দেশের স্বাদুপানির পাশাপাশি লোনাপানির নদীর লবণাক্ততাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই বৃদ্ধির পরিমাণ একদিকে যেমন মাত্রাগত অন্যদিকে সময়গত। অর্থাৎ দিন দিন যেমন লবণাক্ততার তীব্রতা বাড়ছে তেমনই বাড়ছে লবণাক্ততার স্থায়ীত্ব। এর ফলশ্রুতিতে একদিকে মানুষের জীবন ও জীবিকায় পড়েছে মারাত্মক প্রভাব অন্যদিকে হুমকির মুখে পড়েছে জলজ জীববৈচিত্র্য। এই লেখায় নদীতে লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণ এবং নানাবিধ প্রভাব এবং করণীয় কি তাই তুলে ধরা হবে।
গত ৯ মে ২০১০ তারিখের প্রথম আলোতে প্রকাশিত “মিঠাপানির মধুমতীতে লবণাক্ততা” শিরোনামের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়- গোপালগঞ্জের স্বাদুপানির নদী মধুমতির পানির লবণাক্ততা স্থায়ী রূপ পেতে শুরু করেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দলের প্রধান আ. কাদির ইবনে কামাল জানিয়েছেন- দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ ও সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা যায় সাধারণত বিগত ছয়-সাত বছর ধরে এই নদীতে মার্চ থেকে মে এই তিন মাস লবণাক্ত পানি প্রবেশ করে এতে করে একদিকে যেমন এই নদী ও নদী সংলগ্ন শত শত খাল-বিল থেকে স্বাদু পানির অনেক মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ও গেছে অন্যদিকে জন্মাতে শুরু করেছে লোনা পানিতে জন্মায় এমন অনেক ঘাস ও হোগলা জাতীয় উদ্ভিদ। এছাড়াও একই ভাবে এ নদীর অন্যতম বাসিন্দা শুশুকের জীবনচক্রও হুমকির মুখে পড়েছে। ধীরে ধীরে লোনা পানির স্থায়ীত্ব এভাবে বাড়তে বাড়তে একটা সময় সারা বছরই স্থায়ীত্ব হবে তখন এ অবস্থা মারাত্মক আকার ধারণ করবে। এর কারণ হিসেবে বলা হয় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ও উজান থেকে নেমে আসা পানি প্রবাহের মাত্রা কমে যাওয়া। এর প্রভাব মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী ছাড়াও এলাকার চাষাবাদের উপরও পড়তে শুরু করেছে।
১৪ আগস্ট ২০১০ তারিখের সমকাল -এ প্রকাশিত “খুলনার ১৩টি নদীতে বাড়ছে লবণাক্ততা” শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়- বৃহত্তর খুলনার ১৩টি নদীতে লবণাক্ততার মাত্রা ও স্থায়িত্বকাল দিন দিন বাড়ছে। আগে সাধারণত মার্চ থেকে মে পর্যন্ত সর্বোচ্চ মাত্রার লবণাক্ততা থাকলেও এখন সেই হিসাব বদলে ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। নদী অববাহিকায় এত দীর্ঘ সময় সহনীয় মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত লবণ পানি থাকার ক্ষতিকর ও ভয়াবহ প্রভাব এরই মধ্যে দেখা দেওয়া শুরু করেছে। নদীর পার্শ্ববর্র্তী জনপদের ভূ-গর্ভস্থ পানি ও মাটিতে এর সংমিশ্রণ ঘটছে। নদীর পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় সেচ কাজে এ পানি ক্ষতিকর হয়ে উঠছে। রূপসা নদীতে চলতি বছরের মে মাসে এ যাবত্কালের সর্বোচ্চ ২৭.৬ মাত্রার লবণাক্ততা পাওয়া গেছে। আগে কোনো বছর মে মাসে এত বেশি মাত্রার লবণাক্ততা পাওয়া যায়নি। এ নদীতে আগে মার্চ থেকে মে পর্যন্ত সর্বোচ্চ মাত্রার লবণাক্ততা থাকলেও এখন তা ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। পশুর নদীতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে এ যাবত্কালের সর্বোচ্চ ৮ ও মার্চে ২১.