সহজ ভাষায় তথ্যসূত্র (reference) লেখার নিয়মাবলী: পর্ব-তিন

(এ পর্বে রইল একটি গ্রন্থের তথ্যসূত্র লেখার নিয়মাবলী। গত পর্বে ছিল বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধের তথ্যসূত্রের পূর্ণাঙ্গ রূপ লেখার বিভিন্ন পদ্ধতি। এর আগের পর্বে ছিল তথ্যসূত্রের প্রাথমিক ধারণা, গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, তথ্যসূত্রের সংক্ষিপ্ত রূপ উপস্থাপনের বিভিন্ন পদ্ধতি। জার্নাল ও গ্রন্থ ছাড়াও অন্যান্য বিশেষায়িত ডকুমেন্টের তথ্যসূত্র লেখার নিয়মাবলী নিয়ে বিস্তারিত থাকবে আগামী পর্বে।)

একটি গ্রন্থের তথ্যসূত্রের পূর্ণাঙ্গ রূপ যেসব উপাদান নিয়ে গঠিত সেগুলো হল লেখকের নাম, প্রকাশনার বছর, গ্রন্থের শিরোনাম, প্রকাশনা সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা, পৃষ্ঠা নম্বর। এছাড়াও সম্পাদক (সম্পাদিত গ্রন্থের ক্ষেত্রে), সংস্করণ, খণ্ড ইত্যাদি উপাদানও অনেক সময় দেখতে পাওয়া যায়।

Galib SM and Mohsin ABM (2011) Cultured and Ornamental Exotic Fishes of Bangladesh: Past and Present. LAP Lambert Academic Publishing GmbH & Co. KG, Germany. 167 pp.

এখানে লেখকের নাম Galib SM and Mohsin ABM, প্রকাশনার বছর 2011, গ্রন্থের শিরোনাম Cultured and Ornamental Exotic Fishes of Bangladesh: Past and Present, প্রকাশকের নাম ও ঠিকানা LAP Lambert Academic Publishing GmbH & Co. KG, Germany এবং মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা 167 যার শেষে pp. লেখা হয়ে থাকে।

Rahman AKA (2005) Freshwater Fishes of Bangladesh, second edition. Zoological Society of Bangladesh, University of Dhaka, Dhaka, Bangladesh. 263 pp.

এখানে লেখকের নাম Rahman AKA, প্রকাশনার বছর 2005, গ্রন্থের শিরোনাম Freshwater Fishes of Bangladesh, প্রকাশকের নাম ও ঠিকানা Zoological Society of Bangladesh, University of Dhaka, Dhaka, Bangladesh এবং মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা 263 যার শেষে pp. উল্লেখ করা হয়েছে।

যাই হোক নিচে গ্রন্থের তথ্যসূত্র লেখার গুরুত্বপূর্ণ নিয়মাবলী বিস্তৃতভাবে নিচে উপস্থাপন করা হল-

লেখকের নাম:
গ্রন্থের লেখকের নাম লেখার পদ্ধতি কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধের লেখকের নাম লেখার পদ্ধতির অনুরূপ। যেমন-

লেখকের সংখ্যা বিস্তৃত রূপ সংক্ষিপ্ত রূপ
একক Galib SM Galib
দ্বৈত Mondal RC and Mohsin ABM Mondal and Mohsin
দুই এর অধিক Galib SM, Mondal RC and Chaki N Galib et. al

 

ব্যতিক্রম নিয়মাবলী নিচে আলোচিত হল-

যখন কোন গ্রন্থে লেখকের নামের পরিবর্তে কেবলমাত্র সম্পাদকের নাম উল্লেখ থাকে বা উল্লেখ করার প্রয়োজন হয় তখন তথ্যসূত্রের গঠন হয় নিম্নরূপ –

Siddiqui KU, Islam MA, Kabir SMH, Ahmed M, Ahmed ATA, Rahman AKA, Haque EU, Ahmed ZU, Begum ZN., Hasan MA, Khondker M and Rahman MM (eds.). Encyclopedia of Flora and Fauna of Bangladesh ( Vol. 23: Freshwater Fishes). Asiatic Society of Bangladesh, Dhaka. 300 pp.

