Black Carp
Black Carp

ব্লাক কার্প বা স্নেল কার্পের আদি নিবাস পূর্ব সাইবেরিয়া হতে শুরু করে দক্ষিণ চীনের আমুর নদীর অববাহিকা পর্যন্ত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Mylopharyngodon piceus। ১৯৮৩ সালে প্রথমবারের মতো চীন হতে চাষ ও শামুক নিয়ন্ত্রনের উদ্দেশ্যে আমাদের দেশে নিয়ে আসে মৎস্য অধিদপ্তর। কোটচাঁদপুরে কেন্দ্রীয় হ্যাচারী কমপ্লেক্সের পুকুরে লালন-পালনের পর কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে পোনা উৎপাদন করা সম্ভব হয়। উৎপন্ন পোনা বালুহোর বাওরে ছাড়ার একবছরের মাথায় ২-৩ কেজি হয় এবং একই সাথে বাওরের শামুকের জনতার পরিমান নিয়ন্ত্রনে আসে।

গ্রাসকার্পের মতো দেহাকৃতির এই মাছের পৃষ্ঠ ও পার্শ্বীয় দিক কালো এবং অঙ্কীয় দিকে ধুসর বর্ণের হয়ে থাকে। সারা দেহ শক্ত আঁইশে আবৃত। এদের উন্নতমানের মোলারিফরম দাঁত বর্তমান যা শামুক চুর্ণ করতে ব্যবহৃত হয়। এরা মূলত তলবাসী। ছোট অবস্থায় এরা জুপ্লাংক্টন, আর্থোপোডস এর ডিম ও লার্ভা খেয়ে থাকে। কিন্তু বড়রা শামুক, জলজ ইনসেক্ট ইত্যাদি খেয়ে থাকে।

দেশী রুই মাছের মতো এরা প্রবাহমান নদীতে প্রজননে অংশ নিয়ে থাকে আবার সিলভার কার্পের মতো সহজেই মৎস্য হ্যাচারীতে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে পোনা উৎপাদন করা সম্ভব।

রেকর্ডকৃত সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ১২২ সেমি। ওজন ৩২ কেজি। প্রতি ১০০ গ্রাম মাছে আছে আমিষ ১৮.৫ গ্রাম, চর্বি ১.১ গ্রাম, ফসফরাস ৩৮২ মিলিগ্রাম ও ক্যালসিয়াম ৩৩৫ মিলিগ্রাম।

তথ্যসূত্রঃ

  • Rahman AKA, 2005. Freshwater Fishes of Bangladesh (2nd ed.). Zoological Society of Bangladesh, Dhaka, Bangladesh. xviii+394 pp.
  • Rahman AKA, 2007. Exotic Species and their impact on environment. In: Sixteenth Annual General Meeting and National Conference 2007. Keynote speech, 30 March 2007, Dhaka, Bangladesh. pp. 26-39.
  • Talwar PK and Jhingran AG, 1991. Inland Fishes of India and Adjacent Countries (Vol. 1 and 2). Oxford & IBH Publishing Co. Pvt. Ltd., India. 1158pp.
  • Fishbase, 2009. http://www.fishbase.org

Visited 2,053 times, 1 visits today | Have any fisheries relevant question?
ব্লাক কার্প বা স্নেল কার্প

Visitors' Opinion

এ বি এম মহসিন

প্রফেসর, ফিশারীজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী-৬২০৫, বাংলাদেশ। বিস্তারিত ...

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.