বাংলাদেশের মৎস্য অধিদপ্তর বিগত বছরগুলোর মত ২০১১ সালেও ২০০৯-২০১০ অর্থ বছরের মৎস্য সম্পদের বছরওয়ারি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। সেই পরিসংখ্যানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এখানে বিশ্লেষণসহ উপস্থাপন করা হল। মূলত ২০০৯-২০১০ বছরের মৎস্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্যাটাগরি ভিত্তিক তথ্য/উপাত্ত এবং এর বাৎসরিক বৃদ্ধি বা হ্রাসের শতকরা হার এখানে দেখানো হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ ও সামুদ্রিক মৎস্যের জলায়তন:
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ মৎস্যের জলায়তনের মধ্যে বদ্ধ জলাশয়ের পরিমাণ বাড়লেও (১৫.৮৩%) কমেছে উন্মুক্ত জলাশয়ের পরিমাণ (-০.৫৬%)। বদ্ধ জলাশয়ের মধ্যে আধাবদ্ধ জলাশয় হিসেবে নতুন যোগ হয়েছে প্লাবনভূমি যার পরিমাণ ২২,৩৮২ হেক্টর। অন্যদিকে সুন্দরবনসহ নদী ও মোহনা, বিল এবং কাপ্তাই হ্রদের জলায়তন অপরিবর্তিত রয়েছে (টেবিল- এক) তেমনই অপরিবর্তিত রয়েছে সামুদ্রিক মৎস্যের জলায়তন (টেবিল- দুই)।

টেবিল-একঃ অভ্যন্তরীণ মৎস্যের জলায়তন

বিবরণ

পরিমাণ

একক

বৃদ্ধি বা হ্রাস (%)

বদ্ধ জলাশয়

পুকুর ও ডোবা

৩,৫০,৫৯৫

হেক্টর

+ ১৩.০০

অক্সবো লেক (বাঁওড়) ৮,৫৫৬

হেক্টর

+ ৩৫.৮৬

আধাবদ্ধ প্লাবনভূমি ২২,৩৮২

হেক্টর

চিংড়ি খামার ২,৪৬,১৯৮

হেক্টর

+ ১১.৫০

মোট ৬,২৭,৭৩১

হেক্টর

+ ১৫.৮৩

উন্মুক্ত জলাশয়

নদী ও মোহনা (সুন্দরবনসহ)

১০,৩১,৫৬৩

হেক্টর

বিল ১,১৪,১৬১

হেক্টর

কাপ্তাই লেক ৬৮,৮০০

হেক্টর

প্লাবনভূমি ২৮,১০,৪১০

হেক্টর

– ০.৮২

মোট ৪০,২৪,৯৩৪

হেক্টর

– ০.৫৬

সর্বোমোট ৪৬,৫২,৬৬৫

হেক্টর

+১.৬৫

টেবিল-দুইঃ সামুদ্রিক মৎস্যের জলায়তন

বিবরণ

পরিমাণ

একক

বৃদ্ধি বা হ্রাস (%)

সমুদ্রসীমা

২,৬৪০

বর্গ নটিক্যাল মাইল

একান্ত অর্থনৈতিক এলাকা ৪১,০৪০

বর্গ নটিক্যাল মাইল

মহীসোপান এলাকা ২৪,৮০০

বর্গ নটিক্যাল মাইল

উপকূলীয় অঞ্চলের বিস্তৃতি ৭১০

কিলোমিটার

জেলে ও মৎস্যচাষির সংখ্যা:
জেলের সংখ্যা এবং চিংড়ি চাষির সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে মৎস্যচাষির সংখ্যা (+ ৩৭.৩৪%) যা বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে টেবিল- তিন ও চারে।

টেবিল-তিনঃ জেলের সংখ্যা

বিবরণ

পরিমাণ

একক

বৃদ্ধি বা হ্রাস (%)

অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের জেলে

৭.৭০

লক্ষ জন

সামুদ্রিক জেলে ৫.১০

লক্ষ জন

মোট ১২.৮০ লক্ষ জন

টেবিল-চারঃ মৎস্য চাষির সংখ্যা

বিবরণ

পরিমাণ

একক

বৃদ্ধি বা হ্রাস (%)

মৎস্য চাষি

৩০.৮০

লক্ষ জন

+ ৩৭.৩৪

চিংড়ি চাষি ১১.৫০

লক্ষ জন

মোট

৪২.৩০

লক্ষ জন

+ ২৭.১৯

মোট মৎস্য উৎপাদন:
টেবিল-পাঁচ, ছয় ও সাত এর তথ্যানুসারে যায় এবছর দেশের মোট মৎস্য উৎপাদন হয়েছে ২৮,৯৯,১৯৮ মে. টন যা গত বছরের চেয়ে ৬.৮২ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে অভ্যন্তরীন জলাশয়ের মৎস্য উৎপাদন বেড়েছে ৮.১৯ শতাংশ এবং সামুদ্রিক উৎস্য হতে উৎপাদন বেড়েছে মাত্র ০.৫১%। অভ্যন্তরীন জলাশয়ের মৎস্য উৎপাদনের মধ্যে বদ্ধ জলাশয়ের (চাষকৃত) মৎস্য উৎপাদন ২১.৩৯% বাড়লেও উন্মুক্ত জলাশয়ের (আহরিত) মৎস্য উৎপাদন কমেছে ৯.১৩% (টেবিল-পাঁচ)।

টেবিল-পাঁচঃ মোট মৎস্য উৎপাদনঃ অভ্যন্তরীণ জলাশয় হতে-

বিবরণ

পরিমাণ

একক

বৃদ্ধি বা হ্রাস (%)

বদ্ধ জলাশয় (চাষকৃত) ১৩,৫১,৯৭৯

মে. টন

+ ২১.৩৯

উন্মুক্ত জলাশয় (আহরিত) ১০,২৯,৯৩৭

মে. টন

– ৯.১৩

মোট

২৩,৮১,৯১৬

মে. টন

+ ৮.১৯

টেবিল-ছয়ঃ মোট মৎস্য উৎপাদনঃ সামুদ্রিক জলাশয় হতে-

বিবরণ

পরিমাণ

একক

বৃদ্ধি বা হ্রাস (%)

ট্রলার দ্বারা আহরিত ৩৪,১৮২

মে. টন

– ৩.৬৫

আর্টিসেনাল (ইঞ্জিন চালিত নৌকা দ্বারা আহরিত) ৪,৮৩,১০০

মে. টন

+ ০.৮০

মোট

৫,১৭,২৮২

মে. টন

+ ০.৫১

টেবিল-সাতঃ মোট মৎস্য উৎপাদন

বিবরণ

পরিমাণ

একক

বৃদ্ধি বা হ্রাস (%)

অভ্যন্তরীণ জলাশয়

২৩,৮১,৯১৬

মে. টন

+ ৮.১৯

সামুদ্রিক জলাশয়

৫,১৭,২৮২

মে. টন

+ ০.৫১

মোট

২৮,৯৯,১৯৮

মে. টন

+ ৬.৮২

গড় মৎস্য উৎপাদন:
হেক্টর প্রতি চাষকৃত মাছের গড় উৎপাদন সর্বোচ্চ বেড়েছে বাঁওড়ে (১৯.৬৯%) অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি কমেছে চিংড়ি খামারে (-৫.৫৩%) । হেক্টর প্রতি আহরিত মাছের গড় উৎপাদন বেড়েছে শুধুমাত্র নদী ও মোহনা অঞ্চলে। বিল, কাপ্তাই লেক, প্লাবনভূমিতে কমলেও সবচেয়ে বেশি কমেছে সুন্দরবনে (-১২৬.০৯%) [টেবিল-আট]।

টেবিল-আটঃ গড় মৎস্য উৎপাদন (অভ্যন্তরীণ জলাশয় হতে)

