প্রেক্ষাপটঃ
খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা বিধান, আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং সর্বোপরি মানুষের জীবনমান উন্নয়নে মৎস্যচাষ একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পন্থা হিসেবে বিবেচিত। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের জনগণের মৎস্যচাষের উপরে নির্ভরশীলতা ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মৎস্যচাষে সংশ্লিষ্ট গবেষণা, প্রযুক্তি ও প্রযুক্তি বিস্তারের উন্নয়নে নিয়োজিত তুলনামূলক কম জনশক্তি সম্পন্ন ফিশারীজ সাবসেক্টর আজকে জাতীয় উন্নয়নে সর্বাধিক ভূমিকা নিশ্চিত করেছে। কিন’ ক্রমবর্ধনশীল জনগোষ্ঠীর প্রাণীজ আমিষের চাহিদা পূরণ, বিশেষ করে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান, জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে দারিদ্রের প্রবণতা, খাদ্য উৎপাদনের জন্য পারিবেশিক ভাবে সঙ্কটাপন্ন অঞ্চল এবং জলবায়ু পরিবর্তন জনিত প্রভাব- এই সমস্ত দিকসমূহের বিবেচনায় মৎস্যচাষের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ উন্নয়ন আজকে হুমকির মুখে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে খাদ্য ঘাটতি এবং অর্থনৈতিক সংকট অন্যতম হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। “মাছে-ভাতে বাঙ্গালী” তথা মাছ ও ধানের উৎপাদন ভিত্তিক জীবনমানে অভ্যাস বাংলাদেশে উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে এখনই উপযুক্ত সময় উদ্ভাবিত মৎস্যচাষ প্রযুক্তি সমূহের অঞ্চলভিত্তিক মূল্যায়ন এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ।
শুষ্ক বা প্রায় শুষ্ক অঞ্চলে শস্য ও মৎস্য উৎপাদন ব্যবস্থা এবং তৎসংশ্লিষ্ট গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান আজ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সংকটাপন্ন। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত খরাপ্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চলে সেচ নির্ভর প্রান্তিক কৃষকদের ক্ষেত্রে সেচের উন্নয়নে শস্যের নিবিড়তা বাড়লেও তাদের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে, প্রাণীজ আমিষ গ্রহণের পরিমাণ কমেছে এবং সর্বোপরি দারিদ্রের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা অতীব দুঃখজনক যে, কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া গরীব কৃষকদের জীবন-যাপনে জলবায়ুর পরিবর্তন জনিত বর্তমান ও আসন্ন ক্ষতিকর প্রভাবকে কাটিয়ে উঠার জন্য পর্যাপ্ত কাজ করা হচ্ছে না। বস্তুতঃ ভাত ও মাছের মত প্রধান খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনে ব্যয় কমানো ও বিরাজমান সম্পদসমূহের সুষ্ঠ ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বরেন্দ্র অঞ্চলে খরিপ-১ সময়ে (মার্চ-জুন) অধিকাংশ কৃষকই ধান চাষের জন্য সেচের উপর নির্ভরশীল যা তাদের উৎপাদন খরচকে অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। যদি সমন্বিত চাষ প্রক্রিয়া এই অঞ্চলের ধানক্ষেত গুলোতে প্রয়োগ করা যায় তাহলে ধান চাষ করতে খরচের মাত্রাটা