এইচএসসি পরীক্ষা শেষ। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ফলাফল প্রকাশিত হবে। আর ফলাফল প্রকাশের পরপরই বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হতে থাকবে। তাই কাঙ্ক্ষিত বিষয়ে ভর্তি হতে চাইলে এখনই যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক। কারণ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাই অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক হয়ে থাকে। তবে যথাযথ প্রস্তুতি থাকলে সফলতা লাভ করা অসম্ভব নয়।

মৎস্যবিজ্ঞানে কেন পড়বো?

  • বাংলাদেশে প্রাণীজ আমিষের প্রায় ষাট শতাংশ পাওয়া যায় মৎস্য ও মৎস্য-জাত দ্রব্য থেকে যা অন্যান্য প্রাণীজ আমিষের চেয়ে তুলনামূলক দামে সস্তা ও সহজ-প্রাপ্য। দরিদ্রতা আর জনসংখ্যার আধিক্যের পরিপ্রেক্ষিতে কেবলমাত্র মৎস্যবিজ্ঞানই পারে মৎস্য ও মৎস্য-জাত দ্রব্যের মত প্রাণীজ আমিষের এই সরবরাহ নিশ্চিত করার বিষয়টিকে যথার্থভাবে বাস্তবায়ন করতে।
  • জনসংখ্যার আধিক্যজনিত কারণে বার্ষিক চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট পরিমাণ মৎস্য সম্পদ আহরণ ও উৎপাদন করা এখনও সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাই এই চাহিদার সাথে উৎপাদনের সম্পর্ক মেলাতে প্রয়োজন আরও গবেষণা, আরও গবেষক। আর কাঙ্ক্ষিত গবেষক তৈরি করতে পারে মৎস্যবিজ্ঞান।
  • বাংলাদেশে মৎস্য-জাত দ্রব্য রপ্তানির মাধ্যমে মৎস্য খাত হতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়ে থাকে। অন্যদিকে চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকরণ ফ্যাক্টরিসমূহে বর্তমানে মোট উৎপাদন ক্ষমতার মাত্র ২০ শতাংশ ব্যবহৃত হচ্ছে যথেষ্ট পরিমাণ চিংড়ি সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারার কারণে। তাই চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ফ্যাক্টরিসমূহের উৎপাদন ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে মৎস্যবিজ্ঞান ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
  • প্রায় ১.২৫ কোট মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মৎস্য খাতের সাথে সম্পৃক্ত যা বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ। অন্যদিকে গ্রামীণ জনপদের প্রতি পাঁচজনের চারজনই জলজ সম্পদের উপর প্রত্যক্ষভাবে নির্ভরশীল। মৎস্য সম্পদ ও তত সংশ্লিষ্ট মানব সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের পথ বাতলে দিতে সক্ষম মৎস্যবিজ্ঞান।
  • নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনের জন্য সময় উপযোগী আর প্রয়োজনীয় গবেষণা, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণ মৎস্য বিজ্ঞানে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন জনবলের। বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দাতা বা উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, ব্যাংক বা অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে ওঠা শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহেও রয়েছে ফিসারিজ সংশ্লিষ্ট কাজের সুযোগ। এছাড়াও মৎস্য সম্পদ আহরণ ও উৎপাদন ক্ষেত্র, বিভিন্ন মৎস্য ও মৎস্য-জাত দ্রব্য উৎপাদন ও রপ্তানি প্রতিষ্ঠান, মৎস্য চাষ ও মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যবহৃত নানাবিধ উপকরণ উৎপাদন সংশ্লিষ্ট শিল্পকারখানার বিস্তৃতির ফলে মৎস্য খাতে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক কর্মসংস্থানের যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে মৎস্য বিজ্ঞানে অধ্যয়নের পর একজন শিক্ষার্থীর সামনে রয়েছে অনেক ধরণের কাজের সুযোগ যা তার পছন্দমত কাজ পেতে সহায়ক। আরও জানতে পড়ুন “ফিসারিজ গ্রাজুয়েটের যত কর্মক্ষেত্র”।


কোথায় পড়বো?