বিবরণ

পরিমাণ

একক

বৃদ্ধি বা হ্রাস (%)

বদ্ধ জলাশয় (চাষকৃত)

পুকুর ও ডোবা

৩,২৫৩

কেজি/হেক্টর

+ ৮.০৫

আধাবদ্ধ জলাশয় প্লাবনভূমি
২,০৯৬
কেজি/হেক্টর


বাঁওড়
১,১৪৩

কেজি/হেক্টর

+ ১৯.৬৯

চিংড়ি খামার ৬৩৩

কেজি/হেক্টর

– ৫.৫৩

উন্মুক্ত জলাশয় (আহরিত)

নদী ও মোহনা

১৮০

কেজি/হেক্টর

+ ১০.০০

সুন্দরবন ৪৬ কেজি/হেক্টর

– ১২৬.০৯

বিল ৬১৫ কেজি/হেক্টর

– ১২.৮৫

কাপ্তাই লেক ১০৩ কেজি/হেক্টর

– ২১.৩৬

প্লাবনভূমি ২৮১ কেজি/হেক্টর

– ১০.৩২

প্রজাতি ভিত্তিক মৎস্য উৎপাদন:
প্রজাতি ভিত্তিক মৎস্য উৎপাদন ইলিশের ক্ষেত্রে ৪.৬০% বাড়লেও চিংড়ির ক্ষেত্রে কমেছে ৩১.০৮% (টেবিল-নয়)। সামুদ্রিক ইলিশের উৎপাদন কমলেও বেড়েছে অভ্যন্তরীণ ইলিশের উৎপাদন। চাষকৃত চিংড়ির উৎপাদন কমেছে ১৬.৯২% অন্যদিকে আহরিত চিংড়িও উৎপাদন কমেছে ৪৩.৬৭%। চাষকৃত ও আহরিত চিংড়ির উৎপাদন কমলেও মোট উৎপাদিত চিংড়ির ৪৭.০৭ ভাগই চাষকৃত যা গত বছরের চেয়ে ১০.৭৭ শতাংশ বেশী।

টেবিল-নয়ঃ প্রজাতি ভিত্তিক মৎস্য উৎপাদন

বিবরণ

পরিমাণ

একক

বৃদ্ধি বা হ্রাস (%)

ইলিশ

অভ্যন্তরীণ

১,১৪,৭৬৮

মে. টন

+ ১৬.৩৮

সামুদ্রিক ১,৯৮,৫৭৪ মে. টন

– ২.২০

মোট ৩,১৩,৩৪২

মে. টন

+ ৪.৬০

চিংড়ি

চাষকৃত

৮৭,৯৭২

মে. টন

– ১৬.৯২

আহরিত ৯৮,৯২০ মে. টন

– ৪৩.৬৭

মোট ১,৮৬,৮৯২ মে. টন

– ৩১.০৮

চাষকৃত চিংড়ির শতকরা হার ৪৭.০৭ মে. টন

+ ১০.৭৭

মৎস্য ও মৎস্যজাত দ্রব্য রপ্তানি:
মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্লান্টের সংখ্যায় গত বছর কোন পরিবর্তন না হলেও এ বছর বেড়ে হয়েছে ১৬২ টি যা গত বছরের চেয়ে ১৭.৯০% বেশী (টেবিল-দশ)। অন্যদিকে মৎস্য ও মৎস্যজাত দ্রব্যাদি রপ্তানির পরিমাণ ও মূল্য বাড়লেও বৈদেশিক মুদ্রায় অবদান কমেছে ১১.১১%।

টেবিল-দশঃ মৎস্য ও মৎস্যজাত দ্রব্য রপ্তানি

বিবরণ

পরিমাণ

একক

বৃদ্ধি বা হ্রাস (%)