অনেকাংশে কমে যাবে। এক্ষেত্রে ধান ক্ষেতে মাছ চাষ প্রযুক্তিটি একটি ভাল উপায় হতে পারে যা বরেন্দ্র অঞ্চলের পানির উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এমনকি উৎপাদন খরচ কমাতে এবং একই সাথে এই অঞ্চলের সেচ নির্ভর গরীব কৃষকের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাহায্য করবে। মূলতঃ এই উপলব্ধি থেকেই বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় বরেন্দ্র অঞ্চলের সেচ নির্ভর ধান ক্ষেতে কৃষক কর্তৃক মাছ চাষের বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়। এই গবেষণা প্রবন্ধটি তাই বরেন্দ্র অঞ্চলের সেচ নির্ভর ধান ক্ষেতে উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধিতে মাছ চাষের ভূমিকাকে প্রাধান্য দিয়ে রচিত হয়েছে। কৃষক নিয়ন্ত্রিত সেচ নির্ভর ধান ক্ষেতে মাছ চাষের এই গবেষণায় সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যসমূহ ছিল- ধান ক্ষেতে পানির ভৌত-রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যাবলি পর্যবেক্ষণ, মাছ চাষের পূর্বে ও পরে মাটিতে জৈব পদার্থের পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ, শুধুমাত্র ধান চাষের সাপেক্ষে ধান ও মাছের সমন্বিত চাষে উৎপাদন, আয়, ব্যয় ও মুনাফার তুলনামূলক অধ্যয়ন এবং সেচ নির্ভর ধান ক্ষেতে মাছ চাষের উপযুক্ত কৌশল নির্ধারণ।
গবেষণা পদ্ধতিঃ
বর্তমান গবেষণা কার্যক্রমটি রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার অন্তর্গত বসন্তপুর ইউনিয়নের সেচনির্ভর ধানক্ষেতে ৪ মাস ব্যাপী (মার্চ-২০০৯ থেকে জুন-২০০৯ পর্যন্ত) সময়কাল নিয়ে পরিচালিত হয়। গবেষণার স্থানটি ছিল খরাপ্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চল। এই গবেষণা কার্যক্রমটি সম্পাদনের জন্য আটটি সেচ নির্ভর ধানক্ষেত নির্বাচন করা হয়। ধানক্ষেত গুলির গড় আয়তন ছিল ০.১৪ হে. এবং আকার ছিল আয়তাকার। নির্বাচিত এ সকল সেচনির্ভর ধান ক্ষেত গুলির পানির একমাত্র উৎস ছিল গভীর নলকূপ। সম্পূর্ণভাবে কৃষক নিয়ন্ত্রিত চারটি ভিন্ন চাষ পদ্ধতির (পদ্ধতি-১. শুধুমাত্র ধানচাষ, পদ্ধতি-২. ধান ও তেলাপিয়ার চাষ, পদ্ধতি-৩. ধান, তেলাপিয়া ও কার্পের চাষ এবং পদ্ধতি-৪. ধান ও কার্পের চাষ) মূল্যায়ন নিয়েই বর্তমান গবেষণার নকশা প্রণীত হয়েছিল। উল্লেখ্য যে, একই চাষ পদ্ধতির জন্য দুটি করে ধান ক্ষেত নির্বাচন করা হয়েছিল।
নির্বাচিত ধানক্ষেত গুলো পাওয়ার টিলার দ্বারা চাষ করা হয় এবং পানির গভীরতার সমতা বিধানে মই দিয়ে জমির মাটি সমান করা হয়। মাছ চাষের জন্য ধান ক্ষেতের চারপাশের আইল ৩০ সে.মি. উঁচু করে তৈরি করা হয়। পানির অধিক তাপমাত্রা ও স্বল্প গভীরতায় মাছের আশ্রয়স্থল হিসেবে জমির যে অংশ অপেক্ষাকৃত ঢালু সে অংশে ৫ ফুট x ৫ ফুট x ৩ ফুট আয়তনের ছোট গর্ত তৈরি করা হয়। ধানক্ষেত প্রস্তুতকরণের সময় সার হিসেবে ইউরিয়া (২০০ কেজি/হেক্টর) ট্রিপল সুপার ফসফেট (১০০ কেজি/হেক্টর.) এবং মিউরেট অব পটাশ (২০ কেজি/হেক্টর) প্রয়োগ করা হয়। জৈব সার হিসেবে গোবর (১৫০০ কেজি/হেক্টর) প্রয়োগ করা হয়।
