চিংড়ি চাষ এলাকার উপকৃত জমির উপর অভিকর আরোপকল্পে প্রণীত আইন৷
যেহেতু চিংড়ি চাষ এলাকার উপকৃত জমির উপর অভিকর আরোপ করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-

সংক্ষিপ্ত শিরোনামা ও প্রবর্তন
১৷ (১) এই আইন চিংড়ি চাষ অভিকর আইন, ১৯৯২ নামে অভিহিত হইবে৷

(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখ হইতে এই আইন বলবত্ হইবে৷

সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-

(ক) “অভিকর” অর্থ এই আইনের অধীন প্রদেয় অভিকর;

(খ) “জমির মালিক” অর্থে জমির দখলদারকেও বুঝাইবে;

(গ) “পানি উন্নয়ন বোর্ড” অর্থ Bangladesh Water and Power Development Boards Order, 1972 (P.O No. 59 of 1972) এর অধীন গঠিত Water Development Board; এবং

(ঘ) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি৷

আইনের প্রাধান্য
৩৷ আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধির বিধানাবলী কার্যকর হইবে৷
অভিকর আরোপ
৪৷ (১) সরকার কর্তৃক চিংড়ি চাষ এলাকায় নির্মিত বাঁধ বা খননকৃত খাল বা স্থাপিত পানি নিয়ন্ত্রণ অবয়বের দরুন কোন জমি উপকৃত হইয়াছে, বা উপকৃত হইতে পারে বলিয়া সরকার যদি অভিমত পোষণ করে, তাহা হইলে সরকার উক্ত এলাকায়, অতঃপর প্রজ্ঞাপিত এলাকা বলিয়া উল্লিখিত, প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে উহাতে উল্লিখিত হারে, অভিকর আরোপ করার অভিপ্রায় ঘোষণা করিতে পারিবে:

তবে শর্ত থাকে যে, কোন প্রজ্ঞাপিত এলাকার প্রস্তাবিত অভিকর অন্য কোন প্রজ্ঞাপিত এলাকার অভিকর হইতে বেশী বা কম হইতে পারে৷

(২) প্রজ্ঞাপিত এলাকার কোন জমিতে স্বার্থ আছে এইরূপ কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হওয়ার ত্রিশ দিনের মধ্যে সেই জমি উক্ত উপ-ধারার অধীন ঘোষিত এলাকার অন্তর্ভুক্ত করার বিরুদ্ধে সরকারের উদ্দেশ্যে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত কর্মকর্তার নিকট, লিখিত আপত্তি উত্থাপন করিতে পারিবেন৷

(৩) উপ-ধারা (২) তে উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে প্রাপ্ত আপত্তি বিবেচনা করিয়া সরকার প্রজ্ঞাপন দ্বারা-

(ক) অভিকর আরোপের ঘোষণা প্রত্যাহার করিতে পারিবে, বা

(খ) যে এলাকা সম্পর্কে উপ-ধারা (১)এর অধীন ঘোষণা দেওয়া হইয়াছে সেই এলাকায় বা উহার কোন অংশে অভিকর আরোপ করিতে পারিবে৷

অভিকর নির্ধারণ ও আদায়
৫৷ (১) ধারা ৪(৩)(খ) এর অধীন অভিকর আরোপকারী প্রজ্ঞাপন প্রকাশনার পর, যতশীঘ্র সম্ভব, বিধি দ্বারা নির্ধারিত ব্যক্তি প্রজ্ঞাপিত এলাকার অন্তর্ভুক্ত হইয়াছে এমন সকল জমির অভিকর নির্ধারণ করিবেন৷

(২) অভিকর প্রদানে জমির মালিকের জ্ঞাতার্থে পানি উন্নয়ন বোর্ড উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত অভিকর দেখাইয়া প্রকাশ্যে প্রাথমিক নোটিশ জারী করিবে৷

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন জারীতব্য নোটিশ পানি উন্নয়ন বোর্ড তত্কর্তৃক স্থিরকৃত প্রজ্ঞাপিত এলাকার বিশিষ্ট স্থানে জারী করিবে এবং উক্ত নোটিশে প্রাথমিকভাবে নির্ধারিত অভিকরের পরিমাণের বিরুদ্ধে লিখিত আপত্তি উত্থাপনের সময়সীমা উল্লেখ করিবে৷

(৪) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে প্রাপ্ত আপত্তি বিবেচনার পর পানি উন্নয়ন বোর্ড চূড়ান্তভাবে অভিকর নির্ধারণ করিবে এবং যতদিন পর্যন্ত ধারা ৪(৩) (খ) এর অধীন প্রজ্ঞাপন বলবত্ থাকিবে ততদিন পর্যন্ত উক্তরূপ নির্ধারিত অভিকর প্রদেয় থাকিবে৷

(৫) উক্তরূপ নির্ধারিত অভিকর পরিশোধের জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত ব্যক্তি জমির মালিকের উপর নোটিশ জারী করিয়া নোটিশে উল্লিখিত তারিখের মধ্যে অভিকর পরিশোধ করার নির্দেশ দিবেন৷

(৬) এই ধারার বিধান সাপেক্ষে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত ব্যক্তি দ্বারা এবং পদ্ধতিতে অভিকর আদায় করা হইবে৷

(৭) উপ-ধারা (৫) এর অধীন নোটিশে উল্লিখিত তারিখের মধ্যে অভিকর পরিশোধকারী জমির মালিক সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হারে রিবেট পাওয়ার অধিকারী হইবেন৷

(৮) উপ-ধারা (৫) এর অধীন নোটিশে উল্লিখিত তারিখের মধ্যে যদি কোন জমির মালিক অভিকর পরিশোধ না করেন, তাহা হইলে তাঁহাকে অপরিশোধিত অভিকরের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হারে বাত্সরিক সুদ প্রদান করিতে হইবে৷

অভিকর প্রদানের দায়িত্ব
৬৷ আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইন, রীতিনীতি, প্রথা বা চুক্তিতে যাহাই থাকুক না কেন, প্রজ্ঞাপিত এলাকায় আরোপিত অভিকর সংশ্লিষ্ট জমির মালিক কর্তৃক প্রদেয় হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, যুগ্ম-মালিক ধারণকৃত কোন জমির উপর যদি অভিকর আরোপ করা হয়, তাহা হইলে উক্ত অভিকর উক্ত জমির আয় গ্রহণকারী ব্যক্তি কর্তৃক প্রদেয় হইবে, যাহা তিনি-

(ক) উক্ত জমির আয় ভাগ করার পূর্বে কর্তন করিয়া রাখিতে পারেন, বা

(খ) অভিকর প্রদানে দায়ী ব্যক্তি হইতে এইভাবে আদায় করিতে পারিবেন যেন উক্ত প্রদানকারী তাঁহার নিকট হইতে ঋণ গ্রহণ করিয়াছিলেন৷

বকেয়া অভিকর ও সুদ আদায়
৭৷ এই আইনের অধীন সুদসহ যাবতীয় বকেয়া অভিকর পাবলিক ডিমান্ড (Public demand) হিসাবে আদায় করা হইবে৷
ক্ষমতা অর্পণ
৮৷ সরকার এই আইনের অধীন উহার সকল অথবা যে কোন ক্ষমতা, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে কোন ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে অর্পণ করিতে পারিবে৷
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
৯৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷

 

 

তথ্যসূত্র:
http://bdlaws.minlaw.gov.bd


Visited 420 times, 1 visits today | Have any fisheries relevant question?
চিংড়ি চাষ অভিকর আইন, ১৯৯২

Visitors' Opinion

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.