পরিমাণ ৭৭,৫৮৪.১২

মে. টন

+ ৬.০৫

মূল্য ৩,৪০৮.৫১

কোটি টাকা

+ ৪.৮৪

মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্লান্ট

১৬২

টি

+ ১৭.৯০

বৈদেশিক মুদ্রায় অবদান ২.৭০ শতাংশ

– ১১.১১

জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য খাতের অবদান:
গত বছরের মত এবছরও জিএনপি-তে মাছের মূল্য ও অবদানের কোন পরিবর্তন হয় নি অন্যদিকে কৃষিখাতে অবদান গত বছর ৬.৫২ শতাংশ বাড়লেও এ বছর রয়েছে অপরিবর্তিত (টেবিল-এগার)।

টেবিল-এগারঃ জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য খাতের অবদান

বিবরণ

পরিমাণ

একক

বৃদ্ধি বা হ্রাস (%)

জিএনপি-তে মাছের মূল্য ১৯,৫৬৭.৯০

কোটি টাকা

জিএনপি-তে অবদান ৩.৭৪

শতাংশ

কৃষিখাতে অবদান

২২.২৩

শতাংশ

মাছ গ্রহণ, চাহিদা ও ঘাটতি:
জনপ্রতি মাছের বাৎসরিক চাহিদা গত বছরে ১৩.৫৬% বাড়লেও এবছর অপরিবর্তিত রয়েছে। অন্যদিকে বাৎসরিক মাছের মোট চাহিদা বেড়েছে ৮.৯৯ শতাংশ। জনপ্রতি বাৎসরিক মাছ গ্রহণের পরিমাণ ৭.৫ % বাড়লেও জনপ্রতি বাৎসরিক মাছের ঘাটতি কমেছে ৯৪.৬৮ শতাংশ যা আশাপ্রদ খবর (টেবিল-বার)। তবে প্রাণিজ আমিষ সরবরাহে মাছের অবদানে কোন পরিবর্তন হয়নি এবছরও।

টেবিল-বারঃ মাছ গ্রহণ, চাহিদা ও ঘাটতি

বিবরণ

পরিমাণ

একক

বৃদ্ধি বা হ্রাস (%)

জনপ্রতি মাছের বাৎসরিক চাহিদা

২০.৪৪

কেজি

জনপ্রতি বাৎসরিক মাছ গ্রহণ

১৮.৯৪

কেজি

+ ৭.৫০

জনপ্রতি বাৎসরিক মাছের ঘাটতি

১.৫০

কেজি -৯৪.৬৭
বাৎসরিক মাছের চাহিদা ৩২.৭২ লক্ষ মে. টন + ৮.৯৯
প্রাণিজ আমিষ সরবরাহে মাছের অবদান ৫৮ শতাংশ

সরকারী মৎস্য হ্যাচারি ও নার্সারির সংখ্যা এবং রেণু উৎপাদন ও সংগ্রহ:
দেশে মৎস্য হ্যাচারির সংখ্যা গত বছর ২.১৮% কমলেও এ বছরে বেড়েছে ৮.২৭ শতাংশ। কিন্তু হ্যাচারিতে রেণু উৎপাদন,  মৎস্য নার্সারির সংখ্যা এবং নার্সারিতে পোনা মাছ উৎপাদন বাড়েনি সামান্যও। কিন্তু প্রাকৃতিক উৎস্য হতে রেণু সংগ্রহের পরিমাণ ১৪.৮৪% বেড়ে হয়েছে ২,২০৩ কেজি‌। বিস্তারিত টেবিল-তের।

টেবিল-তেরঃ সরকারী মৎস্য হ্যাচারি ও নার্সারির সংখ্যা এবং রেণু উৎপাদন ও সংগ্রহ

বিবরণ

পরিমাণ

একক

বৃদ্ধি বা হ্রাস (%)

মৎস্য হ্যাচারির সংখ্যা

৯৩১

টি

– ৮.২৭

হ্যাচারিতে রেণু উৎপাদন

৪,৫৯,৮০৪

কেজি

মৎস্য নার্সারির সংখ্যা

৮,৮৮১

টি

নার্সারিতে পোনা মাছ উৎপাদন ৯৬,০০১ লক্ষ টি
প্রাকৃতিক উৎস্য হতে রেণু সংগ্রহ ২,২০৩ কেজি + ১৪.৮৪

