গ্রাস কার্প বা ঘেসো রুই চীন ও পূর্ব সাইবেরিযার বিশেষত আমুর নদীতন্ত্রের মাছ যার বৈজ্ঞানিক নাম Ctenopharyngodon idella। ১৯৬৬ ও ১৯৭৯ সালে আমাদের দেশে যথাক্রমে হংকং ও জাপান থেকে চাষ এবং জলজ আগাছা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে আমাদের দেশে আনা হয়। নদী ছাড়াও এরা হ্রদ, খাল, পুকুরের মতো জলাশয়েও বাস করে।
দেহ লম্বা, মাথার আকৃতি মাঝারি, রুই মাছের মতো মাথা ও লেজ পার্শ্বীয়ভাবে চাপা কিন্তু মধ্যভাগ তুলনামূলকভাবে কম চাপা বা সামান্য নলাকার হয়ে থাকে। অঙ্কীয় দিকের বর্ণ রূপালী সাদাটে ও পৃষ্ঠ দিকের বর্ণ কালচে ধূসর। সারা দেহ মাঝারি আকৃতির আঁইশে আবৃত।
মূলত জলজ উদ্ভিদ যেমন- হাইড্রিলা, নাজাস, সেরাটোফাইলাম, উলফিয়া, লিমনা, এজোলা, সালভিনিয়া, প্রভৃতি উদ্ভিদ খেয়ে থাকে। আমাদের দেশে কলা পাতা, নরম ঘাস, কচুরিপানার পাতা প্রভৃতি উদ্ভিদাংশ খাবার হিসেবে গ্রহণ করতে দেখা যায়। বড়রা এসব উদ্ভিদ বা এর অংশ বিশেষ খেয়ে থাকলেও ফ্রাই অবস্থায় এরা জুপ্লাংক্টন এমনকি মশার লার্ভাও খেয়ে থাকে।
আমাদের দেশের রুই জাতীয় মাছের মতো এরাও বর্ষা কালে প্রবাহমান নদীতে প্রজনন করে থাকে।
রেকর্ডকৃত সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ১৫০ সেমি, ওজন ৪৫ কেজি এবং বয়স ২১ বছর। পছন্দনীয় তাপমাত্রা ১০-২৬ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেট এবং গভীরতা ৫ মিটার। পুকুরে সর্বোচ্চ ৭ কেজি পর্যন্ত হওয়ার নজির আছে।
তাজা ও সংরক্ষিত অবস্থায় বাজারে পাওয়া যায়। জলজ আগছা নিয়ন্ত্রন, চাষ, গেম ফিশ এমনকি অ্যাকুয়ারিয়ামে বাহারী মাছ হিসেবেও লালন পালন করা হয়ে থাকে।
তথ্যসূত্রঃ
Rahman AKA, 2005. Freshwater Fishes of Bangladesh (2nd ed.). Zoological Society of Bangladesh, Dhaka, Bangladesh. xviii+394 pp.
Rahman AKA, 2007. Exotic Species and their impact on environment. In: Sixteenth Annual General Meeting and National Conference 2007. Keynote speech, 30 March 2007, Dhaka, Bangladesh. pp. 26-39.
Talwar PK and Jhingran AG, 1991. Inland Fishes of India and Adjacent Countries (Vol. 1 and 2). Oxford & IBH Publishing Co. Pvt. Ltd., India. 1158pp.
Yadav BN, 1999. Fish and Fisheries (2nd ed.). Daya Publishing House, Delhi-110035, India. 366pp.
Fishbase, 2009. http://www.fishbase.org
কৃতজ্ঞতা:
মোঃ মেহেদী হাসানকে, গ্রাস কার্পের ছবিটি বিডিফিশে প্রকাশের সম্মতি দেয়ার জন্য।
Visited 3,980 times, 1 visits today | Have any fisheries relevant question?