শ্রেণীতাত্ত্বিক অবস্থান (Systematic position):
পর্ব: Chordata
শ্রেণী: Actinopterygii (রশ্মি-পাখনা বিশিষ্ট মাছ, Ray-finned fishes)
বর্গ: Anguilliformes (কণ্টকিত বাইন, spiny eels)
পরিবার: Ophichthidae (সাপ বাইন, snake eels)
গণ: Pisodonophis
প্রজাতি: P. cancrivorus
সমনাম (Synonyms):
Myrophis chrysogaster Macleay, 1881
Ophichthus chilkensis Chaudhuri, 1916
Ophisurus cancrivorus Richardson, 1848
Ophisurus nigrepinnis Liénard, 1842
Pisodonophis cancrivorus (Richardson, 1848)
Pisodonophis chilkensis (Chaudhuri, 1916)
Pisodophis cancrivorus (Munro, 1955 & Rahman, 1978)
Prisodonophis chilkenesis (Jhones & Sujansinghani, 1954)
সাধারণ নাম (Common name):
ইংরেজি নাম: Longfin snake-eel
বাংলা নাম: বাংলা নাম পাওয়া যায়নি। কোন কোন এলাকায় এটি বাইম নামে পরিচিত, তবে সারা দেশে বাইম বলতে যে মাছ বোঝায় এই মাছটি তা নয়।
বিস্তৃতি (Distribution):
বাংলাদেশ (Rahman, 1989) এবং ইন্দো-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর (Talwar and Jhingran, 1991) এদের পাওয়া যায়।
সংরক্ষণ অবস্থা (Conservation status):
আইইউসিএন (২০০০) এর মতে এটি বিপন্ন প্রজাতির নয় ।
বাহ্যিক দৈহিক গঠন (Morphology):
দেহ সাপের মত লম্বা। পশ্চাতের দিকটা চাপা। লম্বা লেজ বর্তমান। অগ্রভাগের নাসারন্ধ্র নলাকার এবং পেছনের নাসারন্ধ্র ঠোঁটের নীচ প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। মধ্যগ পাখনা (Median fin) পেছনের দিকে মাঝে মাঝে হ্রাসপ্রাপ্ত হয়ে থাকে। পৃষ্ঠ পাখনাটি বক্ষ পাখনার ঠিক মাঝামাঝির উপর থেকে শুরু হয়ে দেহের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত (Talwar and Jhingran, 1991)। চোখের চারপাশে সাতটি ছিদ্র বর্তমান। পার্শ্বরেখা উপস্থিত। দেহে আঁইশ অনুপস্থিত। মাথার দৈর্ঘ্য ও দেহের উচ্চতা যথাক্রম মোট দৈর্ঘ্যের ৮.৫ ও ৩.১ শতাংশ। চোখের ব্যাস মাথার দৈর্ঘ্যের ৮ শতাংশ লম্বা। (Rahman, 1989)।
সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য (Maximum length):
রেকর্ডকৃত দৈর্ঘ্য ২৯.৩ সে. মি. (Galib, 2008), ৫০ সে. মি. (Talwar and Jhingran, 1991) এবং ১০৮ সে. মি. (Rahman, 1989)।
আবাসস্থল (Habitat):
অগভীর লবণাক্ত জলের হ্রদ অথবা উপহ্রদ, মোহনা এবং স্বাদু পানির মিলিত স্থানে এদের পাওয়া যায় (Talwar and Jhingran, 1991)। চাঁদপুর এর নিকটবর্তী ডাকাতিয়া নদীতে দেখা যায় (Rahman, 1989)। এমনকি চলন বিলেও এদের খোঁজ মিলেছে (Galib et al., 2009)।
খাদ্য ও খাদ্যাভ্যাস (Food and Feeding habit):
এরা মাংসাশী এবং এদের পছন্দের খাবার মাছ। এদের খাদ্য তালিকার সিংহভাগই মাছ এবং বাকী অংশ ক্রাস্টেশিয়ানস ও সেফালোপোডস।
মৎস্য গুরুত্ব (Fisheries Importancs):
অন্য প্রজাতির সাথে দৈবাৎ ধরা পড়ে (Talwar and Jhingran, 1991)। এরা তলাবাসী হওয়ায় সাধারণত ট্রলনেট, ব্যাগনেট ও লং-লাইনে মাঝে মধ্যে ধরার পড়ে। খাদ্য হিসাবে বাংলাদেশে এটি প্রচলিত নয়। অনেক দেশে এই মাছের পটকা (air bladder) মদ বিশুদ্ধিকরণের কাজে ব্যবহৃত হয়।
References:
- Chaudhuri BL. 1916. Fauna of the Chilka Lake. Fish. Part II. Memoirs of the Indian Museum, 5(5): 441-458.
- Galib SM. 2008. A Study on Fish Diversity and Fishing Gears of Chalan Beel with Reference to Preservation of Catches, Honors dissertation submitted to the Department of Fisheries, University of Rajshahi, Bangladesh, 172 pp.
- Galib SM, Samad MA, Mohsin ABM, Flowra FA and Alam MT. 2009. Present Status of Fishes in the Chalan Beel- the Largest Beel (Wetland) of Bangladesh, Int. J. Ani. Fish. Sci. 2(3): 214-218.
- IUCN Bangladesh. 2000. Red book of threatened fishes of Bangladesh, IUCN- The world conservation union. xii+116 pp.
- Macleay W. 1881. A descriptive catalogue of Australian fishes. Part IV. Proceedings of the Linnean Society of New South Wales 6(2): 202-387.
- Munro. 1955. Marine and Freshwater Fishes of Ceylon, p. 97.
- Rahman. 1978. Bull. Indian Soc. Ichthyologists, 4: 88-91.
- Rahman AKA. 1989. Freshwater Fishes of Bangladesh, 1st edition, Zoological Society of Bangladesh, Department of Zoology, University of Dhaka, Dhaka-1000, pp. 44-45.
- Richardson. 1944. Fish, p. 97.
- Talwar PK and Jhingran AG. 1991. Inland Fishes of India and Adjacent Countries, Vol. I, Oxford & IBH Publishing Co. Pvt. Ltd. New Delhi-Calcutta, p. 87.
পুনশ্চ:
- English Feature: Longfin Snake-eel: Pisodonophis cancrivorus (Richardson-1844)
Visited 1,729 times, 1 visits today | Have any fisheries relevant question?