গবেষণা কাজটি করা হয় বোরো মৌসুমে এবং নির্বাচিত কৃষকদের প্রত্যেকেরই চাষকৃত ধানের জাত ছিল বি.আর.-২৮। ধানের চারা নির্বাচিত ধানক্ষেত গুলোতে সারিবদ্ধ ভাবে রোপন করা হয়। এক্ষেত্রে সারি থেকে সারির দুরত্ব ছিল ২৫ সে.মি. এবং গোছা থেকে গোছার দুরত্ব ছিল ২০ সে.মি.।
ধানের চারা রোপনের ১৫ দিন পর মাছ চাষের জন্য নির্ধারিত ধান ক্ষেত গুলোতে পোনা মজুদ করা হয় (২০টি/ শতাংশ)। মজুদকালীন সময়ে কার্প জাতীয় মাছের (সিলভার কার্প, কাতলা, রুই, মৃগেল ও কার্পিও) গড় ওজন ছিল ৭৫ গ্রাম এবং তেলাপিয়ার গড় ওজন ছিল ২০ গ্রাম। চাষকালীন সময় স্বল্প পরিমাণে সম্পূরক খাবার যেমন- ধানের কুঁড়া ও সরিষার খৈল অনিয়মিতভাবে ব্যবহার করা হয়।
গবেষণা চলাকালীন সময়ে ধান ক্ষেতের পানির ভৌত-রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যাবলি প্রতি ১৫ দিন পরপর পর্যবেক্ষণ করা হয়। ধানের চারা রোপনের ১৩৫ দিন পর ক্ষেত থেকে ধান আহরণ করা হয়। ধান আহরণের পরপরই প্রত্যেক পরীক্ষণ প্লট হতে মাছ আহরণ করা হয়, গণনা করা হয় , ওজন নেয়া হয় এবং এভাবে মাছের অর্জিত ওজন ও বেঁচে থাকার হার বের করে মাছের মোট উৎপাদন নিরূপণ করা হয়। ধান ক্ষেতে মাছ ছাড়ার পূর্বে ও মাছ আহরণ শেষে প্রতিটি প্লট হতে মাটি সংগ্রহ করে জৈব পদার্থের পরিমাণ নির্ণয় করা হয়। পরিশেষ প্রতিটি চাষ পদ্ধতির উৎপাদন, আয়, ব্যয় এবং মুনাফা বিশ্লেষণ করা হয়।
ফলাফলঃ
পানির ভৌত-রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যাবলিঃ
মাছ চাষের জন্য নির্ধারিত ধানক্ষেত সমূহে পানির তাপমাত্রা, স্বচ্ছতা, দ্রবীভূত অক্সিজেন, পি-এইচ, অ্যামোনিয়া-নাইট্রোজেন এবং ক্ষারকত্বের গড় মান যথাক্রমে ৩৫.০৩-৩৫.৮৪ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড, ১৪.৫৯-১৫.৯১ সে. মি., ২.৯২-৩.৫৪ মিলিগ্রাম./লিটার, ৬.৩৪-৬.৮১, ০.৩০-০.৩৪ মিলিগ্রাম./লিটার এবং ১০.৫০-১১.৮৮ মিলিগ্রাম/লিটারের মধ্যে পাওয়া যায়। গবেষণার ফলাফল এটা নির্দেশ করে যে, কৃষক নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যবস্থাপনা মাছ চাষের জন্য পানির গুণাগুণ উন্নয়নে বিশেষত ঘোলাত্ব দূরীকরণসহ পি-এইচ এবং ক্ষারকত্বের উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে নাই। বিশেষ করে বরেন্দ্র অঞ্চলের জলাশয়ে পানির ঘোলাত্ব দূরীকরণ ও ক্ষারকত্ব বৃদ্ধির জন্য চুন ও ছাই প্রয়োগের কার্যকরী ভূমিকা থাকলেও বর্তমান কৃষক নিয়ন্ত্রণাধীন চাষ ব্যবস্থাপনায় তার অভাব ছিল।
মাটিতে জৈব পদার্থের পরিবর্তনঃ
মাছ চাষের পূর্বে ধান ক্ষেত সমূহে মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ ছিল ০.৫৯% (ধান ও কার্পের চাষ)-০.৭৫% (ধান, তেলাপিয়া ও কার্পের চাষ)। মাছ চাষের পরে ধান ক্ষেত সমূহের মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। গবেষণার ফলাফল এটা নির্দেশ করে যে, সমন্বিত ধান ও মাছ চাষে মাটির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
উৎপাদন, আয়, ব্যয় ও মুনাফাঃ