এখানে প্রথমে সম্পাদকবৃন্দের নাম, বন্ধনীতে সম্পাদিত এর সংক্ষিপ্ত রূপ, গ্রন্থের নাম ও খণ্ড (যদি থাকে), প্রকাশকের নাম ও ঠিকানা, সবশেষে পৃষ্ঠার নম্বর।

যখন লেখকের নামসহ সম্পাদকের নাম থাকে বা নাম উল্লেখ করার প্রয়োজন হয় তখন তথ্যসূত্রের গঠন হয় নিম্নরূপ –

Rahman AKA and Ruma F (2007) In: Siddiqui KU, Islam MA, Kabir SMH, Ahmed M, Ahmed ATA, Rahman AKA, Haque EU, Ahmed ZU, Begum ZN., Hasan MA, Khondker M and Rahman MM (eds.). Encyclopedia of Flora and Fauna of Bangladesh ( Vol. 23: Freshwater Fishes). Asiatic Society of Bangladesh, Dhaka. 300 pp.

অনেক সময় সম্পাদিত গ্রন্থের বিভিন্ন অধ্যায় বা নিবন্ধ বিভিন্ন লেখক বা লেখকবৃন্দ কর্তৃক লিখিত হয়ে থাকলে এবং তার উল্লেখ থাকলে এবং তথ্যসূত্রে তা উল্লেখ করার প্রয়োজন হলে সেক্ষেত্রে তথ্যসূত্র লেখার পদ্ধতি নিম্নরূপ –

Rahman AKA and Ruma F (2007) Somileptes gongota (Hamilton, 1822). In: Siddiqui KU, Islam MA, Kabir SMH, Ahmed M, Ahmed ATA, Rahman AKA, Haque EU, Ahmed ZU, Begum ZN., Hasan MA, Khondker M and Rahman MM (eds.). Encyclopedia of Flora and Fauna of Bangladesh ( Vol. 23: Freshwater Fishes). Asiatic Society of Bangladesh, Dhaka. p. 109.

এখানে প্রথমেই লেখকবৃন্দের নাম, প্রথম বন্ধনীতে সাল, প্রবন্ধ বা অধ্যায়ের শিরোনাম, সম্পাদকবৃন্দের নাম, গ্রন্থের নাম ও খণ্ড, প্রকাশকের নাম এবং প্রবন্ধ বা অধ্যায়ের পৃষ্ঠার পৃষ্ঠার নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে।

অনেক সময় সম্পাদিত গ্রন্থ, সাময়িকী, সংকলন, এনসাইক্লোপিডিয়া (শব্দকোষ), অভিধান, অনলাইন ডকুমেন্ট ইত্যাদিতে লেখকের নামের উল্লেখ থাকেনা বা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে না সেক্ষেত্রে ডকুমেন্ট প্রকাশকের বা যে সংস্থা/প্রতিষ্ঠান ডকুমেন্ট প্রণয়ন করেছে সে সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের নামটিই লেখকের নাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন –
IUCN Bangladesh কর্তৃক প্রণয়নকৃত ও প্রকাশিত Red book of threatened fishes of Bangladesh শিরোনামের গ্রন্থটিতে কোন লেখকের নাম উল্লেখ না থাকায় প্রণয়নকারী বা প্রকাশকের নাম লেখকের নাম হিসেবে তথ্যসূত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

IUCN Bangladesh (2000) Red book of threatened fishes of Bangladesh, IUCN- The world conservation union, Dhaka, Bangladesh. 116 pp.

২০১৪ সালে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৪ সংকলন এর তথ্যসূত্র লেখা হয় সাধারণত নিম্নলিখিতভাবে লেখা হয় যেখানে DoF হচ্ছে Department of Fisheries এর সংক্ষিপ্ত আকার যা একটি প্রতিষ্ঠানের নাম।

DoF (2014) National Fish Week 2014 Compendium (In Bengali). Department of Fisheries, Ministry of Fisheries and Livestock, Bangladesh. 144 pp.

