|
||||
যেহেতু ফরমালিন জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর একটি রাসায়নিক পদার্থ; এবং যেহেতু খাদ্য দ্রব্যের সংরক্ষণ, পচনরোধ বা অন্য কোন উদ্দেশ্যে অননুমোদিত, মাত্রাতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় ফরমালিন ব্যবহার অনিরাময়যোগ্য রোগ ব্যাধির সৃষ্টি করিতেছে; এবং যেহেতু ফরমালিনের উক্তরূপ অপব্যবহার রোধ করা প্রয়োজন; এবং যেহেতু জনস্বাস্থ্য রক্ষার প্রয়োজনে ফরমালিন আমদানি, উৎপাদন, পরিবহন, মজুদ, বিক্রয় ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষতিকর পদার্থ হিসাবে উহার অপব্যবহার রোধ করিবার উদ্দেশ্যে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:- |
||||
প্রথম অধ্যায় প্রারম্ভিক |
||||
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন |
১। (১) এই আইন ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৫ নামে অভিহিত হইবে। (২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে ইহা কার্যকর হইবে। |
|||
সংজ্ঞা |
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে- (১) ‘‘অপরাধ’’ অর্থ এই আইনের অধীন দণ্ডযোগ্য অপরাধ; (২) ‘‘ফরমালিন’’ অর্থ ফরমালিন, ফরমালডিহাইড, প্যারাফরমালডিহাইড ও উহার যে কোন মাত্রার দ্রবণ, এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফরমালিন উৎপন্নকারী অন্য কোন পদার্থ; (৩) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি; (৪) ‘‘ব্যক্তি’’ অর্থে কোন ব্যক্তি, কোম্পানী, সমিতি, অংশিদারি কারবার, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা উহাদের প্রতিনিধিও অন্তর্ভুক্ত হইবে; (৫) ‘‘লাইসেন্স’’ অর্থ ধারা ৫ এর অধীন প্রদত্ত লাইসেন্স; (৬) ‘‘লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ’’ অর্থ ধারা ৫(১) এ বর্ণিত কর্তৃপক্ষ; (৭) ‘‘স্থান’’ অর্থে যে কোন বাড়ী-ঘর, স্থাপনা, যানবাহন, স্থিতাবস্থায় বা চলমান যেভাবেই থাকুক না কেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প প্রতিষ্ঠান, বিমান বন্দর, সামুদ্রিক বন্দর, স্থল বন্দর, নদী বন্দর, ডাকঘর বা বহিরাগমন চেকপোস্টও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে। |
|||
আইনের প্রাধান্য |
৩। আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী প্রাধান্য পাইবে।
|
|||
দ্বিতীয় অধ্যায় লাইসেন্স, ইত্যাদি |
||||
ফরমালিন আমদানি, উৎপাদন, ইত্যাদি ক্ষেত্রে লাইসেন্সের অপরিহার্যতা |
৪। কোন ব্যক্তি লাইসেন্স ব্যতীত ফরমালিন আমদানি, উৎপাদন, পরিবহন, মজুদ, বিক্রয় ও ব্যবহার করিতে বা দখলে রাখিতে পারিবেন না।
|
|||
লাইসেন্স, লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ, ইত্যাদি |
৫। (১) লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ হইবে,- (ক) ফরমালিন আমদানি ও উৎপাদন নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে সরকার; (খ) ফরমালিনের পরিবহন, মজুদ, বিক্রয় ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক। (২) এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, লাইসেন্স প্রদান ও তত্ত্বাবধান সংক্রান্ত বিষয়ে লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের যাবতীয় কার্যক্রম বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হইবে। (৩) এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন লাইসেন্স পাইবার বা নবায়নের যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি লাইসেন্সের কোন শর্ত বা বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোন শর্ত ভঙ্গ করেন এবং তজ্জন্য তাহার উক্ত লাইসেন্স বাতিল হইয়া থাকে। (৪) কোন ব্যক্তি তাহাকে প্রদত্ত লাইসেন্সের কোন শর্ত ভঙ্গ করিলে বা এই আইন বা অন্য কোন আইনের অধীন কোন অপরাধের জন্য দণ্ডিত হইলে লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ, তাহাকে কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদান করিয়া, তাহার লাইসেন্স বাতিল করিতে পারিবে। (৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশের দ্বারা কোন ব্যক্তি সংক্ষুদ্ধ হইলে তিনি আদেশ প্রাপ্তির ৩০(ত্রিশ) দিনের মধ্যে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে,- (ক) আদেশটি সরকার কর্তৃক প্রদত্ত হইলে উহা সরকারের পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন দাখিল; (খ) আদেশটি জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রদত্ত হইলে সরকারের নিকট আপিল, করিতে পারিবেন। (৬) উপ-ধারা (৫) এ উল্লিখিত ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে, এবং উক্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোন আদালতে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না। (৭) কোন লাইসেন্সী কর্তৃক লাইসেন্সের কোন শর্ত লঙ্ঘন করা হইলে, লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ, লিখিত আদেশ দ্বারা, এই আইনের অধীন অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণসহ লাইসেন্সটি সাময়িকভাবে স্থগিত করিতে পারিবে। |
|||
হিসাব বহি, রেজিস্টার, ইত্যাদি সংরক্ষণ ও মাসিক প্রতিবেদন দাখিল |
৬। (১) প্রত্যেক লাইসেন্সী ফরমালিন আমদানি, উৎপাদন, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়, বিক্রয়, ব্যবহার ও দখলে রাখা সংক্রান্ত হিসাব, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, সংরক্ষণ করিবেন, এবং তদ্সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রতি মাসে লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করিবেন। (২) প্রত্যেক লাইসেন্সী উপ-ধারা (১) এর অধীন সংরক্ষিত হিসাব লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনীত কর্মকর্তাকে, তাৎক্ষণিকভাবে, দেখাইতে বাধ্য থাকিবেন। |
|||
প্রবেশ, ইত্যাদি ক্ষমতা |
৭। লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ বা উহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে সাধারণ বা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা, এই আইন এবং বিধির বিধান সাপেক্ষে,- (ক) ফরমালিন প্রস্তুত বা গুদামজাত করা হইয়াছে বা হইতেছে এইরূপ যে কোন স্থানে যে কোন সময় প্রবেশ ও উহা পরিদর্শন করিতে পারিবেন; (খ) ফরমালিন ক্রয় ও বিক্রয়ের সহিত সংশ্লিষ্ট যে কোন দোকানে উহা খোলা রাখিবার সাধারণ সময়ে প্রবেশ ও উহা পরিদর্শন করিতে পারিবেন; এবং (গ) দফা (ক) ও (খ) তে উল্লিখিত স্থান বা দোকানে- (অ) রক্ষিত হিসাব বই, রেজিস্টার ও অন্যান্য নথিপত্র পরীক্ষা করিতে পারিবেন; (আ) প্রাপ্ত ফরমালিন এবং ফরমালিন জাতীয় পদার্থ প্রস্তুতের সাজ-সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি ও উপাদান পরীক্ষা, ওজন ও পরিমাণ নির্ধারণ করিতে পারিবেন; এবং (ই) রক্ষিত হিসাব বই, রেজিস্টার ও অন্যান্য নথিপত্র, ব্যবহৃত পরিমাপ যন্ত্র বা পরীক্ষা যন্ত্র পরীক্ষান্তে ত্রুটিপূর্ণ পাওয়া গেলে বা প্রাপ্ত ফরমালিন এবং ফরমালিন জাতীয় পদার্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত পরিমাণের অধিক পাওয়া গেলে উহা আটক করিতে পারিবেন। |
|||
ফরমালিন বিক্রয়ের দোকান, ইত্যাদি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করিবার ক্ষমতা |
৮। (১) লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, কোন ফরমালিন বিক্রয়ের দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ফরমালিন পরিবহনকারী কোন যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা প্রয়োজন, তাহা হইলে তিনি, অনধিক ১৫ (পনের) দিনের জন্য, উক্ত দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা যান চলাচল বন্ধ রাখিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ লিখিত হইতে হইবে, এবং উহাতে উক্তরূপ আদেশ প্রদানের সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করিতে হইবে। |
|||
তৃতীয় অধ্যায় ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ কমিটি, ইত্যাদি |
||||
ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ কমিটি, ইত্যাদি |
৯।(১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রত্যেক জেলায় ও উপজেলায় ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ কমিটি নামে একটি করিয়া কমিটি থাকিবে। (২) জেলা ও উপজেলা ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ কমিটির গঠন, দায়িত্ব ও কর্তব্য, সভা এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। |
