প্রিয় পাঠক আমার আগের লেখায় সমুদ্রের অম্লতা বৃদ্ধি কী, কেন এবং কীভাবে? ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এ লেখায় রইল সামুদ্রিক মাৎস্য সম্পদের উপর এর সাম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত।
সামুদ্রিক মাৎস্য সম্পদের উপর সম্ভাব্য প্রভাব
সমুদ্রের অম্লতা বৃদ্ধি একটি বৈশ্বিক সমস্যা তবে এটি পৃথিবীর সকল সাগরে একইসাথে এবং একই মাত্রায় ঘটবে না। এটার মাত্রা অনেকটা স্থানীয় পরিবেশগত বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। মেরু ও মেরুর নিকটবর্তী অঞ্চলের সাগরের ঠাণ্ডা পানিতে এর ক্ষতিকর প্রভাব আগে পড়বে যেটা আগামী কয়েক দশকের মধ্যেই দেখা যেতে পারে। কেননা গরম পানির তুলনায় ঠাণ্ডা পানিতে CO2অধিক হারে শোষিত হয়। সামুদ্রিক উদ্ভিদ ও প্রাণীর উপর সমুদ্রের অম্লতা বৃদ্ধির প্রভাব সংক্রান্ত গবেষণা শুরু হয়েছে অতি সাম্প্রতিক কালে আর সেকারণে এখনই নিশ্চিত ভাবে এর ভয়াবহতা পুরোপুরি তুলে ধরা সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত করা গবেষণার আলোকে দেখা গেছে, এটা সামুদ্রিক প্রাণীর জীবনচক্রের প্রাথমিক স্তর গুলির (যেমন- ডিম্বাণু/শুক্রাণু, জাইগট, লার্ভা, ভ্রূণ, ডিমপোনা, রেণু, জুভেনাইল ইত্যাদি) উপর বেশ প্রভাব ফেলবে কেননা এসকল স্তরে এরা বেশ সংবেদনশীল থাকে। প্রাপ্ত বয়স্ক প্রাণীদের ক্ষেত্রে এটা তাঁদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও প্রজননকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। হয়তো প্রাণীর জীবন রক্ষা পাবে কিন্তু তাঁদের স্বাভাবিক বংশবৃদ্ধি প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটার ফলে প্রাণীর পুনরুৎপাদন হ্রাস পেতে পারে।
সমুদ্রের অম্লতা বৃদ্ধির ফলে সামুদ্রিক মাৎস্য সম্পদ ও একুয়াকালচার অনেকটাই হুমকির সম্মুখীন। এটা সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের বিরাট ক্ষতির কারণ হবে – প্রত্যক্ষভাবে মূল্যবান অনেক মৎস্য প্রজাতির উপর প্রভাব ফেলার মাধ্যমে এবং পরোক্ষভাবে মাছের স্বাভাবিক খাদ্যচক্র ও বাসস্থান ধ্বংস করার মধ্য দিয়ে। সরাসরি মাছের উপর সমুদ্রের অম্লতা বৃদ্ধির প্রভাব নিয়ে বর্তমানে পৃথিবীর বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাদল কাজ করে যাচ্ছে। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, অস্ট্রেলিয়ার জেমস কুক ইউনিভার্সিটি, নরওয়ের ইউনিভার্সিটি অফ বারগেন, জাপানের নাগাসাকি ইউনিভার্সিটি এবং জার্মানির লাইবনিজ ইন্সটিটিউট অফ মেরিন সাইন্স এর গবেষণা দল। এ যাবত করা গবেষণার অধিকাংশই হয়েছে কোরাল রীফ সংশ্লিষ্ট মাছ নিয়ে। গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, সমুদ্রের অম্লতা বৃদ্ধি মাছের লার্ভা অবস্থায় মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও সংজ্ঞাবহ প্রতিক্রিয়া (sensory response) কে ক্ষতিগ্রস্ত বা পরিবর্তিত করতে পারে। ফলে এদের ঘ্রাণ ও শ্রবণ শক্তি দুর্বল বা পরিবর্তিত হওয়া সহ আচরণগত ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে যা এদেরকে শিকারি প্রাণীর (Predator) কাছে ধরা খাওয়ার তথা শিকারে পরিণত হবার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেবে। উল্লেখ্য যে ঘ্রাণশক্তি মাছকে তাঁদের বাসস্থান খোঁজা ও বসতি স্থাপনে সাহায্য করে। পানির অম্লতা বৃদ্ধি মাছের খাদ্য অন্বেষণ ও গ্রহণ প্রক্রিয়ায়ও পরিবর্তন ঘটাবে যা মাছের বৃদ্ধি ও বাঁচার হারকে প্রভাবিত করতে পারে। বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হেরিং (Herring) মাছের ক্ষেত্রে দেখা গেছে সমুদ্রের অম্লতা বৃদ্ধি