দেশের উপকূলীয় এলাকার মোহনাঞ্চলে সাধারণত মধ্য মে থেকে ইলিশের মৌসুম শুরু হয়ে থাকে। কিন্তু দেড় মাস পার হয়ে যাবার পরও আশানুরূপ ইলিশ না পেয়ে হতাশ ইলিশ জেলেরা। হতাশার প্রধান কারণ- প্রতি মৌসুমের মতো এবারও মহাজনের কাছে থেকে দাদন নিয়ে ইলিশ ধরার ব্যবস্থা করেছিল তারা কিন্তু যে পরিমাণ ইলিশ ধরা পরছে তাতে খরচের টাকাই উঠছে না দাদনের টাকা পরিশোধ তো দূরের কথা। এর সাথে জেলে আর মহাজনের লেনদেনের বিষয়টিই শুধু জড়িত নয় এর সাথে জড়িয়ে আছে দেশের ইলিশ উৎপাদন আর বাণিজ্যের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলী। বিষটি মৎস্য সেক্টরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবার আর একটি কারণ এই যে, দেশে মাছের মোট উৎপাদনের প্রায় ১২ শতাংশ আসে ইলিশ থেকে। একক প্রজাতি হিসেবে মৎস্য উৎপাদনে ইলিশের অবদানই সর্বোচ্চ। তাই বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে এর বর্তমান বাস্তবতা, কারণ অনুসন্ধান ও আমাদের করণীয় নির্ধারণ করা অতীব জরুরী। এই লেখায় সে চেষ্টাই করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দেশের পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে যেসব তথ্য জানা যায় সেগুলোর মধ্য উল্লেখযোগ্য হল-
গত ১৪ জুলাই ২০১০ তারিখের প্রথম আলো পত্রিকায় নেয়ামতউল্যাহ (ভোলা) এর “মেঘনায় ইলিশের আকাল” শিরোনামের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়- জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরু থেকে কার্তিকের শেষ পর্যন্ত ইলিশ ধরার মৌসুম। এর মধ্যে আষাঢ়-শ্রাবণ ইলিশের ভরা মৌসুম। সে অনুযায়ী এখন জালে দেদার ইলিশ পড়ার কথা। কিন্তু তা পড়ছে না। অনেক জেলে মেঘনায় ইলিশ না পেয়ে বেকার বসে আছেন। তাঁরা জানান, ইঞ্জিনচালিত নৌকা (বড় ট্রলার) নিয়ে গেলে তাঁদের জ্বালানি তেল ও খাবার খরচই উঠতে চায় না। এ জন্য মাছ ধরতে না গিয়ে বসে আছেন। জ্বালানি তেলসহ আনুষঙ্গিক খরচ বেড়ে যাওয়াও তাঁদের মাছ ধরতে না যাওয়ার একটি বড় কারণ।
স্থানীয় জেলে, ইলিশ ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট জনসাধারণ ইলিশ না পাওয়ার যেসব কারণ উল্লেখ করেছে সেগুলো হল- টাকার লোভে আজকাল জেলে না হয়েও অনেকে ডিমভরা ইলিশ ধরে বিক্রি করছে। এতে ইলিশের বংশবৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে। এটিই ইলিশের আকাল দেখা দেওয়ার মূল কারণ। ইলিশের উৎস হিসেবে পরিচিত ছিল মেঘনার শাহবাজপুর চ্যানেল। ঝাঁকে-ঝাঁকে ইলিশ পড়ত সেখানে। এখন সেখানে হরদম ট্রলার চলাচল করায় ইঞ্জিনের বিকট শব্দে ইলিশ আসে না। নদীতে ডুবোচর রয়েছে। এতে পানির গভীরতা কমে যাওয়ায় ইলিশ আসতে চায় না। বর্ষাকালে আগে যে পরিমাণ বৃষ্টি হতো, এখন তা হচ্ছে না। এই প্রাকৃতিক পরিবর্তনের কারণে জুন-জুলাই মাসেও ইলিশের দেখা নেই।
তবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ক্রকিস চন্দ্র মল্লিকের মতে, প্রজননের জন্য যেসব ইলিশ মেঘনা, তেঁতুলিয়া নদীসহ মিঠা পানিতে আসে, এসব ইলিশের জন্য চাই গভীর পানি। কিন্তু নদীগুলোর গভীরতা কমে যাওয়ায় ডিম পাড়তে ইলিশ আসছে না। যেসব জাটকা নদীতে ছিল, গত তিন মাসে বড় হয়ে সেগুলো সাগরে নেমে গেছে। এতে নদীতে এখন ইলিশ নেই। আগস্ট থেকে নদীতে ইলিশ আসতে শুরু করবে বলে আশা করা যায়। প্রচুর বৃষ্টি না হওয়া এবং তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণেও উপকূলীয় অঞ্চলে ইলিশের বিচরণের পরিবেশ থাকছে না। তবে ভরা বর্ষায় বড় ইলিশ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