  • বাংলাদেশের এগারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএস-সি ফিসারিজ (অনার্স) কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। যথা-
    অনুষদ/বিভাগ/ডিসিপ্লিন ও বিশ্ববিদ্যালয় যে গ্রুপ/ইউনিট/স্কুল/অনুষদের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হয় আসন সংখ্যা (টি) কোর্স পদ্ধতি
    ফিশারিজ অনুষদ, বশেমুরকৃবি ফিশারিজ অনুষদ ৩০ সেমিস্টার
    ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগ, নোবিপ্রবি এ-গ্রুপ ৬০ সেমিস্টার
    মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ, সিকৃবি মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদ ৬০ সেমিস্টার
    মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ, বাকৃবি মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ ১০৫ সেমিস্টার
    ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিন, খুবি জীববিজ্ঞান স্কুল ৪০ সেমিস্টার
    ফিসারিজ অনুষদ, হাবিপ্রবি এ-ইউনিট ৬৫ সেমিস্টার
    মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদ, পবিপ্রবি এ-ইউনিট ৩৫ সেমিস্টার
    ফিশারীজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগ, যবিপ্রবি বি-ইউনিট ৪০ সেমিস্টার
    ফিশারীজ বিভাগ, রাবি জি-ইউনিট ৩৫ বার্ষিক
    মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাবি ক-ইউনিট ৩০
    ইন্সটিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ, চবি জি-ইউনিট ২০ বার্ষিক
  • বিএসসি ফিশারিজ (অনার্স) ছাড়াও মৎস্যবিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট বি.এস-সি. (অনার্স) ইন মেরিন সায়েন্স এবং বি.এস-সি. (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফী কোর্স করার সুযোগ রয়েছে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। যথা-
    অনুষদ/বিভাগ/ডিসিপ্লিন ও বিশ্ববিদ্যালয় যে গ্রুপ/ইউনিট/স্কুল/অনুষদের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হয় আসন সংখ্যা (টি) কোর্স পদ্ধতি
    ইন্সটিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ, চবি জি-ইউনিট বিএসসি (অনার্স) ইন মেরিন সায়েন্সে – ৫০, বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফী – ২০ বার্ষিক
  • বাকৃবি অধিভুক্ত বাংলাদেশের একমাত্র ফিসারিজ কলেজ শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব ফিশারীজ কলেজ, মেলান্দহ, জামালপুর থেকেও বি.এস-সি. ফিশারীজ (অনার্স) ডিগ্রী করার সুযোগ রয়েছে। আসন সংখ্যা ৬০ টি। কোর্স পদ্ধতি সেমিস্টার।
  • এছাড়াও বাংলাদেশ মেরিন ফিশারীজ একাডেমি, চট্টগ্রাম থেকে বি.এস-সি ফিশারীজ (পাশ) কোর্স করার সুযোগ রয়েছে।


ভর্তি প্রস্তুতি কিভাবে নেব?

গতবছরের আবেদন পদ্ধতি, ন্যূনতম যোগ্যতা, পরীক্ষার পদ্ধতি ও প্রশ্নের ধরণ এর আলোকে এ বছরের ভর্তি পদ্ধতি ও পরীক্ষা সম্পর্কে একটা ধারণা পেতে নিচে সংক্ষিপ্ত আকারে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি উল্লেখ করা হল।

বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আবেদনের পদ্ধতি:

  • এসএমএস (মোবাইল) বা ওয়েবসাইট (অনলাইন/ইন্টারনেট)
  • ফি ৪৮০ থেকে ৬০৫ টাকার মধ্যে।

নূন্যতম যোগ্যতা:

  • বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত বছরের ভর্তির শর্তাবলী বিবেচনায় নিয়ে বলা যায় ২০১৩ সালের ভর্তি পরীক্ষায় ২০১১/২০১২ সালে এইচএসসি/সমমান ও ২০০৯/২০১০ সালে এসএসসি/সমমান পাসকৃত বিজ্ঞান গ্রুপের শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুযোগ পাবে। তবে দু’একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৭/২০০৮ সালে এসএসসি উত্তীর্ণরাও আবেদনের সুযোগ পেতে পারে।
  • এসএসসিতে ২.৫ -৩.৫ (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৩.০০) ও এইচএসসিতে ২.৫ -৩.৫ (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৩.০০) সহ মোট ৬.০০ -৮.০০ (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৬.৫০) চেয়ে থাকে।
  • অনেক বিশ্ববিদ্যালয় জিপিএ নির্ণয়ে চতুর্থ বিষয় বাদ দিয়ে হিসেব করে থাকে। তাই বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টির প্রতি লক্ষ রাখতে হবে।