 

প্রকাশনার বছর:
গ্রন্থের প্রকাশনার বছর লেখার পদ্ধতি জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধের প্রকাশনার বছর লেখার পদ্ধতির অনুরূপ। যেমন-

লেখকের সংখ্যা বিস্তৃত রূপ সংক্ষিপ্ত রূপ
একক Galib SM (2010) Galib (2010)
দ্বৈত Mondal RC and Mohsin ABM (2010) Mondal and Mohsin (2010)
দুই এর অধিক Galib SM, Mondal RC and Chaki N (2010) Galib et. al (2010)

 

আবার ব্যতিক্রম হলেও কোন কোন জার্নালে প্রকাশনার বছর লেখকের নামের পরে যোগ না করে প্রকাশকের নামের পরে মাসসহ বা মাস ছাড়া যোগ করা হয়ে থাকে।

 

গ্রন্থের শিরোনাম:
সাধারণত গ্রন্থের শিরোনাম sentence case এ লেখা হয়ে থাকে যেমন-

  • Cultured and ornamental exotic fishes of Bangladesh: past and present
  • Freshwater fishes of Bangladesh
  • Inland fishes of India and adjacent countries

আবার কখনও কখনও title case এও লেখা হয় থাকে যেমন-

  • Cultured and Ornamental Exotic Fishes of Bangladesh: Past and Present
  • Freshwater Fishes of Bangladesh
  • Inland Fishes of India and Adjacent Countries

 

ফন্ট রেগুলার বা ইটালিক বা বোল্ড যে কোন এক ধরণের হতে পারে। যেমন-

  • Cultured and Ornamental Exotic Fishes of Bangladesh: Past and Present
  • Freshwater Fishes of Bangladesh
  • Inland Fishes of India and Adjacent Countries

অথবা

  • Cultured and Ornamental Exotic Fishes of Bangladesh: Past and Present
  • Freshwater Fishes of Bangladesh
  • Inland Fishes of India and Adjacent Countries

অথবা

  • Cultured and Ornamental Exotic Fishes of Bangladesh: Past and Present
  • Freshwater Fishes of Bangladesh
  • Inland Fishes of India and Adjacent Countries

 

সংস্করণ, খণ্ড, সম্পাদক, ভাষা ইত্যাদির উল্লেখ থাকলে তা গ্রন্থের শিরোনামের পরই যোগ করা হয়। যেমন –

সংস্করণ

Rahman AKA (2005) Freshwater Fishes of Bangladesh (second edition). Zoological Society of Bangladesh, University of Dhaka, Dhaka, Bangladesh. 263 pp.

খণ্ড

Talwar PK and Jhingran AG (1991) Inland Fishes of India and Adjacent Countries (Volume 1). Oxford & IBH Publishing Co. Pvt. Ltd. New Delhi -Calcutta. 542 pp.

ভাষা

  • Samad MA (2010) Fisheries Dictionary (In Bengali). Kabir Publications, Dhaka, Bangladesh. 424 pp.
  • DoF (2014) National Fish Week 2014 Compendium (In Bengali). Department of Fisheries, Ministry of Fisheries and Livestock, Bangladesh. 144pp.

 

প্রকাশনা সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা:
গ্রন্থের নামের পরে যোগ করা হয় প্রকাশনা সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা। গ্রন্থে উল্লেখিত প্রকাশকের নাম ও ঠিকানা এ অংশে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কখনও কখনও দেশের নাম উল্লেখ করা হয়না। আবার অনেক সময় একাধিক স্থান থেকে একযোগে কোন প্রকাশনা প্রকাশিত হয়ে থাকলে সবগুলো স্থানের নামই উল্লেখ করা হয়। যেমন –

  • Galib SM and Mohsin ABM (2011) Cultured and Ornamental Exotic Fishes of Bangladesh Past and Present. LAP Lambert Academic Publishing GmbH & Co. KG, Germany, 167 pp.
  • Rahman AKA (2005) Freshwater Fishes of Bangladesh, second edition. Zoological Society of Bangladesh, University of Dhaka, Dhaka, Bangladesh, 263 pp.
  • Talwar PK and Jhingran AG (1991) Inland Fishes of India and Adjacent Countries Vol. 1 and 2. Oxford and IBH Publishing Co. Pvt. Ltd. New Delhi-Calcutta, 1158 pp.