|||
চতুর্থ অধ্যায় তদন্ত, তল্লাশী, আটক, বাজেয়াপ্তকরণ, ইত্যাদি |
||||
তদন্তের ক্ষমতা |
১০। (১) সরকার, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, জেলা প্রশাসক বা তাহার অধস্তন কোন কর্মকর্তা বা কোন পুলিশ কর্মকর্তাকে এই আইনের অধীন অপরাধ তদন্তের জন্য ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুরূপ ক্ষমতা থাকিবে। |
|||
পরোয়ানা জারী, ইত্যাদির ক্ষমতা |
১১। (১) এই আইনের অধীন সরকারের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার যদি এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে,- (ক) কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোন অপরাধ করিয়াছেন, বা (খ) এই আইনের অধীন অপরাধ সংক্রান্ত কোন বস্তু বা উহা প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় কোন দলিল-দস্তাবেজ বা কোন প্রকার জিনিসপত্র কোন স্থানে বা ব্যক্তির নিকট রক্ষিত আছে, তাহা হইলে অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া তিনি উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করিবার জন্য বা উক্ত স্থানে যে কোন সময় তল্লাশীর জন্য পরোয়ানা জারী করিতে পারিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন জারীকৃত কোন পরোয়ানা যে থানায় পাঠানো হইবে সেই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উহা কার্যকর করিবেন। |
|||
পরোয়ানা ব্যতিরেকে তল্লাশী, ইত্যাদির ক্ষমতা |
১২। (১) সরকারের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে সাধারণ বা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা বা পুলিশ পরিদর্শক বা তদুর্ধ্ব কোন কর্মকর্তার যদি এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোন স্থানে এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বা হইতেছে বা হইবার সম্ভাবনা রহিয়াছে, তাহা হইলে অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া তিনি যে কোন সময়- (ক) উক্ত স্থানে প্রবেশ করিয়া তল্লাশী করিতে পারিবেন এবং প্রবেশে বাধাপ্রাপ্ত হইলে বাধা অপসারণের জন্য দরজা-জানালা ভাঙ্গাসহ যে কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন; (খ) উক্ত স্থান তল্লাশীকালে প্রাপ্ত অপরাধ সংঘটনে ব্যবহার্য ফরমালিন বা অন্যান্য দ্রব্যাদি, এই আইনের অধীন আটক বা বাজেয়াপ্তযোগ্য বস্তু, এবং অপরাধ প্রমাণে সহায়ক কোন দলিল-দস্তাবেজ বা জিনিসপত্র আটক করিতে পারিবেন; (গ) উক্ত স্থানে উপস্থিত যে কোন ব্যক্তির দেহ তল্লাশী করিতে পারিবেন; (ঘ) উক্ত স্থানে উপস্থিত কোন ব্যক্তিকে এই আইনের অধীন কোন অপরাধ করিয়াছেন বা করিতেছেন বলিয়া সন্দেহ হইলে উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করিতে পারিবেন। (২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সূর্যাস্ত হইতে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কোন স্থানে প্রবেশ করিয়া তল্লাশী পরিচালনা না করিলে অপরাধের সহিত সম্পৃক্ত কোন বস্তু নষ্ট বা লুপ্ত হইবার বা অপরাধী পালাইয়া যাইবার সম্ভাবনা আছে বলিয়া ধারা ১০ এর অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার বিশ্বাস করিবার সঙ্গত কারণ থাকিলে অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া তিনি উক্ত সময়ের মধ্যে উক্ত স্থানে প্রবেশ ও তল্লাশী করিতে পারিবেন। |
|||
আটক, ইত্যাদি সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিতকরণ |
১৩। এই আইনের অধীন কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হইলে বা কোন বস্তু আটক করা হইলে, গ্রেফতারকারী বা আটককারী কর্মকর্তাকে তৎসম্পর্কে লিখিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে তাহার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবিলম্বে অবহিত করিতে হইবে এবং উক্ত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট এলাকার লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।
|
|||