বেসরকারী চিংড়ি হ্যাচারির সংখ্যা এবং রেণু উৎপাদন ও সংগ্রহ:
গত বছর বাগদা হ্যাচারির সংখ্যা সামান্য বেড়ে (১.৭৫%) ৫৮টি হলেও এবছর নতুন কোন হ্যাচারি স্থাপিত হয়নি। এছাড়াও অপরিবর্তিত রয়েছে বাগদার রেণু (পিএল) উৎপাদন, গলদা হ্যাচারি সংখ্যা, গলদার রেণু (পিএল) উৎপাদন ও প্রাকৃতিক উৎস্য থেকে চিংড়ির রেণু (পিএল) সংগ্রহের পরিমাণ (টেবিল-চৌদ্দ)।

টেবিল-চৌদ্দঃ বেসরকারী চিংড়ি হ্যাচারির সংখ্যা এবং রেণু উৎপাদন ও সংগ্রহ

বিবরণ

পরিমাণ

একক

বৃদ্ধি বা হ্রাস (%)

বাগদা হ্যাচারির সংখ্যা

৫৮

টি

বাগদার রেণু (পিএল) উৎপাদন

৫১,০০০

লক্ষ টি

গলদা হ্যাচারি সংখ্যা

৫৩

টি

গলদার রেণু (পিএল) উৎপাদন ১০,৮০০ লক্ষ টি
প্রাকৃতিক উৎস্য থেকে চিংড়ির রেণু (পিএল) সংগ্রহ ১০,০০০ লক্ষ টি

সরকারী অবকাঠামো:
মৎস্য হ্যাচারি/মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার ৫.৮৮% বেড়ে হয়েছে ১১৯টি এবং হ্যাচারিতে বেণু উৎপাদন বেড়েছে মাত্র ০.৭৫ শতাংশ। অন্যদিকে মৎস্য/চিংড়ি প্রশিক্ষণ খামার, মৎস্য প্রশিক্ষণ একাডেমি,  বাগদা চিংড়ি হ্যাচারি, গলদা চিংড়ি হ্যাচারি, চিংড়ি প্রদর্শনী খামার, চিংড়ি আহরণ ও সেবা কেন্দ্র, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র (বিএফডিসি) ও মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র/উপকেন্দ্রের সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে এবছরও (টেবিল-পনের)।

টেবিল-পনেরঃ সরকারী অবকাঠামো (সংখ্যায়)

বিবরণ

পরিমাণ

একক

বৃদ্ধি বা হ্রাস (%)

মৎস্য/চিংড়ি প্রশিক্ষণ খামার

০৬

টি

মৎস্য প্রশিক্ষণ একাডেমি

০১

টি

মৎস্য হ্যাচারি/মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার

১১৯

টি

+ ৫.৮৮

হ্যাচারিতে বেণু উৎপাদন ৫,৫৯২ কেজি

+ ০.৭৫

বাগদা চিংড়ি হ্যাচারি ০২ টি

গলদা চিংড়ি হ্যাচারি ১৭ টি

চিংড়ি প্রদর্শনী খামার ০২ টি

চিংড়ি আহরণ ও সেবা কেন্দ্র ২০ টি

মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র (বিএফডিসি) ০৯ টি

মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র/উপকেন্দ্র ০৯ টি

সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ ইউনিট:
সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ ইউনিটের মধ্যে সনাতনী নৌকা এবং জাল ও বড়শীর পরিমাণ  অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে ট্রলার (১৫.৫৭%), ইঞ্জিন চালিত নৌকা (২০.২০%) এবং ইঞ্জিন বিহীন নৌকা (৩.৪৪%)। বিস্তারিত টেবিল-ষোল।

টেবিল-ষোলঃ সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ ইউনিট (সংখ্যায়)

বিবরণ

পরিমাণ

একক

বৃদ্ধি বা হ্রাস (%)