অন্যদিকে গত ২৯ আগষ্ট ২০১০ তারিখের প্রথম আলোতে প্রকাশিত এম জসীম উদ্দীন (বরগুনা) এর ‘খালি ইলশার সুরতটা দেহি’ শিরোনামের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়- পাথরঘাটা আড়তে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ মণ মাছ আসে। অথচ আগে এই মৌসুমে ৩০ থেকে ৪০ হাজার মণ ইলিশ প্রতিদিন এই কেন্দ্রে আসত। গত ৩০ বছরে সাগরে মাছের এমন আকাল তাঁরা দেখেননি। বৈশাখের শুরুতে মহাজনের কাছ থেকে দাদন ও ধারদেনা করে জাল-নৌকা ঠিকঠাক করে সাগরে গিয়েছেন বেশ কয়েকবার। কিন্তু আশানুরূপ ইলিশ পাননি। তার ওপরে জলদস্যুদের বেপরোয়া চাঁদাবাজি, অপহরণ-নির্যাতনের আতঙ্ক তো আছেই।
ভরা মৌসুমে সাগরে ইলিশ না পাওয়ার বিষয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের কোর্স সমন্বয়কারী সুলতান মাহমুদ বলেন, নাব্যতা হ্রাস, নির্বিচারে জাটকা নিধন, অনাবৃষ্টি, পানি দূষণসহ নানা কারণে এটা হতে পারে।
বেসরকারি সংস্থা কোডেকের বরিশাল অঞ্চলিক কার্যালয়ের গবেষক হারুন অর রশিদ বলেন, ইলিশের গতিপথ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড় আইলার প্রভাব কম দায়ী নয়। আইলার কারণে এবার বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে দেরিতে। সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় সাগরের পানির লবণাক্ততা পরিবর্তন হয়নি। যে কারণে একটি বাচ্চা ইলিশ যখন নদী থেকে গভীর সাগরে গিয়ে পূর্ণতা পায়, তখন সে স্বাভাবিকভাবে উপকূলে ফিরে আসার মতো পরিবেশ পায় না। উপকূলীয় নদ-নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় এটা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বাধাগ্রস্ত হয়ে ইলিশ পুনরায় সাগরে গিয়ে তার আগের অবস্থান বদল করে অন্যত্র চলে যায়।
গত ২২ আগষ্ট ২০১০ তারিখের প্রথম আলোতে গৌরনদী (বিরিশাল) প্রতিনিধির “আড়িয়াল খাঁ ও সন্ধ্যা নদীতে ইলিশের আকাল” শিরোনামের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়- উজিরপুর থেকে বানারীপাড়া পর্যন্ত সন্ধ্যা নদীতে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত, বর্তমানে মাছ নাই। প্রতিবছর বৈশাখ থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত জেলেরা বেপরোয়াভাবে ঝাটকা ধরায় আজ এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। হোসনাবাদ বন্দরের আড়তদার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আগে এই বাজারে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার ইলিশ বেচাকেনা হতো। বর্তমানে ১০-১২ হাজার টাকার ইলিশ বেচাকেনা হওয়া কষ্টকর। প্রতিটি বাজারেই ছয়-সাতটায় কেজি ওজনের ইলিশ (জাটকা) মাছ ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উজিরপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মত্স্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলেরা যাতে ঝাটকা না ধরে সে জন্য তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উপজেলার ৩৭২ জন জেলেকে চার মাসের জন্য প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। ঝাটকা নিধন বন্ধ করা হলেই জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়বে এবং জেলেদের দুর্দিন কেটে যাবে। ঝাটকা নিধনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে গৌরনদী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রণব কুমার বলেন, ‘এ অঞ্চলে ইলিশের পুরোনো জায়গায় ফিরে যেতে হলে ঝাটকা নিধন বন্ধ করতে হবে।’
গত ১৮ আগষ্ট ২০১০ তারিখের দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকায় “কলাপাড়ায় ২০ হাজার জেলে পরিবার বেকার” শিরোনামের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়- কলাপাড়ার গোটা উপকূলজুড়ে আবার ইলিশের ভয়াবহ আকাল শুরম্ন হয়েছে। গত ছয় দিন ধরে ইলিশের মোকামগুলো খালি হয়ে আছে। সাগর থেকে খালি হাতে ফিরছে জেলেরা। মৌসুমের দুই তৃতীয়াংশ সময় পার হয়ে যাওয়ার পরে ২৫ দিন আগে ইলিশের দেখা পায় জেলেরা। স্বত্মি নেমে আসে জেলেপল্লীসহ আড়তগুলোয়। মোকাম এলাকায় ফিরে আসে প্রাণ। জেলেদের মুখেও হাসি ফোটে। কিন্তু ২০ দিন যেতে না যেতই আবার ইলিশ শূন্য হয়ে পড়ে কলাপাড়ার গোটা উপকূল। জেলেরা হতাশ হয়ে পড়েছে ইলিশের ভয়াবহ আকালের কারণে। লোকসানের বোঝায় কাহিল হয়ে পড়েছেন আড়ত মালিকসহ ব্যবসায়ীরা। দাদন নেয়া জেলেরাও পেশা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে। কারণ একেকবারে সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ছোট থেকে মাঝারি সাইজের ট্রলারে কুড়ি থেকে ৩০ হাজার এবং বড় সাইজের ট্রলারে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। অথচ ফিরতে হয় খালি হাতে। এভাবে একেকটি ট্রলারের জেলেরা গত পাঁচ/ছয়দিনে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা লোকসান দিয়েছে। অথচ ইলিশের দেখা মিলছে না। বরফ, জ্বালানি তেল ও জেলেদের খাবারের যোগান দিতে গিয়ে এখন আড়ত মালিকরাও দিশেহারা।
গত ২৮ আগস্ট ২০১০ তারিখের আমার দেশ পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে মাহবুব আলম লাভলু মতলব (চাঁদপুর) এর “সাগর ছেড়ে মেঘনায় আসছে না ইলিশ” শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়-চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলায় অন্যান্য বছর এ সময় জেলেদের জালে প্রচুর বড় রুপালি ইলিশ ধরা পড়লেও এবার ঘটছে তার ব্যতিক্রম। তারা নদী থেকে মাছশূন্য হয়েই বাড়ি ফিরছেন। আবার নদীতে নৌ-দস্যুর তত্পরতাও বেড়ে যাওয়ায় মত্স্যজীবীরা এখন এ পেশা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। ভরা মৌসুমেও ইলিশের দেখা না পাওয়ায় তাদের জীবন-জীবিকার উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না তারা। ফলে উপজেলার ২০ হাজার জেলে বেকার সময় কাটাচ্ছেন। তাদের পরিবারগুলোতে চলছে দুর্দিন।
এ বছর বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় প্রজনন মৌসুমে ডিম ছাড়ার জন্য ইলিশ মেঘনা উপকূলে আসেনি। তারপর আবার পানি ভালো নয় বিধায় মেঘনায় ইলিশ আসেনি। শুধু ইলিশই নয়, অন্য মাছের আনাগোনাও নেই এবার।