‘ও’ এবং ‘এ’ লেভেলের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় যেমনটি চেয়ে থাকে-

  • ‘ও’ লেভেলের চার-পাঁচ টি বিষয়ের প্রতিটিতে কমপক্ষে গ্রেড বি এবং ‘এ’ লেভেলে পদার্থ, রসায়ন ও গণিত ও জীববিজ্ঞানসহ কমপক্ষে গড়ে বি গ্রেড চেয়ে থাকে।
  • বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে এ জাতীয় শর্তে প্রভূত ভিন্নতা দেখতে পাওয়া যায়।

অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বিষয় ভিত্তিক ন্যূনতম গ্রেড চেয়ে থাকে। যেমন-

  • সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে এইচএসসিতে জীববিজ্ঞানে, বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে এইচএসসিতে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত ও ইংরেজিতে ন্যূনতম বি/সি গ্রেড বা জিপি ২.০/৩.০ চেয়ে থাকে।
  • তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেদে এর অনেক ভিন্নতা দেখতে পাওয়া যায়।

অনেক বিশ্ববিদ্যালয় সকল আবেদনকারীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয় না। যেমন-

  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আসন সংখ্যার সর্বোচ্চ ১৫ গুন এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আসন সংখ্যার সর্বোচ্চ ১০ গুন আবেদনকারীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়।
  • অনেক বিশ্ববিদ্যালয় কেবলমাত্র বাংলাদেশী নাগরিকদেরই ভর্তির সুযোগ দেয়। যেমন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি।

বিশেষ যোগ্যতা:

  • মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স ২১ বছর, অবিবাহিত, বাংলাদেশী পুরুষ অথবা নারী যাদের সর্বনিম্ন উচ্চতা ১৬২.৫ সে.মি. (পুরুষ) এবং ১৫৫ সে.মি. (মহিলা), ওজন উচ্চতা অনুযায়ী হবে, দৃষ্টিশক্তি ৬/৬, স্বাভাবিক কালার ভিশন। সাঁতার জানা আবশ্যক।

পরীক্ষার পদ্ধতি:

  • সাধারণ ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর পদ্ধতি এমসিকিউ যা ওএমআর প্রযুক্তিতে মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে।
  • ভর্তি পরীক্ষার নম্বর ৬০ -১২০ এর মধ্যে হয়ে থাকে তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা ১০০।
  • সময়কাল বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরীক্ষার সময়কাল এক ঘণ্টা।
  • অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভুল উত্তরের জন্য নম্বর কাটা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কর্তনকৃত নম্বরের পরিমাণ প্রশ্ন প্রতি বরাদ্দকৃত নম্বরের একচতুর্থাংশ হয়ে থাকে যা প্রশ্নপত্রে উল্লেখ থাকে।

পাশ নম্বর:

  • বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাশ নম্বর ভর্তি পরীক্ষার মোট নম্বরের ৪০-৪৫ শতাংশ হয়ে থাকে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট পাশ নম্বরের পাশাপাশি/পরিবর্তে ভর্তি পরীক্ষার প্রতিটি বিষয়ে/সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলাদা আলাদাভাবে পাশ নম্বর থাকে।
  • পাশ নম্বর যাই হোক না কেন খুব কম ক্ষেত্রেই ৬৫% নিচে নম্বর পেয়ে ভর্তি হবার সুযোগ পাওয়া যায়। তাই ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাইলে ৭০% বা এর অধিক নম্বর প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।

প্রশ্নপত্রের বিষয়:

  • সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্রে জীববিজ্ঞান (উদ্ভিদবিদ্যা ও প্রাণিবিদ্যা) ও রসায়ন বিষয়ের উপর প্রশ্ন থাকে।
  • অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে জীববিজ্ঞান (উদ্ভিদবিদ্যা ও প্রাণিবিদ্যা) ও রসায়নের পাশাপাশি গণিত, পদার্থবিদ্যা ও ইংরেজি বিষয়ের উপরও প্রশ্ন থাকে।
  • দু’একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এর সাথে বাংলা ও সাধারণ জ্ঞানের উপরও প্রশ্ন করে থাকে।

মেধাতালিকা প্রস্তুত:

  • বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা তৈরি করা হয়। এর মধ্যে ১০০ নম্বর ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর। এবং বাকী ১০০ নম্বরের বণ্টন: এসএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএ এর ৮ গুণ এবং এইচএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএ এর ১২ গুণ বা এসএসসির ৪০% ও এইচএসসির ৬০%।
  • তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা তৈরি করা হয়। এর মধ্যে ১০০ নম্বর ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর। এবং বাকী ২০০ নম্বরের বণ্টন: এসএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএ এর ১৬ গুণ এবং এইচএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএ এর ২৪ গুণ।
  • যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি করা হয়। ভর্তি পরীক্ষার ৮০ নম্বর এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের উপর ২০ (১০+১০) নম্বর।
  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ১০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধা-স্কোর তৈরি করা হবে। যার মধ্যে ৬০ নম্বর ভর্তি পরীক্ষা থেকে এবং ৪০ নম্বর এসএসসি ও এইচএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএ থেকে সমভাবে সমন্বয় করা হয়।
  • অনেক বিশ্ববিদ্যালয় জিপিএ নির্ণয়ে চতুর্থ বিষয় বাদ দিয়ে হিসেব করে থাকে। তাই বিষয়টি লক্ষ রাখা প্রয়োজন।

ভর্তি পরীক্ষার অংশগ্রহণের সময় যেসব কাগজপত্র সঙ্গে আনতে হয়:

  • সাধারণত ভর্তি পরীক্ষার সময় নিম্নলিখিত কাগজপত্র সঙ্গে আনার প্রয়োজন হয়ে থাকে। যথা-
  • এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ডের দুই কপি সত্যায়িত ফটোকপি ও মূল কপি
  • পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি

ভর্তির অংশগ্রহণের সময় যেসব কাগজপত্র সঙ্গে আনতে হয়:

  • সাধারণত ভর্তির সময় নিম্নলিখিত কাগজপত্র সঙ্গে আনার প্রয়োজন হয়ে থাকে। যথা-
  • এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ডের দুই কপি সত্যায়িত ফটোকপি ও মূল কপি
  • পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি
  • পরীক্ষার হলে প্রবেশপত্র হিসেবে ব্যবহৃত কাগজপত্র
  • এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার মূল নম্বরপত্র ও সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি ও মূল কপি
  • এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার মূল মূল নম্বরপত্র/সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি ও মূল কপি
  • পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি

পুনশ্চ:

  • বাংলাদেশের যেসব প্রতিষ্ঠানে মৎস্যবিজ্ঞান বা মৎস্য সংশ্লিষ্ট কোর্স করানো হয় সেসব প্রতিষ্ঠানের ১০১২ সালের ভর্তি বিজ্ঞপ্তির আলোকে লেখাটি তৈরি করা হয়েছে। এটি কেবলমাত্র মৎস্যবিজ্ঞানে ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর ভর্তি প্রস্তুতি সম্পর্কে ধারনা পেতে সহায়কমূলক একটি ফিচার মাত্র। কোন চূড়ান্ত তথ্য নয়। চূড়ান্ত তথ্য জানতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের (রাবিঢাবিচবিখুবিবাকৃবিসিকৃবিবশেমরকৃবি,  হাবিপ্রবিনোবিপ্রবিযবিপ্রবিপবিপ্রবিবামেফিএশেফমফিক) ২০১৩ সালের প্রকাশিতব্য ভর্তি বিজ্ঞপ্তি লক্ষ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
  • আমাদের দেশে ফিসারিজ শব্দটি তিনটি বানানরীতি প্রচলিত যা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যথা- ফিসারিজ, ফিশারিজ, ফিশারীজ। আবার ফিসারিজের বাংলা অনুবাদেরও দুটি রূপ দেখতে পাওয়া যায়। যথা- মৎস্যবিজ্ঞান ও মাৎস্যবিজ্ঞান। তাই এ লেখায় ফিসারিজের বানান ভিন্নতায় বিভ্রান্ত না হবার জন্য অনুরোধ করছি। যে প্রতিষ্ঠান যেভাবে ফিসারিজ শব্দটি লিখে থাকে তা এখানে অক্ষুণ্ণ রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।

Visited 4,518 times, 1 visits today | Have any fisheries relevant question?
মৎস্যবিজ্ঞানে পড়তে চাইলে…

Visitors' Opinion

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.