাথার উপরের দিকে মধ্যভাগে অবস্থিত। অক্ষিকোটরের নিচে একটি দ্বিবিভক্ত কাঁটা উপস্থিত।
এদের অতি ক্ষুদ্রাকার আঁইশ সারা দেহেই স্তরে স্তরে সজ্জিত থাকে। পৃষ্ঠপাখনা শ্রোণীপাখনার গোঁড়ার পেছনে পৃষ্ঠদেশে উৎপন্ন হয় যা তুলনামূলকভাবে পুচ্ছপাখনার নিকটে অবস্থিত। পুচ্ছ পাখনায় ৪-৭টি কালো বর্ণের ডোরা উপস্থিত।
দেহের বর্ণ লালচে-হলুদ এবং পার্শ্বদেশে উপবৃত্তাকার বারটি বাদামী-কালো দাগ উপস্থিত (Talwar and Jhingran, 1991)। . এদের পৃষ্ঠপাখনা ও পুচ্ছপাখনা দাগ যুক্ত এবং জোড় পাখনার কেন্দ্রস্থল কাল বর্ণের ।

পাখনা সূত্র (Fin formula)
D. 9 (2/7); P1. 8; P2. 6; A. 7 (2/5) (Rahman, 1989 and 2005)
D ii-iii 6; A ii 5-6; P i 7-9; V i 6-7 (Talwar and Jhingran, 1991)

সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য (Maximum length)
বাংলাদেশে এই মাছের নথিভুক্ত সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ৪.৫ সেমি (Rahman, 1989 and 2005)। অন্যদিকে Fishbase (2015) অনুসারে এদের সর্বোচ্চ আদর্শ দৈর্ঘ্য ৮ সেমি। Islam (2009) অনুসারে ভারতে নথিভুক্ত সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ৮ সেমি।

আবাস্থল (Habitat)
এরা মাঝারী স্রোত ও নুড়ি বিশিষ্ট বিশিষ্ট পাহাড়ি ঝর্ণায় বাস করে। এছাড়াও এদেরকে স্বচ্ছ এবং দ্রুতগতির প্রবহমান ঝর্ণা এবং বালু ও পাথুরে তলদেশ বিশিষ্ট হ্রদে পাওয়া যায় (Rahman, 2005)। সিলেট জেলার প্রাকৃতিকভাবে গঠিত অবনমিত অঞ্চলে এদের পাওয়া যায় (Rahman, 1989 and 2005)।

খাদ্য এবং খাদ্যাভ্যাস (Food and feeding habit)
Seriouslyfish (2015) অনুসারে প্রকৃতিতে এরা আণুবীক্ষণিক শিকারি প্রাণী খেয়ে থাকে যেমন পতঙ্গ ও এজাতীয় প্রাণীর শূককীট (larvae)।

বাস্তুতাত্ত্বিক ভূমিকা (Ecological Role)
Islam (2009) অনুসারে এই মাছ জলাশয়ের তলদেশ থেকে পচা ও গলিত খাবার খেয়ে পানি পরিষ্কার রাখতে ভূমিকা রাখে।

প্রজনন (Breeding)
এদের পুরুষদের বক্ষপাখনার পাখনারশ্মি বিশেষভাবে পরিবর্তিত হয়ে ল্যামিয়া সার্কুলারিস (lamina circularis) গঠন করে আর একই বয়সের পরিণত পুরুষদের চেয়ে স্ত্রীরা তুলনামূলকভাবে আকারে বড় হয়ে থাকে এবং স্থূল দেহের অধিকারী হয়ে থাকে (Seriouslyfish, 2015) ।

এখন পর্যন্ত এদেরকে এ্যাকুয়ারিয়ামে প্রজনন করানো সম্ভব হয়নি।

এ্যাকুয়ারিয়াম ব্যবস্থাপনা (Aquarium Management)
Seriouslyfish (2015) অনুসারে এই মাছের জন্য কমপক্ষে ৭৫X৩০ সেমি আকারের এ্যাকুয়ারিয়াম প্রয়োজন। এই মাছের অনুকূল তাপমাত্রা ২০-২৫ ডি.সে., পিএইচ ৬-৮ এবং হার্ডনেস ৩৬-২১৫ পিপিএম। প্রকৃতিতে এরা মূলত আণুবীক্ষণিক প্রাণী শিকারি তবে এ্যাকুয়ারিয়ামে মূলত ডুবন্ত শুকনো খাবার খেয়ে থাকে। এছাড়াও এরা জীবন্ত ও হিমায়িত খাবারও খেয়ে থাকে। যেমন- ডাফনিয়া (Daphnia), আর্টেমিয়া (Artemia) ও ব্লাডওয়ার্ম (bloodworm)।