অভ্যন্তরীণ অঙ্গের টিস্যুর ক্ষতিসাধন করার মাধ্যমে মাছের লার্ভার শারীরিক গঠন প্রক্রিয়ায় মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। আরও দেখা গেছে, অম্লতা বৃদ্ধি ভ্রূণাবস্থায় দেহের প্রোটিন সংশ্লেষণ কমানোর মাধ্যমে মাছের দেহের স্বাভাবিক বিপাক (Metabolism) কে বাধাগ্রস্ত করে যা দেহের বৃদ্ধি কমিয়ে দেয়। আর ধীর বা কম বৃদ্ধি ঘটা লার্ভার বাঁচার হার স্বভাবতই অনেক কমে যায় কেননা এরা অন্যদের তুলনায় খাদ্য সংগ্রহে কম পারদর্শী হয় এবং সহজেই শিকারি প্রাণী (Predator) দ্বারা আক্রান্ত হয়। সর্বোপরি জীবনচক্রের প্রাথমিক স্তরে মাছের বাঁচার হারে (Survival rate) সামান্যতম প্রভাব পড়লেও তা পূর্ণ বয়স্ক মাছের প্রাচুর্যে বিরাট পরিবর্তন আনবে।
তবে সমুদ্রের অম্লতা বৃদ্ধির ফলে সরাসরি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এমন প্রাণী ও উদ্ভিদের তালিকায় প্রথমদিকে রয়েছে খোলস বিশিষ্ট প্রাণী, যেমন বিশেষ ধরনের প্ল্যাঙ্কটন, মোলাস্ক (টেরোপড, অয়েস্টার, মাসেল, ক্ল্যাম), একাইনোডার্ম (সি আর্চিন, স্টার ফিস, ব্রিটল স্টার) জাতীয় প্রাণী এবং কোরাল ও বিশেষ ধরনের খোলস বিশিষ্ট সামুদ্রিক অ্যালজি। কেননা সমুদ্রের অম্লতা বৃদ্ধির ফলে pH এর মান কমে যাওয়ার সাথে সাথে পানিতে থাকা কার্বনেট আয়নের (CO3-2) পরিমাণও কমে যাচ্ছে। এ কার্বনেট আয়ন আবার উপরোল্লিখিত খোলস বিশিষ্ট প্রাণীদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় কেননা এটা তাঁদের বাইরের শক্ত খোলস ও মূল কাঠামো বা কঙ্কাল তৈরিতে মূল ভূমিকা পালন করে। পানিতে কার্বনেট আয়নের স্বল্পতা এ প্রক্রিয়াকে বাঁধাগ্রস্ত করার মাধ্যমে প্রাণীর বৃদ্ধি এবং শারীরিক গঠন প্রক্রিয়াকে মন্থর করে ফেলবে। আরও আতংকের ব্যাপার হল, সমুদ্রের পানিতে এ কার্বনেট আয়নের পরিমাণ একটি নির্দিষ্ট মাত্রার নিচে নেমে গেলে ঐ সকল প্রাণীর শরীরের ক্যালসিয়াম কার্বনেটের শক্ত বহিরাবরণ দ্রবীভূত হতে শুরু করবে। ফলস্বরূপ ক্যালসিয়াম কার্বনেটের খোলস যুক্ত অন্যান্য সকল প্রাণীর সাথে সাথে কোরাল সমূহও ক্ষতিগ্রস্ত হবে; কেননা এদের গঠনও মূলত ক্যালসিয়াম কার্বনেটের স্তর দ্বারা। অসংখ্য সামুদ্রিক প্রজাতির খাদ্য সংগ্রহ, লালন-পালন ও প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে কোরাল রীফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ধারণা করা হয়, সামুদ্রিক প্রাণী সমূহের প্রায় এক চতুর্থাংশই তাঁদের জীবনকালের কোন এক সময় কোরাল রীফকে তাঁদের আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহার করে। ইতিমধ্যেই পৃথিবীব্যাপী কোরাল রীফ সমূহ বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি, দূষণ, ক্ষতিকর মৎস্য আহরণ পদ্ধতির কারণে হুমকির সম্মুখীন। সমুদ্রের অম্লতা বৃদ্ধি এ অবস্থাকে আরও মারাত্মক করে তুলবে, যদি না এটা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এর ফলে ২০৫০ ইং সালের মধ্যেই পৃথিবী হতে কোরাল রীফ সমূহ প্রায় হারিয়ে যাবে। আর কোরাল রীফ যদি না থাকে তাহলে স্বভাবতই এর উপর নির্ভরশীল প্রজাতি সমূহ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ফলস্বরূপ পৃথিবীব্যাপী রীফ ফিসারিজ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে যেটা পৃথিবীর মোট মৎস্য আহরণের প্রায় ৯-১২% যোগান দিয়ে থাকে। সেই সাথে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে (প্রায় ৯৪ টি দেশে) কোরাল রীফ এর উপর নির্ভরশীল পর্যটন শিল্প বন্ধ হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ কীভাবে ও কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে?