উপজেলা মত্স্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. জহিরুল ইসলাম জানান, মেঘনায় অসংখ্য ডুবোচর সৃষ্টি হওয়ার ফলে ইলিশ অবাধ বিচরণে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় ভরা মৌসুম সত্ত্বেও ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া মেঘনার পানি এবার বদ্ধ ও ঘোলা থাকাও আরেকটি কারণ।
গত ১৯ জুন ২০১০ তারিখে বিডি নিউজ ২৪ এ প্রকাশিত “ইলিশ আহরণ কম, চাঁদপুরে ব্যবসায়ীরা হতাশ” শিরোনামের খবরে ইলিশের আকাল হবার যে সব কারণ বলা হযেছে সেগুলো হল- অতি মাত্রায় জাটকা আহরণ, নদীর পানি বেশি ঘোলা হয়ে যাওয়া, ইলিশের খাদ্য কমে যাওয়া এবং পরিবেশ দূষণের কারণে নদীতে ইলিশ কম পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক বিভিন্ন কারণে ইলিশ কম ধরা পড়ছে। ইলিশের খাদ্য ও প্রজনন বৃদ্ধি পেলে জেলেদের জালে ধরা পড়ে বেশি। এখন প্রজননের সময় নয়। তাই নদীতে ইলিশের আগমন কম। এ কারণে জেলেদের জালে ধরাও পড়ছে কম।
এছাড়া এবার নদী থেকে বেশি পরিমাণে জাটকা আহরণ, বিভিন্ন স্থানে পলি জমা এবং বুড়িগঙ্গার দূষিত পানি চাঁদপুরের নদী সীমানায় প্রবেশের কারণেও ইলিশ তার জৌলুস হারাচ্ছে। গতবছর ২০ হাজার মেট্রিক টন জাটকা ধরেছিল জেলেরা। এবার সতর্কতা ও প্রচারণা চালানো সত্ত্বেও গতবারের চেয়ে বেশি জাটকা নদী থেকে আহরিত হয়েছে। তবে এর সঠিক সংখ্যা নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। তবে বৃষ্টি ঠিকমতো হলে চলতি বছরের আগস্ট মাস থেকে নদীতে বেশি ইলিশ মাছ ধরা পড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
উল্লেখিত প্রতিবেদনের তথ্য থেকে ভরা মৌসুমেও ইলিশের আকালের যেসব কারণ জানা যায় সেগুলো হচ্ছে-
- অতিমাত্রায় ডিমওয়ালা মা ইলিশ নিধন
- মাত্রাতিরিক্ত জাটকা নিধন
- নদীর তলদেশে পলি জমে ডুবোচরের পরিমাণ বৃদ্ধি
- প্রচুর বৃষ্টিপাত না হওয়া
- নদীর নাব্যতা হ্রাস পাওয়া
- লবনাক্ততা যথাযথ মাত্রায় হ্রাস না পাওয়া
- তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া
- নদীর পানি মাত্রারিক্ত ঘোলা থাকা
- ইলিশের খাদ্য কমে যাওয়া
- পানি দূষণ (বুড়িগঙ্গার দূষিত পানি চাঁদপুরের নদী সীমানায় প্রবেশ)
- শব্দদূষন (যন্ত্রচালিত জলযানের যেমন-ট্রলার ইত্যাদি চলাচল )
উপরোক্ত কারণসমূহ পর্যালোচনা করে ইলিশের প্রাচুর্যতা ফিরিয়ে আনতে এখনই জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। সেই পদক্ষেপগুলো কি হবে তা নির্ধারণে প্রয়োজন যথাযথ গবেষণার। তবে এখনই যা করা প্রয়োজন তা হল- জাটকা ও ডিমওয়ালা মা ইলিশ নিধন বন্ধের কার্যকর পদ্ধতি প্রয়োগ করা, পানি দুষনের কারণ খুঁজে বের করে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। এছাড়াও প্রাকৃতিক কারণ গুলোর যেমন- নাব্যতা হ্রাস, ডুবোচরের পরিমাণ বৃদ্ধি, কম বৃষ্টিপাত, লবনাক্ততা যথাযথ মাত্রায় হ্রাস না পাওয়া, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, ইলিশের খাদ্যের পরিমাণ কমে যাওয়া ইত্যাদির মূল কারণ অনুসন্ধান এবং প্রতিকারের উপায় নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ করে তার ফলাফল অনুসারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে।
Visited 469 times, 1 visits today | Have any fisheries relevant question?