ট্রলার

১৬৭

টি

+ ১৫.৫৭

ইঞ্জিন চালিত নৌকা

২৬,৮৫৯

টি

+ ২০.২০

ইঞ্জিন বিহীন নৌকা

২৩,৩২৯

টি

+ ৩.৪৪

সনাতনী নৌকা ৪৩,৯৬০ টি

জাল ও বড়শী ২,১৮,৫৮১ টি

মৎস্য প্রজাতি:
বিদেশী মৎস্য প্রজাতি, স্বাদু পানির চিংড়ি প্রজাতি, সামুদ্রিক সৎস্য প্রজাতি ও সামুদ্রিক চিংড়ি প্রজাতির সংখ্যায় কোন পরিবর্তন না আসলেও স্বাদু পানির মাছের প্রজাতির সংখ্যা ১.৯২% কমে হয়েছে ২৬০টি (টেবিল-সতের)।

টেবিল-সতেরঃ মৎস্য প্রজাতি (সংখ্যায়)-

বিবরণ

পরিমাণ

একক

বৃদ্ধি বা হ্রাস (%)

স্বাদু পানির মাছ

২৬০

টি

– ১.৯২

বিদেশী মৎস্য প্রজাতি

১২

টি

স্বাদু পানির চিংড়ি প্রজাতি

২৪

টি
সামুদ্রিক সৎস্য প্রজাতি ৪৭৫ টি
সামুদ্রিক চিংড়ি প্রজাতি ৩৬ টি

মৎস্য সেক্টরের জনবল:
মৎস্য অধিদপ্তর মৎস্য সেক্টরের জনবলের ২০০৯-২০১০ সালের তথ্যাদি প্রকাশ করে নি। তাই এ বছরে মৎস্য সেক্টরের জনবলের সার্বিক বিশ্লেষণ দেখানো সম্ভব হল না। টেবিল-আঠারতে ২০০৮-২০০৯ সালের তথ্যাদি উপস্থাপন করা হল।

টেবিল-আঠারঃ মৎস্য সেক্টরের জনবল (২০০৮ – ২০০৯)

বিবরণ

পরিমাণ

একক

বৃদ্ধি বা হ্রাস (%)

মৎস্য অধিদপ্তর

প্রথম শ্রেণীর

৯২৬

জন

+ ২.৫৫

মোট

৪,৭৮০

জন

+ ৫.৮০

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনষ্টিটিউট

প্রথম শ্রেণীর

৭৭ জন

মোট

২৪৬ জন

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন

প্রথম শ্রেণীর

৯৪ জন

মোট

৭৯১ জন

পুনশ্চঃ

  • “বৃদ্ধি বা হ্রাস (%)” বলতে বাৎসরিক হ্রাস বা বৃদ্ধির শতকরা হার বোঝানো হয়েছে।
  • এই কলামে প্রদত্ত উপাত্তের সামনে + দিয়ে বাৎসরিক বৃদ্ধির হার, – দিয়ে বাৎসরিক হ্রাসের হার এবং শুধুমাত্র ০ বলতে অপরিবর্তশীল বোঝানো হয়েছে।

তথ্যসূত্রঃ

  • জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১১ সংকলন, ২০১১। মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়, ঢাকা, বাংলাদেশ। পৃষ্ঠা ১১৭-১২৪।
  • জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১০ সংকলন, ২০১০। মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়, ঢাকা, বাংলাদেশ। পৃষ্ঠা ১০২-১০৬।
  • জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০০৯ সংকলন, ২০০৯। মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়, ঢাকা, বাংলাদেশ। পৃষ্ঠা ১০৫-১০৯।

Visited 244 times, 1 visits today | Have any fisheries relevant question?
বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদ পরিসংখ্যানঃ ২০০৯-২০১০

Visitors' Opinion

এ বি এম মহসিন

প্রফেসর, ফিশারীজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী-৬২০৫, বাংলাদেশ। বিস্তারিত ...

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.