প্রকাশ্য স্থান বা যানবাহনে আটক বা গ্রেফতারের ক্ষমতা |
১৪। যদি ধারা ১০ এর অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোন প্রকাশ্য স্থানে বা কোন চলমান যানবাহনে- (ক) বাজেয়াপ্তযোগ্য ফরমালিন বা কোন বস্তু বা এই আইনের অধীন কোন অপরাধ প্রমাণের সহায়ক কোন দলিল-দস্তাবেজ রক্ষিত আছে, তাহা হইলে তাহার অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া তিনি উক্ত ফরমালিন, তদ্সংশ্লিষ্ট বস্তু বা এতদ্সংক্রান্ত দলিল-দস্তাবেজ তল্লাশী করিয়া আটক করিতে পারিবেন; (খ) এই আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনকারী বা সংঘটনে উদ্যত কোন ব্যক্তি আছেন, তাহা হইলে তাহার অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া তিনি তাহাকে আটক করিয়া তল্লাশী করিতে পারিবেন এবং তাহার নিকট দফা (ক) এ উল্লিখিত ফরমালিন বা অনুরূপ কোন বস্তু বা দলিল-দস্তাবেজ পাওয়া গেলে তাহাকে গ্রেফতার করিতে পারিবেন। |
|||
তল্লাশী, ইত্যাদির পদ্ধতি |
১৫। এই আইনের ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, এই আইনের অধীন জারীকৃত সকল পরোয়ানা, তল্লাশী, গ্রেফতার ও আটকের ক্ষেত্রে Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।
|
|||
পারস্পরিক সহযোগিতার বাধ্যবাধকতা |
১৬।এই আইনের কোন বিধান কার্যকর করিবার লক্ষ্যে অনুরোধ করা হইলে ধারা ১১(১) এ উল্লিখিত কর্মকর্তাগণ পরস্পরকে সহযোগিতা করিতে বাধ্য থাকিবেন।
|
|||
মামলার তদন্ত হস্তান্তর |
১৭। এই আইনের অধীন কোন অপরাধের তদন্তকালীন তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ বা, ক্ষেত্রমত, তদন্তকারী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসকের অনুমোদনক্রমে, তৎকর্তৃক নির্দিষ্টকৃত কোন কর্মকর্তার নিকট তদন্তকার্য হস্তান্তর করিবেন এবং যে কর্মকর্তার নিকট উক্ত তদন্তকার্য হস্তান্তর করা হইবে তিনি, প্রয়োজনবোধে, শুরু হইতে বা যে পর্যায়ে তদন্তকার্য হস্তান্তর হইয়াছে সেই পর্যায় হইতে তদন্তকার্য পরিচালনা করিতে পারিবেন এবং তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।
|
|||
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও আটককৃত মালামাল সংক্রান্ত বিধান |
১৮। (১) কোন ব্যক্তিকে এই আইনের অধীন গ্রেফতার করা হইলে বা কোন বস্তু আটক করা হইলে উক্ত ব্যক্তি বা আটককৃত বস্তুকে অনতিবিলম্বে নিকটস্থ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিতে হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে যে কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করা হইবে তিনি, যতশীঘ্র সম্ভব, উক্ত ব্যক্তি বা বস্তু সম্পর্কে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। |
|||
বাজেয়াপ্তকরণ, ইত্যাদি |
১৯।(১) এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে, যে ফরমালিন, সাজ-সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি, উপকরণ, আধার, পাত্র, মোড়ক, যানবাহন, বা অন্য কোন বস্তু সমন্বয়ে বা সহযোগে উক্ত অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে সেইগুলি বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত বাজেয়াপ্তযোগ্য ফরমালিন, সাজ-সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি, উপকরণ, আধার, পাত্র, মোড়ক, যানবাহন, বা অন্য কোন বস্তু আটক করা হইলে, যদি- (ক) উহার সহিত সংশ্লিষ্ট কোন অপরাধীকে পাওয়া না যায়, তাহা হইলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, লিখিত আদেশ দ্বারা, উহা বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবেন, এবং (খ) উহার সহিত সংশ্লিষ্ট কোন অপরাধীকে পাওয়া যায়, তাহা হইলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা, ক্ষেত্রমত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক লিখিত আদেশ দ্বারা উহা বাজেয়াপ্ত করিবার পূর্বে আপত্তি উত্থাপনের সুযোগ দেওয়ার জন্য, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নোটিশ জারী করিতে হইবে, এবং আপত্তি উত্থাপনকারীকে শুনানীর যুক্তিসঙ্গত সুযোগ প্রদান করিতে হইবে। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশের দ্বারা কোন ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে- (ক) আদেশটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত হইলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট; এবং (খ) আদেশটি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা তৎকর্তৃক মনোনীত কোন কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত হইলে বিভাগীয় কমিশনারের নিকট আপীল করিতে পারিবেন। (৪) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত আপীল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে। (৫) এই আইনের অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য কোন দ্রব্যের বাজেয়াপ্তি আদেশ প্রদানের সংগে সংগে দ্রব্যটি সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করিতে হইবে এবং তিনি উহা, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, ধ্বংস করিবার ব্যবস্থা করিবেন। |
|||
পঞ্চম অধ্যায় অপরাধ ও দণ্ড |
||||
লাইসেন্স ব্যতীত ফরমালিনের আমদানি, উৎপাদন বা মজুদের দণ্ড |
২০। কোন ব্যক্তি যদি লাইসেন্স ব্যতীত ফরমালিন আমদানি, উৎপাদন, বা মজুদ করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে এবং ইহার অতিরিক্ত অনধিক ২০ (বিশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, তবে ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকার নিম্নে নহে, দণ্ডিত হইবেন।
|
|||
লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করার দণ্ড |
২১। কোন ব্যক্তি যদি এই আইনের অধীন প্রদত্ত লাইসেন্সের কোন শর্ত ভঙ্গ করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদণ্ড, তবে ৩ (তিন) বৎসরের নিম্নে নহে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, তবে ২ (দুই) লক্ষ টাকার নিম্নে নহে, বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
|
|||
লাইসেন্স ব্যতীত ফরমালিন বিক্রয় বা ব্যবহারের দণ্ড |
২২। কোন ব্যক্তি যদি লাইসেন্স ব্যতীত ফরমালিন বিক্রয় বা ব্যবহার করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড, তবে ৬ (ছয়) মাসের নিম্নে নহে, বা অনধিক ৪ (চার) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, তবে ১ (এক) লক্ষ টাকার নিম্নে নহে, বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
|
|||
লাইসেন্স ব্যতীত ফরমালিন পরিবহন বা দখলে রাখার দণ্ড |
২৩। কোন ব্যক্তি যদি লাইসেন্স ব্যতীত ফরমালিন পরিবহন করেন বা দখলে রাখেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২(দুই) বৎসর কারাদণ্ড, তবে ৬ (ছয়) মাসের নিম্নে নহে, বা অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, তবে ১(এক) লক্ষ টাকার নিম্নে নহে, বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
|
|||
ফরমালিন উৎপাদনে ব্যবহারযোগ্য যন্ত্রপাতি, ইত্যাদি রাখার দণ্ড |
২৪। লাইসেন্সী ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির নিকট বা তাহার দখলে বা তাহার দখলভুক্ত কোন স্থানে যদি ফরমালিন উৎপাদনে ব্যবহারযোগ্য কোন যন্ত্রপাতি, সাজ-সরঞ্জাম বা উপকরণ পাওয়া যায়, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড, তবে ৬ (ছয়) মাসের নিম্নে নহে, এবং ইহার অতিরিক্ত অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, তবে ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকার নিম্নে নহে, বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
|
|||
অপরাধ সংঘটনে গৃহ বা যানবাহন, ইত্যাদি ব্যবহার করিতে দেওয়ার দণ্ড |
২৫। কোন ব্যক্তি যদি জ্ঞাতসারে এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটনের জন্য তাহার মালিকানাধীন বা দখলীয় কোন বাড়ি-ঘর, জায়গা-জমি, যানবাহন, যন্ত্রপাতি বা সাজ-সরঞ্জাম ব্যবহার করিতে অনুমতি দেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড, তবে ৬ (ছয়) মাসের নিম্নে নহে, বা অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, তবে ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকার নিম্নে নহে, বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
|
|||
মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের দণ্ড |
২৬। যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অধীন কোন অপরাধের বিষয়ে কোন মামলা দায়ের করেন এবং যদি তদন্তক্রমে বা সাক্ষ্য প্রমাণে ইহা প্রমাণিত হয় যে, উক্তরূপ অভিযোগটি মিথ্যা বা হয়রানিমূলক, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড, তবে ৩ (তিন) মাসের নিম্নে নহে, বা অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, তবে ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকার নিম্নে নহে, বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
|
|||
অপরাধ সংঘটনে সহায়তার দণ্ড |
২৭। কোন ব্যক্তি যদি এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটনে কাহাকেও সহায়তা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি অপরাধ সংঘটনকারীর সমপরিমাণ দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
|
|||
অপরাধ পুনঃসংঘটনের দণ্ড |
২৮। এই আইনে উল্লিখিত কোন অপরাধের জন্য দণ্ডিত হইয়া দণ্ড ভোগ করিবার পর যদি কোন ব্যক্তি পুনরায় একই অপরাধ করেন, তাহা হইলে তিনি ধারা ২০ এর অধীন সংঘটিত অপরাধ ব্যতীত অন্যান্য অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ যে দণ্ড রহিয়াছে উহার দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
|
|||
অর্থ দণ্ড আদায়, ইত্যাদি |
২৯। এই আইনের অধীন প্রদত্ত অর্থদণ্ডের অর্থ প্রচলিত আইনের বিধান অনুযায়ী দণ্ডিত ব্যক্তির নিকট হইতে বা তাহার বিদ্যমান সম্পদ বা তাহার মৃত্যু হইলে মৃত্যুর সময় রাখিয়া যাওয়া সম্পদ হইতে আদায় করা যাইবে।
|
|||
কোম্পানী কর্তৃক অপরাধ সংঘটন |
৩০। (১) এই আইনের অধীন কোন বিধান লঙ্ঘনকারী ব্যক্তি যদি কোম্পানী হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানীর, মালিক, অংশীদার, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা এজেন্ট বিধানটি লঙ্ঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত লঙ্ঘন তাঁহার জ্ঞাতসারে হয় নাই অথবা উক্ত লঙ্ঘন রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন। (২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোম্পানী আইনগত ব্যক্তিসত্তা (body corporate) হইলে, উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট উক্ত কোম্পানীকে আলাদাভাবে একই কার্যধারায় অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে, তবে ফৌজদারী মামলায় উহার উপর সংশ্লিষ্ট বিধান অনুসারে শুধু অর্থদণ্ড আরোপ করা যাইবে। ব্যাখ্যা- এই ধারায়- (ক) ‘‘কোম্পানী’’ অর্থে কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ অনুযায়ী গঠিত পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী, প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী, অংশীদারী ব্যবসা, কোন সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও সমিতি বা সংগঠন, এবং দোকানও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; (খ) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ‘‘পরিচালক’’ অর্থ উহার কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্য। |
|||
অপরাধ সম্পর্কে অনুমান |
৩১। যদি কোন ব্যক্তির নিকট বা তাহার নিয়ন্ত্রণাধীন কোন স্থানে লাইসেন্সবিহীন কোন ফরমালিন প্রস্তুতে ব্যবহারযোগ্য সাজ-সরঞ্জাম বা যন্ত্রপাতি বা ফরমালিন প্রস্তুতের জন্য প্রয়োজনীয় কোন বস্তু বা উপাদান পাওয়া যায়, তাহা হইলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া আদালত অনুমান করিতে পারিবে, এবং তিনি যে উহা করেন নাই উহা প্রমাণের দায়িত্ব তাহার উপর বর্তাইবে।
|
|||
রাসায়নিক পরীক্ষাগার স্থাপন, পরীক্ষক নিয়োগ ও রিপোর্ট |
