“মাছ” শীতল রক্ত বিশিষ্ট জলজ মেরুদণ্ডী প্রাণী যারা পাখনার সাহয্যে সাঁতার কাটে এবং ফুলকার সাহায্য শ্বাস-প্রশ্বাস চালায়। যেমন- রুই, কাতলা, মৃগেল, ইলিশ ইত্যাদি।
এখানে-
শীতল-রক্ত বিশিষ্ট প্রাণীঃ
শীতল-রক্ত বিশিষ্ট (Poikilothermy বা Cold-blooded) প্রাণী বলতে সেসব প্রাণীদের বোঝায় যাদের দেহের তাপমাত্রা শরীরবৃত্তীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত না হয়ে বাহ্যিক পরিবেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে অর্থাৎ দেহের তাপমাত্রা সুনির্দিষ্ট নয়, পরিবেশের তাপমাত্রা বাড়লে দেহের তাপমাত্রা বাড়ে আবার পরিবেশের তাপমাত্রা কমলে দেহের তাপমাত্রা কমে। যেমন- মাছ, ব্যাঙ, কুমির ইত্যাদি।
মেরুদণ্ডী প্রাণীঃ
যাদের দেহের পৃষ্ঠদেশ বরাবর একাধিক কশেরুকা নির্মিত মেরুদণ্ড রয়েছে তাদেরকে মেরুদণ্ডী প্রাণী বলে। যেমন- মাছ, পাখি, মানুষ প্রভৃতি।
জলজ প্রাণীঃ
যাদের জীবনধারণ, বৃদ্ধি ও প্রজননের জন্য জলে অর্থাৎ পানিতে অবস্থান করতে হয় তাদেরকে জলজ প্রাণী বলে । যেমন- মাছ, ঘড়িয়াল, শুশুক ইত্যাদি।
পাখনাঃ
পাখনা হচ্ছে মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর পানিতে চলাচল (যেমন-সাঁতার কাটা) ও ভারসাম্য রক্ষাকারী অঙ্গ। মাছে উপস্থিত হুবহু একই ধরণের এক জোড়া পাখনাকে জোড় পাখনা বলে যেমন- বক্ষ পাখনা ও শ্রোণী পাখনা। অন্যদিক মাছে উপস্থিত এক বা একাধিক সংখ্যক পাখনা যারা হুবহু একই রকম নয় তাদের বিজোড় পাখনা বলা হয়ে থাকে যেমন- পৃষ্ঠ পাখনা, পুচ্ছ পাখনা, পায়ু পাখনা, অঙ্কীয় পাখনা ইত্যাদি। অনেক মাছে দুটি অর্থাৎ এক জোড়া পৃষ্ঠ পাখনা থাকে কিন্তু সেগুলো হুবহু একই রকমের নয় বলে বিজোড় পাখনার অর্ন্তভুক্ত।
ফুলকাঃ
মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর শ্বসন অঙ্গ যা পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্রহণ করতে সক্ষম।
মাছের প্রতিশব্দঃ মৎস্য, মীন
Visited 7,712 times, 1 visits today | Have any fisheries relevant question?