বঙ্গোপসাগরের সাথে রয়েছে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ সমুদ্র অঞ্চল। যদি বর্তমান হারে CO2 বৃদ্ধি পেতে থাকে তবে বাংলাদেশেও সমুদ্রের এ অম্লতা বাড়ার দরুন ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিন্তু বলা যেতে পারে যে বাংলাদেশ এ শতাব্দীর শেষ ভাগের আগে আক্রান্ত হবে না। আর সমুদ্রের এ অম্লতা বৃদ্ধির সাথে আরও যেসব বিপদ যুক্ত হবে তা হল সমুদ্রের পানির উষ্ণতা বৃদ্ধি ও সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি। এসবের সামগ্রিক প্রভাব দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিবে। সামুদ্রিক জীবজগতকে একই সাথে একের অধিক ধরনের পরিবেশগত পরিবর্তনের মোকাবিলা করতে হবে।
আমাদের মোট মৎস্য উৎপাদনের প্রায় ২০% আসে সামুদ্রিক উৎস থেকে। সমুদ্রের অম্লতা বৃদ্ধি ও বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের প্রাচুর্য, ধরন ও অবস্থানগত পরিবর্তন সঙ্ঘটিত হতে পারে যা অর্থনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ মৎস্য সম্পদের আহরণে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। সমুদ্রের পানির অম্লতা বাড়ার ফলে মূলত ক্যালসিয়াম কার্বনেটের খোলস বিশিষ্ট প্রাণীরা ক্ষতির শিকার হবে আর হবে ঐ সকল প্রাণী যারা তাঁদের জীবন-ধারণ ও খাদ্যের জন্যে এ খোলস বিশিষ্ট প্রাণীদের উপর নির্ভরশীল। সামগ্রিকভাবে এটা আমাদের জন্য বড় ধরনের পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
আমাদের দেশে কোরাল দেখতে পাওয়া যায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে। এখানে প্রায় ৬৬ প্রজাতির কোরালের সন্ধান পাওয়া গেছে। বর্তমানে পর্যটন জনিত কারণে অত্যধিক মানুষের চাপ, দূষণ ও পানির স্বচ্ছতা কমে যাওয়ার ফলে এ কোরাল সমূহের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন। অদূর ভবিষ্যতে এগুলি আবার সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও পানির উষ্ণতা বৃদ্ধি জনিত চাপের মুখে পড়বে। সেই সাথে সমুদ্রের অম্লতা বৃদ্ধি সার্বিক অবস্থাকে আরও ভয়াবহ করে তুলবে এবং কোরাল সমূহের বিলীন হওয়াকে আরও ত্বরান্বিত করবে। আর কোরাল সমূহ যদি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় তাহলে সেখানে বাস করা কোরালের উপর নির্ভরশীল প্রায় ৮৬ প্রজাতির মাছও আমাদের প্রিয় সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে হারিয়ে যাবে।
সমুদ্রের অম্লতা বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ কতটুকু হুমকির সম্মুখীন তা নিয়ে ওসানা (Oceana) নামক সামুদ্রিক পরিবেশ নিয়ে কাজ করা একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা একটি পর্যালোচনা করে। তাঁদের করা পর্যালোচনায় দেখা যায় যে অধিক মাত্রায় CO2 নিঃসরণ করা দেশ সমূহই বেশী হুমকির সম্মুখীন যা বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি বা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দেশ সমূহের তালিকার বিপরীত। আমরা জানি যে, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন এর ফলে অধিক মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দেশ সমূহের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে ঐ সকল দেশ সমূহ, CO2 নিঃসরণে যাদের ভূমিকা অতি নগণ্য। কিন্তু সমুদ্রের অম্লতা বৃদ্ধির ফলে অধিক হুমকিতে থাকা প্রথম ৫ টি দেশ হল পর্যায়ক্রমে – জাপান, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। তালিকায় থাকা ১৮৭ টি দেশের মধ্যে সর্বাধিক মাত্রায় CO2 নিঃসরণ করা চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পর্যায়ক্রমে ১৩ তম ও ৮ম। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৬৫ তম। ওসানা’র করা পর্যালোচনা মোতাবেক পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশেরও অধিক মানুষ সমুদ্রের অম্লতা বৃদ্ধির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এখন অবধি সমুদ্রের অম্লতা বৃদ্ধি নিয়ে অধিকাংশ গবেষণাই করা হয়েছে মেরু অঞ্চলের ও শীতপ্রধান দেশের পরিবেশে যেহেতু ঐ সকল অঞ্চলই প্রথম আক্রান্ত হবে। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে তেমন গবেষণা হয়নি বললেই চলে। সমুদ্রের অম্লতা বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশ কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এ সংক্রান্ত কোন কার্যকর গবেষণা ও পর্যালোচনা এখন পর্যন্ত হয়েছে বলে নজরে আসেনি। তবে সম্প্রতি আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ওসানোগ্রাফি একটি গবেষণা প্রকল্প শুরু করেছে যাতে তাঁরা ভারত মহাসাগরে অম্লতা বৃদ্ধির প্রভাব নিয়ে কাজ করবে।
শেষ কথা:
সমুদ্রের অম্লতা বৃদ্ধি জনিত এ বৈশ্বিক সমস্যার কার্যকরী কোন সমাধান এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে নেই। আমরা কেবল প্রকৃতির উপর নির্ভর করে থাকতে পারি যেটা প্রাকৃতিক নিয়মে সাগরকে পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে নিয়ে আসতে হাজার বা লক্ষ বছরও নিতে পারে। তবে আমরা একটি পদক্ষেপই নিতে পারি আর তা হল, উল্লেখযোগ্য পরিমাণে CO2 নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে আনা যেটা সাগরে অম্লতা বৃদ্ধির হার কে কমিয়ে আনবে। এযাবৎ সমুদ্রের অম্লতা বৃদ্ধি প্রচার মাধ্যমে তুলনামূলকভাবে কমই আলোচিত হয়েছে। নীতিনির্ধারকদের বুঝতে হবে যে কেবলমাত্র বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নেয়া পদক্ষেপ সমূহই ভবিষ্যৎ পরিবেশগত বৈশ্বিক পরিবর্তন (Global change) এর প্রভাব মোকাবেলায় যথেষ্ট নয়। বাংলাদেশসহ হুমকিতে থাকা দেশসমূহের উচিৎ আবির্ভূত হওয়া এ নতুন বিপদ সম্পর্কে আগেই সজাগ হওয়া এবং বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন এর পাশাপাশি সমুদ্রের অম্লতা বৃদ্ধি জনিত সমস্যাকে তাঁদের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ও কৌশলে অন্তর্ভুক্ত করা।
প্রধান কয়েকটি তথ্যসুত্র:
- Raven, JA. 2005. Ocean acidification due to increasing atmospheric carbon dioxide.
- The Royal Society, London. pp. 68.
- Fabry VJ, Seibel BA, Feely RA, Orr JC. 2008. Impacts of ocean acidification on marine fauna and ecosystem processes. ICES Journal of Marine Science 65: 414-432.
- Doney SC, Fabry VJ, Feely RA, Kleypas JA. 2009. Ocean Acidification: The Other CO2 Problem. Annual Review of Marine Science 1: 169-192.
- UNEP. 2010. Environmental Consequences of Ocean Acidification: A Threat to Food Security. UNEP Emerging Issues. pp. 12.
- Oceana. 2009. Major emitters among hardest hit by ocean acidification. An analysis of the impacts of acidification on the countries of the world. Washington, DC USA. pp. 12.
- Sarker, MY. 07 May 2011. The other CO2 problem. The Daily Star. Dhaka. p. 8.
Visited 676 times, 1 visits today | Have any fisheries relevant question?