দেহের অগ্রভাগ নলাকার ও পশ্চাৎভাগ চেপ্টা এই মাছের মাথার আকৃতি অনেকটা সাপের মাথার মতো। এর বৈজ্ঞানিক নাম Channa punctata, ইংরেজি নাম Spotted snake-head আর বাংলা স্থানীয় নাম লাটা, ওকোল, সাইটান প্রভৃতি।
পৃষ্ঠদেশ হালকা সবুজাভাব কালো ও আঙ্কীয়দেশ হালকা কালো। দেহের উভয় পাশে ৮-৯টি কালো দাগ (ব্যান্ড) দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও সারা দেহে ও পাখনায় কালো কালো বিন্দু উপস্থিত। দেহের বর্ণ বসবাসকারী জলাশয়ের পানির বৈশিষ্ট্য ও মাছের বয়েসের উপর নির্ভর করে। পুচ্ছ পাখন গোলাকার। শ্রোণী পাখনা বক্ষ অঞ্চলে অবস্থিত। পৃষ্ঠ, পায়ু ও পুচ্ছ পাখনার বর্ণ গাঢ় ধুসর। পৃষ্ঠ, বক্ষ, শ্রোণী ও পায়ু পাখনার পাখনা রশ্মির সংখ্যা যথাক্রমে ২৯-৩২, ১৫-১৮, ৬ ও ২০-২২।
প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় এদের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৪-৩১ সে.মি. হয়ে থাকে। দ্রুত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় এবং এক বছরেই প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকে। এরা বদ্ধ জলাশয়ে সারা বছর জুড়েই প্রজননে অংশ নিলেও বর্ষার পূর্বে ও বর্ষাকালে অধিকমাত্রায় অংশ নেয়। প্রজননের পূর্বে এরা জলাশয়ের প্রান্তে জন্মানো জলজ উদ্ভিদ বা উদ্ভিদাংশ দিয়ে বৃত্তাকার বাসা তৈরি করে এবং সেখানে ডিম দিয়ে থাকে।
স্বাদু পানির বদ্ধ জলাশয় যেমন পুকুর, ডোবা এবং উম্মুক্ত জলাশয় যেমন ঝরণা, বিল, প্লাবনভূমি প্রভৃতিতে এরা বাস করে। বাংলাদেশ ছাড়াও আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল, মায়ানমার ও দক্ষিণ চীনে এদের দেখতে পাওয়া যায়।
তথ্যসূত্রঃ
শফি, মো. এবং কুদ্দুস, মি. মু. আ.; ১৯৮২। বাংলাদেশের মাৎস্য সম্পদ। ১ম সংস্করণ। বাংলা একাডেমী, ঢাকা, বাংলাদেশ। মো. পৃ. xii+৪৪৪।
Rahman, A K M; 2005. Freshwater Fishes of Bangladesh, 2nd Edition. Zoological Society of Bangladesh, Department of Zoology, University of Dhaka, Dhaka, Bangladesh, XVIII+394 pp.
Talwar, P.K. and A.G. Jhingran; 1991. Inland Fishes of India and Adjacent Countries. Oxford and IBH Publishing Co. Pvt. Ltd., New Delhi, India. LIV + 1158 pp.
Visited 2,903 times, 1 visits today | Have any fisheries relevant question?