রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার মেনানগর গ্রামের সোলায়মান আলী মাছ, হাঁস ও ধানের সমন্বিত চাষ করে একদিকে যেমন নিজের ভাগ্য বদলেছেন তেমনি অন্যদিকে এলাকাবাসীর ভাগ্য উন্নয়নে রাখছেন অনন্য অবদান। গত ১০ এপ্রিল ২০১০ তারিখের প্রথম আলোর প্রথম পাতায় প্রকাশিত শনিবারের বিশেষ প্রতিবেদন (প্রতিবেদকঃ রহিদুল মিয়া) “খেতে মাছ-হাঁস, আইলে গাছ” থেকে এই তথ্য জানা যায়।
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সোলায়মান আলী ধানক্ষেতে মাছ চাষ, গর্ত ও পুকুরে মাছ ও হাঁসের চাষ এবং একই সাথে হাঁস দিয়ে ধানক্ষেতে নিড়ানির কৌশল প্রয়োগ করে এই সফলতা পেয়েছেন। এছাড়াও তিনি জমির আইলে সুপারি গাছ লাগিয়েও সফল হয়েছেন। এখন তার এই সফলতায় উৎসাহী হয়ে এলাকার অন্যান্যরাও এই পদ্ধতিতে মাছ, হাঁস ও ধানের সমন্বিত চাষে আগ্রহী হয়ে হয়ে সফলতার মুখ দেখতে শুরু করেছেন।
উক্ত প্রতিবেদনে ধানক্ষেতে মাছ চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে সোলায়মান আলী আমাদের নিজে জানিয়েছেন- যে জমিতে কমপক্ষে তিন ইঞ্চি উচ্চতায় পানি রাখা সম্ভব তাতে মাছ চাষ করা যায়। প্রয়োজনীয় পানি আটকে রাখতে জমির চারদিকের আইল গুলো উঁচু করে দিতে হয়। ধান রোপণের ১৫-২০ দিনের মধ্যে জমিতে মাছের পোনা ছাড়তে হয়। শিং, মাগুর, সরপুঁটি, তেলাপিয়া, রুই, কাতলা, সিলভার কার্প চাষ করলে তুলনামূলকভাবে বেশি লাভ হয়। মাছ চাষ করলে খেতে কীটনাশক দেওয়া যায় না। মাছই ক্ষতিকারক পোকামাকড়ের ডিম খেয়ে ফেলে। যাঁরা খেতে দুবার ইউরিয়া সার প্রয়োগ করেন, এ ক্ষেত্রে একই পরিমাণ সার তিন দফায় জমিতে দিতে হয়।
বিস্তারিত জানতে ঘুরে আসুন এখান থেকে।
Visited 860 times, 1 visits today | Have any fisheries relevant question?