• চাষের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ৬ষ্ঠ।
  • গত দুই দশকে অহরণকৃত মাৎস্য উৎপাদন বেড়েছে ৬ শতাংশ এবং চাষের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বেড়েছে ২২ শতাংশ।
  • মোট অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের ৬.৬৭ শতাংশ এবং মোট বদ্ধ জলাশয়ের ৫৭.৭৩ শতাংশ পুকুর। অথচ মোট অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের ৪১.৯২ শতাংশ এবং মোট বদ্ধ জলাশয়ের ৮৬.১২ শতাংশ মৎস্য উৎপাদন হয় পুকুর থেকে।
  • চাষকৃত পুকুরের মোট মৎস্য উৎপাদনের ৮৪.২২ ভাগই আসে রুই জাতীয় মাছ থেকে।
  • দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের ৩৯ ভাগ (অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের ৪৯%) আসে মাছ চাষের মাধ্যমে।
  • হেক্টরপ্রতি গড় মৎস্য উৎপাদন পুকুরে ২,৮৩৯ কেজি, বাঁওড়ে ৮৭১ কেজি, চিংড়ি খামারে ৬১৮ কেজি।
  • দেশের মোট মৎস্য উৎপাদন ২৫,৬৩,২৯৬ মেট্রিক টন যা গতবছরের চেয়ে ৫.০৫ ভাগ বেশি।
  • দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের ১৯.৪১ শতাংশ আসে সমূদ্র থেকে আর বাকী ৮০.৫৯ ভাগ আসে অভ্যন্তরীণ জলাশয় থেকে।
  • অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের মৎস্য উৎপাদানের প্রায় ৫১ শতাংশ (মোট উৎপাদনের ৪১%) আসে মুক্ত জলাশয় হতে এবং অবশিষ্ট ৪৯ শতাংশ (মোট উৎপাদনের ৩৯%) আসে বদ্ধ জালাশয় হতে।
  • প্রাণীজ আমিষের ৫৮ ভাগে আসে মাছ থেকে।
  • দেশে মাছের বাৎসারিক চাহিদা জনপ্রতি ১৮ কেজি (বাৎসরিক মোট চাহিদা ২৫.৯০ লক্ষ মেট্রিক টন)। বর্তমানে বাৎসারিক জনপ্রতি মাছ গ্রহণের পরিমাণ ১৭.২৩ কেজি (বাৎসিরিক মোট মাছ গ্রহণ ২৫.৬৩ লক্ষ মেট্রিক টন)। জনপ্রতি বাৎসরিক ঘাটতি ৭৭০ গ্রাম (বাৎসরিক মোট ঘাটতি ২৭ হাজার মেট্রিক টন)।
  • মৎস্যখাতের অবদানঃ জিডিপি’তে ৩.৭৪%, কৃষিখাতে ২০.৮৭% এবং বৈদোশিক মূদ্রা অর্জনে ৪.০৪%।
  • মোট জেলের সংখ্যা ১২.৮০ লক্ষ এবং মাছচাষীর সংখ্যা ৩০.৮০ লক্ষ। দেশের ১.২৫ কোটি জনগোষ্ঠী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মাছ উৎপাদন, আহরণ বা সংশ্লিষ্ট কাজের সাথে জড়িত।
  • মোট মৎস্য প্রজাতির সংখ্যা ৭৩৫টি যার মধ্যে স্বাদুপানির ২৬০টি ও সামূদ্রিক ৪৭৫টি। চিংড়ি প্রজাতি ৬০ টি যার মধ্যে স্বাদুপানির ২৪ টি ও সামূদ্রিক ৩৬টি। চাষকৃত বিদেশী মাছের প্রজাতির সংখ্যা ১২ টি।
  • দেশের মোট অভ্যন্তরীণ জলাশয় ৪৫.৭৫ লক্ষ হেক্টর (যা মোট আয়তনের প্রায় ৩৪ শতাংশ)। এর মধ্যে ৪০.৪৭ লক্ষ মুক্ত ও ৫.২৮ লক্ষ হেক্টর বদ্ধ জলাশয়।
  • সামূদ্রিক সীমা ১২ নটিক্যাল মাইল। একান্ত অর্থনৈতিক এলাকা ২০০ নটিক্যাল মাইল। উপকূলীয় রেখা ৭১০ কি.মি.।
  • মৎস্য হ্যাচারি ৮৭৩টি যার মোট উৎপাদন ৪.১৬ লক্ষ কেজি। বাগদা চিংড়ি হ্যাচারি ৫৭ টি যার মোট উৎপাদন ৫১,০০০ লক্ষ পিএল। গলদা চিংড়ি হ্যাচারি ৫৩ টি যার মোট উৎপাদন ১০,৮০০ লক্ষ পিএল। প্রাকৃতিক উৎস্য থেকে সংগ্রহকৃত মোট রেনুর পরিমাণ ১,৮৭২ কেজি এবং চিংড়ির পিএল ১০,০০০ লক্ষ।
  • দেশে মাছের মোট উৎপাদনের প্রায় ১২ শতাংশ আসে ইলিশ থেকে। একক প্রজাতি হিসেবে মৎস্য উৎপাদনে ইলিশের অবদান সর্বোচ্চ।

তথ্যসূত্রঃ

  • FAO (Food and Agriculture Organization of the United Nations). 2007. The State of World Fisheries and Aquaculture 2006, FAO Fisheries and Aquaculture Department, Rome, p. 18.
  • FRSS (Fisheries Resources Survey System). 2009. Fisheries Statistical Yearbook of Bangladesh 2007-2008. Department of Fisheries (DoF), Ministry of Fisheries and Livestock, Bangladesh, 25(1): 1-42.
  • জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০০৯ সংকলন। ২০০৯। মৎস্য অধিদপ্তর, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রনালয়, ঢাকা। পাতা ১২০।

Visited 530 times, 1 visits today | Have any fisheries relevant question?
বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদ পরিসংখ্যান: ২০০৭-০৮

Visitors' Opinion

এ বি এম মহসিন

প্রফেসর, ফিশারীজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী-৬২০৫, বাংলাদেশ। বিস্তারিত ...

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.