যশোর জেলার সদর উপজেলার চাঁচড়া এলাকায় মাছের জীবন্ত খাবার টিউবিফেক্স স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ ও বিক্রয় করা হচ্ছে। চাঁচড়া এলাকায় রয়েছে বেশ কিছু হ্যাচারী, প্রচুর সংখ্যক পুকুর এবং বেশ কিছু ড্রেন। টিউবিফেক্স সংগ্রহ করা হচ্ছে এসকল ড্রেন হতে! যিনি এই সংগ্রহের কাজটি করছেন তিনি হলেন নূর আলম। তিনি ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাকে একাজে সহায়তা করে থাকে।
সংগ্রহ পদ্ধতি: জীবন্ত টিউবিফেক্স সংগ্রহের জন্য ছোট আকারের খুব সুক্ষ্ম মেশের জাল/নেট ব্যবহার করা হয়। জালের আকার ছোট হওয়ায় ড্রেনে তা সহজেই পরিচালনা করা সম্ভব হয়। প্রথমে এই জালের সাহায্যে পানির তলদেশের কাদাসহ ছেকে তুলে ফেলা হয় এবং এরপর পানিতে ধুয়ে কাদা জাল দিয়ে বের করে দেয়া হয়। ফলস্রুতিতে সুক্ষ্ম মেশের জালে শুধুমাত্র টিউবিফেক্স জমা হয়।
এভাবে নূরে আলম ও তার পরিবার দিনভেদে প্রায় ২ থেকে ২০ কেজি পর্যন্ত টিউবিফেক্স সংগ্রহ করে থাকেন। তবে বর্ষার বা বৃষ্টির সময় ড্রেনের পানি বেড়ে গেলে টিউবিফেক্স সংগ্রহের পরিমাণ কমে যায়।
সাময়িক সংরক্ষণ: সংগ্রহকৃত টিউবিফেক্স সংগ্রহের সাথে সাথে বিক্রি হয়ে যায় না। এজন্য এদের অল্পসময়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থানে সংরক্ষণ করা হয়। এজন্য মাটিতে আয়তাকার/বর্গাকার আকার প্রায় ২৫-৩০ সেমি গভীর গর্ত করা হয় এবং তার উপরে প্লাস্টিক বিছিয়ে তার উপরে পানি দিয়ে পূর্ণ করা হয়। এই পানিতে সাময়িকভাবে টিউবিফেক্সগুলি সংরক্ষণ করা হয়। জনাব নূর আলম ড্রেনের পাশেই একটি ঘর তৈরী করে নিয়েছেন তার এসকল কাজের জন্য।
বিক্রয়: প্রতি কেজি টিউবিফেক্স ১২০ টাকা দরে বিক্রয় করা হয়। প্রধান ক্রেতা চাঁচড়া এলাকায় মাছের পোনা উৎপাদনকারীরা। এছাড়া নূর আলমের কাছে থেকে রংপুর, পাবনা, রাজশাহী ও ঢাকা জেলা হতেও হ্যাচারী মালিকরা টিউবিফেক্স কিনে নিয়ে যান বলে তিনি জানান। চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত টিউবিফেক্স সরবরাহ করা সম্ভব হয় না বলেও তিনি জানান।
Visited 1,126 times, 1 visits today | Have any fisheries relevant question?