অন্যদিকে Vancouver (2015) অনুসারে এ্যাকুয়ারিয়ামে এদের অনুকূল তাপমাত্রা ৭৫-৮০ ডি.ফা (২৪-২৭ ডি.সে.), হার্ডনেস ৫-১২ dh এবং পিএইচ ৬.৫-৭.৫। এ্যাকুয়ারিয়ামে এরা সকল ধরণের খাবারই খেয়ে থাকে যেমন- ফ্লেকস (flakes), ডুবন্ত পিলেট (sinking pellets) ইত্যাদি। এছাড়াও এরা হিমায়িত কেঁচো, ব্রাইন শ্রিম্প (brine shrimp), ব্লাডওয়ার্ম (bloodworm) ইত্যাদিও খেয়ে থাকে।

মৎস্য গুরুত্ব (Fishery information)
ভারতের মৎস্য খাতে এদের কোন গুরুত্ব পাওয়া যায় না (Talwar and Jhingran, 1991)। বাংলাদেশে একক প্রজাতি হিসেবে এই মাছের উৎপাদন তথ্য পাওয়া যায়না।
এ্যাকুয়ারিয়ামের বাহারি মাছ হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এর গুরুত্ব রয়েছে।

 

তথ্য সূত্র (References)

  • Blyth E (1860) Report on some fishes received chiefly from the Sitang River and its tributary streams, Tenasserim Provinces. Journal and Proceedings of the Asiatic Society of Bengal 29(2): 138-174.
  • Dahanukar, N. 2010. Lepidocephalichthys berdmorei. The IUCN Red List of Threatened Species. Version 2014.3. Downloaded on 08 January 2015 and from http://www.iucnredlist.org/details/166594/0.
  • Fishbase (2015) Species summary: Lepidocephalichthys berdmorei (Blyth, 1860). Retrieved on 08 January 2015 and from http://www.fishbase.org/summary/Lepidocephalichthys-berdmorei.html
  • Fowler HW (1939) Zoological results of the third De Schauensee Siamese Expedition. Part IX.– Additional fishes obtained in 1936. Proceedings of the Academy of Natural Sciences of Philadelphia 91: 39-76.
  • Islam MA (2009) Lepidocephalus berdmorei (Blyth, 1861). In: Ahmed ZU, Ahmed ATA, Kabir SMH, Ahmed M, Begum ZNT, Hasan MA and Khondker M (eds.). Encyclopedia of Flora and Fauna of Bangladesh, Vol. 23. Freshwater Fishes (In Bangla). Asiatic Society of Bangladesh, Dhaka. pp.126-127.
  • IUCN Bangladesh (2000) Red book of threatened fishes of Bangladesh, IUCN- The world conservation union. xii+116 pp.
  • Rahman AKA (1989) Freshwater Fishes of Bangladesh, 1st edition, Zoological Society of Bangladesh, Department of Zoology, University of Dhaka, Dhaka-1000, pp. 159-160.
  • Rahman AKA (2005) Freshwater Fishes of Bangladesh, 2nd edition, Zoological Society of Bangladesh, Department of Zoology, University of Dhaka, Dhaka-1000, p. 179.
  • Talwar PK and Jhingran AG (1991) Inland Fishes of India and Adjacent Countries, Vol. 1, Oxford & IBH Publishing Co. Pvt. Ltd. New Delhi-Calcutta, p. 523.
  • Seriouslyfish (2015) Species profile: Lepidocephalichthys berdmorei (BLYTH, 1860). Retrieved on 08 January 2015 and from http://www.seriouslyfish.com/species/lepidocephalichthys-berdmorei/
  • Vancouver M (2015) Species Index: Lepidocephalichthys berdmorei, Loaches online. Retrieved on 08 January 2015 and from http://www.loaches.com/species-index/lepidocephalichthys-berdmorei

 

Acknowledgement

  • The great thank goes to the photographer named S Kulabtong (Thailand) of an added image which was uploaded to FishBase previously by him under the following copyright: “Image can be freely copied and altered, as long as original author and source are properly acknowledged”.
  • Also a great thank goes to the photographer named Ratmuangkhwang Sahat (Kasetsart University Research and Development Institute, Thailand) of an inserted image which was contributed to FishBase earlier by him under a Creative Commons Attribution-Noncommercial 3.0 Unported License.

 

English Feature

 


Visited 609 times, 1 visits today | Have any fisheries relevant question?
বাংলাদেশের মাছ: পুঁইয়া, Burmese loach, Lepidocephalichthys berdmorei

Visitors' Opinion

মোঃ নূর-ই-ইসরাক হোসেন

Student; BSc Fisheries (Honours), Department of Fisheries, University of Rajshahi, Rajshahi-6205, Bangladesh.

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.