৫ মাত্রার লবণাক্ততা পাওয়া গেছে। শিবসা নদীতে আগস্ট মাস পর্যন্ত অসহনীয় মাত্রার লবণাক্ততা বিস্তৃত হয়েছে। উপকূলবর্তী জেলাগুলোকে গ্রাস করার পর লবণাক্ততা এখন আরও ওপরে ছড়িয়ে পড়ছে। খুলনা মহানগরীর চরেরহাট এলাকা এমনকি যশোরের নওয়াপাড়া ঘাট এলাকায়ও উচ্চমাত্রার লবণাক্ততা পাওয়া যাচ্ছে। নদীর পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার ভূ-গর্ভস্থ পানিতেও লবণাক্ততা বেড়েছে। এরই মধ্যে এসব অঞ্চলের অসংখ্য টিউবওয়েলের পানি পানের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। লবণাক্ততার বিস্তৃতি ঘটছে যশোর, নড়াইল, গোপালগঞ্জের নদ-নদীতেও। নদীর পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধির তিনটি কারণগুলো হছে- জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস আর ফারাক্কা বাঁধের প্রভাব।
১৩ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখের প্রথম আলোতে প্রকাশিত “পলিতে ভরাট নদী, বাড়ছে জলাবদ্ধতা” শিরোনামের প্রতিবেদন অনুসারে – উজান থেকে নেমে আসা পানির চাপ না থাকায় সমুদ্রের জোয়ারের পানি কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই আরও উঁচুতে উঠে আসছে। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে জোয়ারের পানি কিছুটা নিচু ও সমুদ্রের কাছাকাছি যশোরের ঝিকরগাছা পর্যন্ত উঠত। এখন তা ঝিকরগাছার নিম্নাঞ্চল অতিক্রম করে কেশবপুর, মনিরামপুর ও কলারোয়া পর্যন্ত উঠে এসেছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোতে লবণাক্ততার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় নদীগুলো আগের চেয়ে বেশি পরিমাণে পলি পরিবহন করছে। পানি যত লবণাক্ত হবে, এর পলি পরিবহন করার ক্ষমতা ততো বাড়বে। কারণ- লবণাক্ততা বাড়লে পানির পলি নিক্ষিপ্ত করার ক্ষমতাও বাড়ে।
কালের কন্ঠে প্রকাশিত “গঙ্গাবাঁধ নির্মিত হলে ৬৫ লাখ একর জমি তিনফসলি হবে” শিরোনামের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়- গঙ্গাবাঁধ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত না হওয়ায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচ কোটি মানুষ ও পরিবেশ বিপন্ন হয়ে পড়েছে। পানির অভাবে নদ-নদীগুলো মৃত হয়ে পড়ায় মিঠাপানিতে লবণাক্ততা বাড়ছে। কৃষি খাতে উৎপাদন বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, পদ্মার পানি সংরক্ষণ, সেচসুবিধা, বন্যানিয়ন্ত্রণ, খরা মৌসুমে লবণাক্ততা রোধ এবং ভূগর্ভের পানি আয়ত্তে রাখার উদ্দেশ্যে কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে গঙ্গাবাঁধ নির্মাণের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ১৯৮০ সালের ২৭ ডিসেম্বর, সে উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়নি আজও।
৩ আগষ্ট ২০১০ তারিখের দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত “মাত্রাতিরিক্ত লবণাক্ততার কবলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল: কমছে শস্য উৎপাদন, ধ্বংস হচ্ছে প্রাণবৈচিত্র্য, বাড়ছে খাদ্য সংকট” শিরোনামের প্রতিবেদন অনুসারে- মাত্রাতিরিক্ত লবণাক্ততার কারণে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকার পরিবেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন। ১৯৯২ সালে সুন্দরবন সংলগ্ন চুনকুড়ি, শিবসা, পশুর, মংলা, মালঞ্চ, রায়মঙ্গল, খোলপেটুয়া, ইছামতি ও সুন্দরকোটা নদীতে লবণাক্ততার পরিমাণ ছিল ১৯ হাজার মিলিমস। ২০০৫ সালে তা এসে দাঁড়ায় ৬০ হাজার মিলিমসে। অথচ এসব নদীর