উপরের ১ম, ২য় ও ৩য় তথ্যসূত্রে প্রকাশকের নাম ও ঠিকানা যথাক্রমে LAP Lambert Academic Publishing GmbH & Co. KG, Germany; Zoological Society of Bangladesh, University of Dhaka, Dhaka, Bangladesh এবং Oxford and IBH Publishing Co. Pvt. Ltd., New Delhi-Calcutta

 

পৃষ্ঠা নম্বর:
তথ্যটি গ্রন্থের যে পৃষ্ঠা থেকে নেয়া হয়েছে সেই পৃষ্ঠার নম্বর এখনে উল্লেখ করতে হয়। এবং এর আগে p. বসে এবং সবশেষে ফুলস্টপ বসে। যেমন তথ্যটি যদি বইটির ১৭৩ নম্বর পৃষ্ঠা থেকে নেয়া হয় তবে লেখা হয় p. 173. বা p.173. ।
তথ্যটি পরপর একাধিক পৃষ্ঠা জুড়ে উল্লেখ থাকে তবে শুরুর ও শেষের পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ করা হয়। উভয় নম্বরের মাঝে হাইফেন (-) ব্যবহার করা হয়ে থাকে, শুরুতে pp. এবং শেষে ফুলস্টপ বসে। যেমন তথ্যটি যে পৃষ্ঠা জুড়ে অবস্থান করছে তার শুরুর পৃষ্ঠা নম্বর ১৬৩ এবং শেষ পৃষ্ঠা নম্বর ১৭২ হলে লিখতে হয় pp. 163-172. বা pp.163-172.।
তথ্যটি বইটির বিভিন্ন স্থান থেকে বিচ্ছিন্নভাবে গ্রহণ করা হলে সেক্ষেত্রে শুরু ও শেষের পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ না করে বইটির মোট পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ করতে হয় এবং শেষে pp. যোগ করে দেয়া হয়। যেমন- একটি গ্রন্থের মোট পৃষ্ঠা নম্বর ৭২১ হলে লেখা হয় 721 pp. বা 721pp.।

এছাড়াও বই এর পৃষ্ঠা নম্বর লেখার সময় বই এর অতিরিক্ত পৃষ্ঠা (যেমন টাইটেল পেজ, এডিটোরিয়াল পেজ, সূচিপত্র, এপেনডিক্স, বর্ণক্রমিক সূচি ইত্যাদি) যা সাধারণ বই এ রোমান হরফে উল্লেখ থাকে সেই অতিরিক্ত পৃষ্ঠার মোট সংখ্যাও মোট পৃষ্ঠা নম্বরের পূর্বে বা পরে যোগ করার প্রচলন দেখতে পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত পৃষ্ঠার মোট সংখ্যাটি রোমান হরফে শুরুতেই লেখার পর একটি যোগচিহ্ন (+) যোগ করে এর পরে মোট পৃষ্ঠা নম্বর উল্লেখ করা হয়ে থাকে। যেমন- xii+116 pp. অথবা 116 +xii pp ।

সাধারণত পৃষ্ঠা নম্বর দিয়েই তথ্যসূত্র শেষ হয়ে থাকে তবে বর্তমানে ইলেক্ট্রনিক গ্রন্থ (ebook) যা কেবলমাত্র অনলাইনে পাওয়া যায় যেসব গ্রন্থের ক্ষেত্রে পৃষ্ঠা নম্বরের পরে ISBN, Date of download/accessed and URL (web address) or DOI, ইত্যাদির সবগুলো বা কোন কোনটি যোগ করা হয়ে থাকে। এছাড়াও গ্রন্থটি প্রকাশের বছর উল্লেখ না থাকলে যে বছরে ডাউনলোড করা হয়েছে সেই বছরই প্রকাশনার বছর হিসেবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। আবার মুদ্রিত গ্রন্থ অনলাইনেও প্রকাশিত হয়ে থাকলে সেক্ষেত্রেও একই নিয়মাবলী অনুসরণ করা যেতে পারে। যেমন –

Alam AKMN (2007) Participatory training of trainers: a new approach applied in fish processing (first edition). Bangladesh Fisheries Research Forum, Dhaka. 329pp. ISBN 984-32-2717-4. Downloaded on 11 October 2015 and from http://bfrf.org/site/index.php/publication9.