বর্তমান গবেষণায় ধান ও মাছের উৎপাদন, আয়, ব্যয় এবং মুনাফা সম্পর্কিত ফলাফল সারণি-১ এ উপস্থাপন করা হলো। চার মাস ব্যাপী এই গবেষণায় মাছের উৎপাদন সবচেয়ে কম ছিল ৩০৬.২৮ কেজি/হেক্টর/চার মাস (চাষ পদ্ধতি-২, ধান ও তেলাপিয়া চাষ) এবং সর্বচ্চ ছিল ৩৪০.৮৬ কেজি/হেক্টর/চার মাস (চাষ পদ্ধতি-৪, ধান ও কার্পের চাষ)। বিভিন্ন চাষ পদ্ধতির মধ্যে বেঁচে থাকার হার সর্বাধিক পাওয়া গেছে তেলাপিয়ার ক্ষেত্রে (চাষ পদ্ধতি-২)। গবেষণার ফলাফল এটা প্রমাণ করে যে, প্রতিকূল পরিবেশে অন্যান্য প্রজাতির তুলনায় তেলাপিয়া বেশী সহনশীল। অধিকতর বেশী ওজনের কার্প জাতীয় পোনা মজুদের ফলে ধান ক্ষেতে মাছের উৎপাদন বেশী পাওয়া গেলেও ধানের উৎপাদন বেশী পাওয়া গেছে তেলাপিয়া চাষের ক্ষেত্রে। কাজেই গবেষণার ফলাফল আরও নির্দেশ করে যে, ধান ও মাছের সমন্বিত চাষে সার্বিকভাবে তেলাপিয়ার চাষ বেশী লাভজনক। গবেষণার ফলাফলে দেখা যায় যে, ধানের একক চাষের তুলনায় সমন্বিত ধান ও মাছ চাষে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। ধান ক্ষেতে মাছের সমন্বিত চাষের মাধ্যমে এটা আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, সমন্বিত চাষ ব্যবস্থাপনায় পানির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
সারণি-১: সেচ নির্ভর ধান ক্ষেতে বিভিন্ন পদ্ধতিতে মাছ চাষের উৎপাদন, আয়, ব্যয় এবং মুনাফা সম্পর্কিত তথ্যাবলী
বিষয় | পদ্ধতি-১ | পদ্ধতি-২ | পদ্ধতি-৩ | পদ্ধতি-৪ |
আহরণকৃত প্রতিটি মাছের গড় ওজন (গ্রাম) | – | ৯৫.০০ | ১৮২.৯২ | ২০৯.০০ |
প্রতিটি মাছের অর্জিত গড় ওজন (গ্রাম) | – | ৭৫.০০ | ১১৮.৭৫ | ১৩৩.০০ |
মাছের বেঁচে থাকার হার (%) | – | ৮২.৫০ | ৬৩.১৭ | ৫৬.৬৭ |
মাছের উৎপাদন (কেজি /হেক্টর/৪ মাস) | – | ৩০৬.২৮ | ৩২৭.৯০ | ৩৪০.৮৬ |
ধানের উৎপাদন (টন/হেক্টর/৪ মাস) | ৩.৪৩ | ৪.০৩ | ৩.৮৩ | ৩.৯৫ |
মোট ব্যয় (টাকা/হেক্টর/৪ মাস) | ২৮,২৮০.০০ | ৪০,৫৯০.০০ | ৪৩,৭৬৫.০০ | ৪৫,২১০.০০ |
মোট আয় (টাকা/হেক্টর/৪ মাস) | ৩৪,৩০০.০০ | ৬৪,৮০২.৪০ | ৬৪,৫৩২.০০ | ৬৬,৭৬৮.০০ |
নীট মুনাফা (টাকা/হেক্টর/৪ মাস) | ৬,০২০.০০ | ২৪,২১২.৪০ | ২০,৭৬৭.০০ | ২১,৫৫৮.৮০ |
এখানেঃ পদ্ধতি-১. শুধুমাত্র ধানচাষ, পদ্ধতি-২. ধান ও তেলাপিয়ার চাষ, পদ্ধতি-৩. ধান, তেলাপিয়া ও কার্পের চাষ এবং পদ্ধতি-৪. ধান ও কার্পের চাষ।
উপসংহারঃ
বর্তমান গবেষণা কার্যক্রমের ফলাফল প্রমাণ করে যে, ধানের একক চাষের তুলনায় ধান ও মাছের সমন্বিত চাষ অধিক লাভজনক। বর্তমান গবেষণাটি আরও নির্দেশ করে যে, বরেন্দ্র অঞ্চলের সেচ নির্ভর ধানক্ষেতে মাছ চাষের জন্য তেলাপিয়া হচ্ছে সর্বোৎকৃষ্ট প্রজাতি। কৃষক নিয়ন্ত্রিত সেচ নির্ভর ধানক্ষেতে মাছ চাষের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি সমস্যাও চিহ্নিত করা হয়েছে- বিশেষ করে পানির অধিক ঘোলাত্বতা এবং পি-এইচ ও ক্ষারকত্বের নিম্নমান। পানির গুণাগুণ উন্নয়নপূর্বক সেচ নির্ভর ধান ক্ষেতে মাছ চাষের উন্নয়নের জন্য ভবিষ্যত গবেষণারও প্রয়োজন রয়েছে।
লেখকঃ
লেখাটি যৌথভাবে লিখেছেন ডঃ মোহাঃ আখতার হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক ও সভাপতি, ফিশারীজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী এবং রনি চন্দ্র মন্ডল, গবেষক শিক্ষার্থী, ফিশারীজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী।
Visited 1,463 times, 1 visits today | Have any fisheries relevant question?