পানির লবণাক্ততার স্বাভাবিক মাত্রা ১ হাজার থেকে ২ হাজার মাইক্রোমস (লবণাক্ততার একক)। ১৯৮৬ সালে সুন্দরবন এলাকার মাটিতে লবণাক্ততার পরিমাণ ছিল ৩২ হাজার মাইক্রোমস। তবে বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার মাইক্রোমসে। বর্তমানে এ অঞ্চলের নদীগুলোর শতকরা ৫৬ ভাগের বেশি মারাত্মক লবণাক্ততার কবলে। বাকি ৪৪ ভাগ নদীর পানি লবণাক্ত হলেও তা মোটামুটি নিরাপদ। বঙ্গোপসাগর থেকে সুন্দরবনে ঢোকা লোনা পানির প্রভাব কাটানোর জন্য অব্যাহতভাবে যে পানি প্রবাহ থাকা দরকার বছরের মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত নদীগুলোতে সেই পরিমাণ পানি প্রবাহ থাকছে না। ফলে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় ক্রমাগতভাবে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। লবণাক্ততা কবলিত জেলার তালিকায় খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার পর নতুন করে যুক্ত হয়েছে যশোর, নড়াইল ও গোপালগঞ্জ জেলার নাম। পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এলাকায় নিরাপদ খাবার পানির তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। এছাড়া চিংড়ি চাষ আর্থিকভাবে লোভনীয় হলেও এর কারণে এ অঞ্চলে লবণাক্ততা মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। স্থানীয় ধানের জাতগুলো লবণাক্ততার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছে না। এতে ধানের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। দেখা দিচ্ছে খাদ্য সংকট।
১৭ মে ২০১০ তারিখের আমারদেশ অনলাইনে প্রকাশিত “গৃহস্থালির কাজে ব্যবহারের পানিও পাচ্ছে না গড়াই-বড়াল তীরের মানুষ” শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়- গড়াই শুকিয়ে যাওয়ায় ৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ গড়াইয়ের ৪৫৬৮ বর্গকিলোমিটার অববাহিকা এলাকার লাখ লাখ মানুষের জীবনে দেখা দিয়েছে নানা বিপর্যয় আর দুর্ভোগ। গড়াই শুকিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে সুন্দরবনে মিঠাপানির প্রবাহ। বেড়েছে লবণাক্ততা।
৫ জানুয়ারী ২০১০ তারিখের দৈনিক জনকন্ঠে প্রকাশিত “জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশ” শিরোনামের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়- জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের নদীর পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই মিঠা পানির শুশুকও বিদায় নিয়েছে। জলবায়ু ও পরিবেশ পরিবর্তনের প্রভাব শুধু প্রকৃতি কিংবা জলচর প্রাণীর ওপরই পড়েনি, বরং তার প্রভাব মানুষের ওপর পড়েছে অনেক বেশি।
৭ নভেম্বর ২০১০ তারিখের দৈনিক সংগ্রামে প্রকাশিত “আঞ্চলিক পানি ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলে পানি সমস্যার সমাধান করতে হবে” শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়- নদীর পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় লবণাক্ততা বাড়ছে। ফসল ও গাছপালা নষ্ট হচ্ছে। পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। মরুময়তার শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ।
