শ্রেণীতাত্ত্বিক অবস্থান (Systematic position):
পর্ব: Chordata
শ্রেণী: Actinopterygii (Ray-finned fishes)
বর্গ: Clupeiformes (Herrings)
উপবর্গ: Clupeoidei
গোত্র: Clupeidae (Herrings, Shads, Sprats, Sardines, Pilchards, and Menhadens)
উপগোত্র: Dorosomatinae (Gizzard shads)
গণ: Nematalosa
প্রজাতি: Nematalosa nasus
সমনাম (Synonyms):
Chatoessus altus Gray, 1834
Chatoessus chrysopterus Richardson, 1846
Chatoessus nasus (Bloch, 1795)
Clupanodon nasica Lacepède, 1803
Clupea nasus Bloch, 1795
Dorosoma nasus (Bloch, 1795)
Nematalosus nasus (Bloch, 1795)
Nematolosa nasus (Bloch, 1795)
সাধারণ নাম (Common name):
বাংলা: বারাং
English: Bloch’s Gizzard Shad
বিস্তৃতি (Distribution):
এটি বাংলাদেশ (Rahman, 1989 and 2005), ভারত সাগর থেকে মালয় দ্বীপপুঞ্জ এবং ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জে পাওয়া যায় (Day, 1958)। ভারতে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরেও এদের দেখা যায় (Talwar and Jhingran, 1991)। Munroe and Priede (2010) অনুসারে ভারত মহাসাগরের ইরানীয় উপকূল, সৌদিআরবের পূর্ব উপকূল থেকে মালয়েশিয়া পর্যন্ত এদের পাওয়া যায়। এছাড়াও এডেন উপসাগর ও ইন্দোনেশিয়ায় পাওয়া যায়। ইন্দো-প্যাসিফিক মহাসাগরের থাইল্যান্ড থেকে ফিলিপাইনসহ জাপানের দক্ষিণ প্রান্ত ও কোরিয়া পর্যন্ত এদের বিস্তৃতি রয়েছে।
দেশ অনুসারে বিস্তৃতি: বাহরাইন, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, চীন, হংকং, ভারত, ইরান, ইরাক, জাপান, কোরিয়া, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, কাতার, সৌদিআরব, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভিয়েতনাম (Munroe and Priede, 2010)।
সংরক্ষণ অবস্থা (Conservation status):
আইইউসিএন বাংলাদেশ (IUCN Bangladesh, 2000) অনুসারে এটি হুমকিগ্রস্ত প্রজাতির নয়।
দৈহিক গঠন (Morphology):
দেহ চাপা ও আয়তকার। স্পষ্ট তুণ্ড ভোঁতা ও চোখের তুলনায় আকৃতিতে ছোট। মুখ ছোট ও সামান্য নীচের দিকে অবস্থিত। উপরের চোয়াল (Maxillary) পশ্চাতে চোখের অগ্রভাগের নীচ পর্যন্ত বিস্তৃত। নিচের চোয়াল বাইরের দিকে অনেকটাই প্রসারিত। প্রথম ফুলকা খিলানের (gill- arch) নিচের অংশে ১৪০ টি ফুলকা-দণ্ড (gill-raker) উপস্থিত। গিজার্ডের (Gizzard) মত পাকস্থলী উপস্থিত।
আদর্শ-দৈর্ঘ্য দেহ উচ্চতার ২.৪-২.৯ গুণ। পৃষ্ঠ পাখনার অবস্থান পুচ্ছ পাখনা ও তুণ্ডের মধ্যবর্তী স্থানের চেয়ে সামান্য অগ্রভাগে। পুচ্ছ পাখনা দ্বিধাবিভক্ত এবং নিচের খণ্ডাংশ উপরের চেয়ে অতি সামান্য বেশি লম্বা। পৃষ্ঠ পাখনার শেষ পাখনা-রশ্মি সূত্রাকার এবং দীর্ঘায়ত।
আঁইশের পশ্চাৎ প্রান্ত খাঁজকাটা। পার্শ্বরেখা বরাবর ৪৫-৪৮টি আঁইশ বিদ্যমান। পৃষ্ঠপাখনা শুরুর পূর্বে ১৭-১৯টি আঁইশ বর্তমান। শ্রোণী পাখনার পূর্বে ১৭-১৮টি (Rahman, 1989 and 2005) বা ১৭-২০টি (প্রধানত ১৮টি) (Talwar and Jhingran, 1991) টি আঁইশ বর্তমান। শ্রোণী পাখনার পরে ১৪টি (Rahman, 1989 and 2005) বা ৯-১৩টি (প্রধানত ১১টি) (Talwar and Jhingran, 1991) টি আঁইশ বর্তমান। উদরে ২৮-৩২টি (প্রধানত ৩০টি) স্কিউট (scutes) উপস্থিত।
ধুসর সবুজ দেহের পৃষ্ঠভাগে নীল বর্ণের আভা উপস্থিত। উভয় পাশ ও অঙ্গীয় দিক রূপালী বর্ণের। উভয় পাশের মাঝ বরাবর, পৃষ্ঠ ও পুচ্ছ পাখনা এবং কানকুয়াতে হলুদ বর্ণের আভা দেখতে পাওয়া যায়। কানকুয়ার পরপরই একটি স্পষ্ট কালো দাগ বিদ্যমান। পৃষ্ঠদিকের অনেক আঁইশেই কালো বিন্দু দেখতে পাওয়া যায়।
পাখনা সূত্র (Fin formula):
D. 16-17(3/13-14); P1. 15-16; P2. 8; A. 23-24 (Rahman, 1989 and 2005)
D.iii-v 11-14; A. ii-iv 18-23; P. i 14; V i 7 (Talwar and Jhingran, 1991)
সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য (Maximum length):