ইংরেজি ছাড়া অন্যান্য ভাষায় (যেমন বাংলা) লিখিত গ্রন্থের তথ্যসূত্র বাংলায় লিখিত প্রকাশনার ক্ষেত্রে ইংরেজিতে তথ্যসূত্র লেখার যেসব নিয়মাবলী ব্যবহৃত হয় সে সব নিয়মাবলীই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অনুসৃত হয়ে থাকে। যেমন-

সামাদ মোআ (২০১০) মাৎস্যবিজ্ঞান অভিধান; কবির পাবলিকেশন্স; ঢাকা, বাংলাদেশ; ৪২৪পৃষ্টা।

অন্যদিকে বাংলা গ্রন্থের তথ্যসূত্র ইংরেজিতে লিখিত ডকুমেন্টে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইংরেজিতে অনুবাদ করে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন উল্লেখিত তথ্যসূত্রটি নিম্ন লিখিতভাবে লেখা হয়ে থাকে –

Samad MA (2010) Fisheries Dictionary (In Bengali). Kabir Publications, Dhaka, Bangladesh. 424 pp.

অথবা

Samad MA (2010) Matsya Ovidhan (In Bengali). Kabir Publications, Dhaka, Bangladesh. 424 pp.

 

মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক ২০১৪ সালে প্রকাশিত জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৪ সংকলন শিরোনামের গ্রন্থটির তথ্যসূত্র নিম্নোক্তভাবে লেখা হয়ে থাকে –

DoF (2014) National Fish Week 2015 Compendium (In Bengali). Department of Fisheries, Ministry of Fisheries and Livestock, Bangladesh. 144 pp.

অথবা

DoF (2014) Jatyo Matsha Saptah 2015 Sangkalan (In Bengali). Department of Fisheries, Ministry of Fisheries and Livestock, Bangladesh. 144 pp.

 

এখন প্রশ্ন এসে দেখা দেয় এতসব নিয়মাবলী ও বিকল্প নিয়ম-কানুনের মধ্যে কোনটি ব্যবহার করা উচিৎ? রেফারেন্স লেখার ক্ষেত্রে এই প্রশ্নের উত্তরটি জানা থাকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ শুরুতেই এটি নির্ধারণ করে না নিলে একজন গবেষক বা বিজ্ঞান লেখককে ভয়াবহ যন্ত্রণার মধ্য পড়তে হয়। এতে তার যেমন সময় অপচয় হয় তেমনই শ্রমও নষ্ট হয়। তাই শুরুতেই তথ্যসূত্রের কোন ছকটি ব্যবহার করা হবে তা নির্ধারণ করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। একজন ভাল গবেষক থিসিসের কাজ শুরু করার সময়ই তার গবেষণা তত্ত্বাবধায়কের (সুপারভাইজার) সাথে আলোচনা করে একটি ছক নির্ধারণ করে নিয়ে থাকেন। আর বিজ্ঞান লেখককে শুরুতেই দেখে নিতে হয় তিনি যে জার্নালে তার প্রবন্ধটি প্রকাশের জন্য জমা দেবেন তার তথ্যসূত্রের ছকটি কেমন বা যে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থেকে তার গ্রন্থটি প্রকাশ করবেন বলে প্রত্যাশা করছেন তারা তথ্যসূত্র লেখার কোন ছকটি ব্যবহার করে থাকে। সাধারণত প্রতিটি জার্নালের Author Guideline অংশে এই বিষয়টি উদাহরণসহ উপস্থাপন করা থাকে। এছাড়াও কোন প্রবন্ধ বা গ্রন্থের তথ্যসূত্র তালিকার তথ্যসূত্রগুলো মনোযোগ সহকারে পর্যবেক্ষণ করলেই তথ্যসূত্রের ছকটি বোঝা সম্ভব। এ লেখায় তথ্যসূত্রের উদাহরণগুলো Journal of Fisheries এ অনুসৃত নীতিমালা অনুসারে প্রদান করা হয়েছে।


Visited 9,890 times, 1 visits today | Have any fisheries relevant question?
সহজ ভাষায় তথ্যসূত্র (reference) লেখার নিয়মাবলী: পর্ব-তিন

Visitors' Opinion

এ বি এম মহসিন

প্রফেসর, ফিশারীজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী-৬২০৫, বাংলাদেশ। বিস্তারিত ...

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.