বাংলাদেশের চাষকৃত ছোট মাছের (প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় যে প্রজাতির মাছের মোট দৈর্ঘ্য ২৫ সেমি বা এর কম) মধ্যে বাটা অন্যতম যার বৈজ্ঞানিক নাম Labeo bata। হালকা নীলাভ-কাল পৃষ্ঠদেশ আর উভয় পাশ ও অঙ্কীয়দেশ রুপালী সাদা। কানকোর প্রান্ত হালকা কমলা বর্ণের আর পাখনা (বিশেষত বক্ষ, শ্রোণী ও পায়ু পাখনা) কমলা বর্ণের। সব পাখনায় কালো বিন্দু দেখতে পাওয়া যায়। বয়সের সাথে সাথে বর্ণ কম-বেশি পরিবর্তন হয়ে থাকে।
প্রধান খাবার উদ্ভিদকণা (ফাইটোপ্লাঙ্কটন), এছাড়াও গলিত উদ্ভিদ ও উদ্ভিদাংশ এবং তলদেশের পচনশীল বস্তু, জৈব পদার্থ ও জীবসমূহ খেয়ে থাকে। সাধারণত এক বছরেই প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকে। বর্ষাকালে প্লাবিত নদীতে প্রজনন করে থাকে।
তৈলাক্ত ও অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ায় মৎস্যপ্রিয় মানুষের কাছে বেশ প্রিয়। এছাড়াও বাজার মূল্য বেশি পাওয়ায় আর কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে হ্যাচারিতে এর রেনু উৎপাদন করা সম্ভব হওয়ায় চাষীদের মাঝে এই মাছের চাষ সাম্প্রতিক সময়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
প্রধানত নদীর মাছ হলেও মিঠাপানির সব ধরনের জলাশয়ে বিশেষত পুকুর, বিলে পাওয়া যায়। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতে এই মাছ দেখতে পাওয়া যায়।
তথ্যসূত্রঃ
শফি, মো. এবং কুদ্দুস, মি. মু. আ.; ১৯৮২। বাংলাদেশের মাৎস্য সম্পদ। ১ম সংস্করণ। বাংলা একাডেমী, ঢাকা, বাংলাদেশ। মো. পৃ. xii+৪৪৪।
Rahman, A K M; 2005. Freshwater Fishes of Bangladesh, 2nd Edition. Zoological Society of Bangladesh, Department of Zoology, University of Dhaka, Dhaka, Bangladesh, XVIII+394 pp.
Talwar, P.K. and A.G. Jhingran; 1991. Inland Fishes of India and Adjacent Countries. Oxford and IBH Publishing Co. Pvt. Ltd., New Delhi, India. LIV + 1158 pp.
Visited 8,547 times, 7 visits today | Have any fisheries relevant question?