এটি লম্বায় ২১ সেমি (Talwar and Jhingran, 1991) থেকে ২৪.৭ সেমি (Rahman, 1989) পর্যন্ত হতে পারে।
আবাস্থল (Habitat):
বারাং মাছ মূলত সামুদ্রিক মাছ তবে প্রজননের জন্য উপকূলীয় এলাকায় যেখানে জোয়ারভাটা চলে সেখানে আসে। উপসাগর এবং উপহ্রদে (lagoon) পাওয়া যায় (Munro, 2000); মোহনা এবং নদিতেও পাওয়ার সম্ভাবনা আছে (Talwar and Jhingran, 1991)। বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরে এদের দেখতে পাওয়া যায় (Rahman, 1989 and 2005)। উপকূলীয় অঞ্চল ও ম্যানগ্রোভ বনের যে অংশে জোয়ারভাটা হয় সে এলাকার ৩০ মিটার গভীর পর্যন্ত এদের বিচরণ দেখতে পাওয়া যায় (Munroe and Priede, 2010)। এরা স্বাদুপানি, উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রে সহজেই বিচরণ করে থাকে। এরা ফিল্টার ফিডার (filter feeder) অর্থাৎ পানিতে নিমজ্জিত অবস্থায় ভেসে থাকা জীব খেয়ে থাকে।
মৎস্য গুরুত্ব (Fisheries Importance):
এই প্রজাতিটি ভারতে সাধারণত চিকলা এবং হুগলী মোহনায় পাওয়া যায় তবে মৎস্য খাতে এটির বিশেষ তেমন অবদান নাই। জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে এরা সমুদ্র থেকে চিকলা নদীতে আসে (Talwar and Jhingran, 1991)।
তথ্য সূত্র (References):
- Bloch ME (1795) Naturgeschichte der ausländischen Fische. Berlin. Naturgeschichte der Ausländischen Fische. 9: i-ii + 1-192, Pls. 397-429.
- Day F (1958) The Fishes of India: being a Natural History of the fishes known to inhabit the seas and freshwater of India., Burma and Ceylon. Reproduced in 1958 by William Dowson andSons, London. 644 pp.
- Gray JE (1834) Illustrations of Indian zoology; chiefly selected from the collection of Major-General Hardwicke, F.R.S., 20 parts in 2 vols. Illustrations of Indian zoology; chiefly selected from the collection of Major-General Hardwicke, F.R.S., Pls. 1-202.
- IUCN Bangladesh (2000) Red book of threatened fishes of Bangladesh, IUCN- The world conservation union. xii+116 pp.
- Lacepède BGE (1803) Histoire naturelle des poissons. Histoire naturelle des poissons. 5: i-lxviii + 1-803 + index, Pls. 1-21.
- Munro IS (1955) The Marine and Freshwater Fishes of Ceylon. Dept. External Affairs, Canbarra Publications. p. 29.
- Munroe, T.A. and Priede, I.G. 2010. Nematalosa nasus. In: IUCN 2013. IUCN Red List of Threatened Species. Version 2013.2. www.iucnredlist.org. Downloaded on 10 February 2014.
- Rahman AKA (1989) Freshwater Fishes of Bangladesh, 1st edition, Zoological Society of Bangladesh, Department of Zoology, University of Dhaka, Dhaka-1000, pp. 255-256.
- Rahman AKA (2005) Freshwater Fishes of Bangladesh, 2nd edition, Zoological Society of Bangladesh, Department of Zoology, University of Dhaka, Dhaka-1000, pp. 279-280.
- Richardson J (1846) Report on the ichthyology of the seas of China and Japan. Report of the British Association for the Advancement of Science 15th meeting (1845): 187-320.
- Talwar PK and Jhingran AG (1991) Inland Fishes of India and Adjacent Countries, Vol. 1, Oxford & IBH Publishing Co. Pvt. Ltd. New Delhi-Calcutta, pp. 111-112.
পুনশ্চ:
- English Feature: Bloch’s gizzard shad, Nematalosa nasus (Bloch, 1795)
- মাছটির ছবি বর্তমানে আমাদের সংগ্রহে নেই। আপনার তোলা কোন ছবি থাকলে আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। গুগলে মাছটির ছবি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
Visited 361 times, 1 visits today | Have any fisheries relevant question?