২৫ মে ২০১০ তারিখের আমারদেশ অনলাইনে প্রকাশিত “নিদারুণ কষ্টে গঙ্গা অববাহিকার মানুষ : ‘হামরার দুঃখে বনের পশুও কান্দে’” শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়- ফারাক্কার কারণে যশোর-খুলনা অঞ্চলে মিঠাপানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোতে শুকনো মৌসুমে উচ্চমাত্রার লবণাক্ততা থাকে। ফারাক্কার প্রভাবে জলজ প্রাণীর পাশাপাশি নদীর জীবনচক্র ধ্বংস হয়ে গেছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। নদী শুকিয়ে যাওয়ায় ভূগর্ভস্থ যে পানি তোলা হয় সেটা পূরণ হচ্ছে না। লবণাক্ততার কারণে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে গেছে। ফারাক্কার প্রভাবে রাজশাহী, যশোর ও খুলনা অঞ্চলের আবহাওয়া ও পরিবেশে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ওই অঞ্চলের তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। বৃষ্টিপাত কমে গেছে। বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় একরকম মরু প্রক্রিয়া চলছে ওই অঞ্চলজুড়ে। উপকূলের লবণাক্ততার কারণে সুস্বাদু পানির মাছের সংখ্যা ক্রমেই কমছে। গাঙেয় পানি ব্যবস্থায় দুই শতাধিক প্রজাতির মিঠাপানির মাছ ও ১৮ প্রজাতির চিংড়ি ছিল। সেগুলোর অধিকাংশই ধ্বংস হয়ে গেছে। গঙ্গা ব্যারাজ নির্মাণ হলে গড়াই, নবগঙ্গা, বড়াল, কপোতাক্ষসহ গঙ্গা-নির্ভর ৩৬টি নদীর নাব্য ফিরে আসবে। স্রোতকে কাজে লাগিয়ে ৪৫০ থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন সম্ভব হবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লবণাক্ততা দূর হবে। জিকে প্রকল্প পুরোদমে সচল হবে। বৃহত্তর কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পাবনা ও রাজশাহীর ৯০ লাখ হেক্টর জমি সেচের আওতায় আনা সম্ভব হবে। নৌপরিবহন কিছুটা ব্যাহত হলেও বেড়ে যাবে মত্স্য উত্পাদন।
উপরের প্রতিবেদনসমূহ পর্যালোচনা করে নদীতে লবণাক্ততা বৃদ্ধির যেসব কারণ পাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-
- নদীর উজানে পানি প্রত্যাহার
- কম বৃষ্টিপাত
- জোয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধি
আর লবনাক্ততা বৃদ্ধির প্রভাব হিসেবে উল্লেখ করা যায়-
- ক্রমশ ধ্বংস হচ্ছে জলজ জীববৈচিত্র্য যার ফলশ্রুতিতে প্রাকৃতিক জলজ সম্পদের আহরণ বিশেষত মাছ আহরণের পরিমাণ কমেছে মাত্রারিক্ত হারে।
- চাষাবাদের উপর পড়েছে সুদূর প্রসারী প্রভাব। ফলে দেখা দিচ্ছে খাদ্য সংকট।
- নিরাপদ খাবার পানির তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
- নদীর জীবনচক্র ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যার প্রভাব পড়তে বাধ্য অন্যান্য সকল জৈবচক্রে।
এমত অবস্থায় আমাদের করণীয় কী?
- নদীর উজানে পানি প্রত্যাহারের পরিমাণ কমাতে হবে এই মাত্রায় যাতে করে ভাটিতে এর প্রভাব না পড়ে। সে লক্ষ্যে “আড়াআড়ি বাঁধ মুক্ত পৃথিবী” -র আন্দোলন জোরদার করতে হবে।
- বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় সুদূরপ্রসারী কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। যেমন সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পরিমাণ বৃদ্ধি।
- চাষাবাদে মাত্রারিক্ত সেচে (ভূগর্ভস্থ ও ভূউপরিস্থ) পরিমাণ কমাতে হবে। সে লক্ষ্যে এমন সময়ে এমন ফসল নির্বাচন করতে হবে যাতে সেচ লাগে না বললেই চলে। অর্থাৎ সেচ নির্ভর ফসল থেকে সরে আসতে হবে।
- সমূদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী বিশ্ব উষ্ণায়ন কমাতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
Visited 711 times, 1 visits today | Have any fisheries relevant question?