৩২। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার ফরমালিনের প্রকার, পরিমাণ, মাত্রা বা ঐ প্রকার কোন উপাদানের রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগার স্থাপন করিতে পারিবে এবং উহার জন্য রাসায়নিক পরীক্ষক নিয়োগ করিতে পারিবে। (২) এই আইনের অধীন পরিচালিত কোন কার্যক্রমের কোন পর্যায়ে কোন বস্তুর রাসায়নিক পরীক্ষার প্রয়োজন দেখা দিলে উহা উপ-ধারা (১) এর অধীন স্থাপিত রাসায়নিক পরীক্ষাগারে প্রেরণ করিতে হইবে। (৩) রাসায়নিক পরীক্ষকের স্বাক্ষরযুক্ত রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট এই আইনের অধীন কোন তদন্ত, বিচার বা অন্য কোন প্রকার কার্যক্রমে সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার করা যাইবে। (৪) এই ধারার অধীন রাসায়নিক পরীক্ষাগার স্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত এতদুদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত যে কোন পরীক্ষাগারে এই ধারায় উল্লিখিত রাসায়নিক পরীক্ষা করা যাইবে। |
|||
ক্ষতিপূরণ, ইত্যাদির দাবী অগ্রহণযোগ্য |
৩৩। এই আইনের অধীন লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশের ফলে কোন লাইসেন্সী ক্ষতিগ্রস্ত হইলে তজ্জন্য তিনি, অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ক্ষতিপূরণ দাবী করিতে পারিবেন না বা তৎকর্তৃক প্রদত্ত কোন ফিস ফেরত চাহিতে পারিবেন না।
|
|||
অপরাধের বিচার |
৩৪। Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, – (ক) ধারা ২০ ও ২১ এর অধীন অপরাধসমূহ Special Powers Act, 1974 (Act XIV of 1974) এর অধীন গঠিত স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল, এবং (খ) অন্যান্য অপরাধসমূহ প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কর্তৃক বিচার্য হইবে। |
|||
মোবাইল কোর্টের এখতিয়ার |
৩৫। এই আইনে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ২০ ও ২১ এর অধীন অপরাধ ব্যতীত অন্যান্য অপরাধসমূহ, মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৫৯ নং আইন) এর তফসিলভুক্ত করিয়া বিচার করা যাইবে।
|
|||
ষষ্ঠ অধ্যায় বিবিধ |
||||
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা |
৩৬। (১) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে। (২) উপ-ধারা (১) এর ক্ষমতার সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া, সরকার নিম্নবর্ণিত যে কোন বিষয়ে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথা :- (ক) ফরমালিনের আমদানি, উৎপাদন, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়, বিক্রয়, ব্যবহার ও দখলে রাখিবার পদ্ধতি; (খ) ফরমালিনের আমদানি, উৎপাদন, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়, বিক্রয়, ব্যবহার ও দখলে রাখা ইত্যাদির লাইসেন্সের জন্য আবেদন, লাইসেন্স প্রদান, লাইসেন্স নবায়ন, ফিস নির্ধারণ; (গ) ফরমালিনের আমদানি, উৎপাদন, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়, বিক্রয়, ব্যবহার ও দখলে রাখা সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি; (ঘ) ফরমালিনের আমদানি, উৎপাদন, পরিবহন, মজুদ, ক্রয়, বিক্রয়, ব্যবহার ও দখলে রাখার জন্য সংরক্ষিত পাত্রের গায়ে লেবেল, প্যাকেটজাতকরণ পদ্ধতি; (ঙ) তদন্ত, তল্লাশী, আটক, বাজেয়াপ্তকরণ ও পরিদর্শন পদ্ধতি; (চ) তহবিলের হিসাব সংরক্ষণ ও নিরীক্ষা পদ্ধতি; (ছ) ফরমালিন ব্যবহারের গ্রহণযোগ্য মাত্রা নির্ধারণ। |
|||
অব্যাহতি, ইত্যাদি |
৩৭। সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা কোন দপ্তর বা সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত শর্তাধীনে এই আইনের কোন বিধানের প্রয়োগ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
|
|||
Act XIV of 1974 Schedule সংশোধন |
৩৮। Special Powers Act, 1974 (Act XIV of 1974) এর Schedule এর বিলুপ্ত Paragraph 5 এর পর নিম্নরূপ Paragraph 5A সন্নিবেশিত হইবে, যথা :-
“5A. Offence punishable under ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৫ (Formalin Control Act, 2015)” | |
|||
ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ |
৩৯। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে। (২) এই আইন ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে এই আইন প্রাধান্য পাইবে। |
|||
পুনশ্চ:তথ্যসূত্র- bdlaws.minlaw.gov.bd/
পুন: পুনশ্চ: পিডিএফ ভার্সন এখানে।
Visited 266 times, 1 visits today | Have any fisheries relevant question?