উন্নয়নকল্পে পাতাটি dictionary.bdfish.org-তে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

আপনার কাঙ্ক্ষিত শব্দ খুঁজতে dictionary.bdfish.org পরির্দশন করুন।

সরীসৃপ (Reptiles)
নখযুক্ত পাঁচ আঙ্গুলধারী চতুষ্পদী শীতল রক্ত বিশিষ্ট প্রাণী যারা বুকে হেটে চলে (ইংরেজি Crawling এবং ল্যাটিন Reptilis); স্থলভাগে প্রজননে সক্ষম; ত্বক শুষ্ক, শৃঙ্গায়িত (Horny) ও আঁইশ (Scale) বা স্কিউট (Scute) দ্বারা আবৃত তাদের সরীসৃপ বলে। যেমন- কুমির, কচ্ছপ, সাপ, ডাইনোসর ইত্যাদি।

সহজাত আচরণ (Instinctive behavour)
শিক্ষা বা অভিজ্ঞতা ছাড়াই একটি প্রজাতির সকল সকল সদস্য বিশেষ উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষে বংশ পরস্পরায় যেসব সুনির্দিষ্ট আচরণ একইভাবে প্রদর্শন করে তাকে সহজাত আচরণ বলে। এই আচরণ বংশগত তথা জিন নিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট, শিক্ষা বা অভিজ্ঞতার মাধ্যমে অর্জন করা যায় না, একটি প্রজাতির সকল সদস্যের মধ্যে একইভাবে প্রকাশিত হয়, জন্মগত হলেও অনেক আচরণই জন্মের সাথে সাথে প্রকাশ না পেয়ে একটি নির্দিষ্ট বয়সে প্রকাশ পায়। যেমন- অভিপ্রয়াণ, পিতৃ-মাতৃ যত্ন, যুগলবন্দী ও মৈথুন, বিগ্রহ, খাদ্যান্বেষণ ও সঞ্চয়, পলায়ন, নিদ্রামগ্ন, ইত্যাদি।

সংবেদন (Sensation)
ইন্দ্রিয় কর্তৃক উদ্দীপক গৃহীত হবার পরপরই উদ্দীপনাটি সংবেদী বা অন্তর্বাহী স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌঁছার সাথে সাথে যে অনুভূতির সৃষ্টি হয় তাই সংবেদন। পুরো প্রক্রিয়াটি দ্রুত ও একযোগে ঘটে বলে উদ্দীপক ইন্দ্রিয়ের সংস্পর্শে আসা মাত্রই অনুভূতির সৃষ্টি হয় বা সংবেদন ঘটে। অন্যভাবে বলা যায় উদ্দীপকের উপস্থিতিতে যে অনুভূতির সৃষ্টি হয় তাই সংবেদন।

সিউডোসিলোমেট (Pseudocoelomate) প্রাণী
যেসব প্রাণীদের পৌষ্টিকনালি ও দেহ-প্রাচীরের মধ্যবর্তী তরলে পূর্ণ গহ্বর বর্তমান কিন্তু প্যারাইটাল আবরণী ও ভিসেরাল আবরণী নামক মেসোডার্মাল আবরণী অনুপস্থিত তাদেরকে সিউডোসিলোমেট (Pseudocoelomate) প্রাণী বলে আর এ ধরণের সিলোমকে সিউডোসিলোম (Pseudocoelom) বলে। যেমন- অ্যাস্কেলমিনথিস (Aschelminthes) পর্বের প্রাণী।

সিলোম (Coelom)
বহুকোষী প্রাণীদের পৌষ্টিকনালির প্যারাইটাল আবরণী ও দেহ-প্রাচীরের ভিসেরাল আবরণীর মধ্যবর্তী তরলে পূর্ণ গহ্বরকে সিলোম বলে।
যেসব প্রাণীদের পৌষ্টিকনালি ও দেহ-প্রাচীরের মধ্যবর্তী স্থান নিরেটভাবে কোষ বা কলা দিয়ে পূর্ণ থাকে তাদের অ্যাসিলোমেট (Acoelomate) প্রাণী বলে আর এ ধরণের সিলোমকে অ্যাসিলোম (Acoelom) বলে। যেমন- সিলেন্টের‍্যাটা (Coelenterata) ও প্লাটিহেলমিনথিস (Platyhelminthes) পর্বের প্রাণী। যেসব প্রাণীদের পৌষ্টিকনালি ও দেহ-প্রাচীরের মধ্যবর্তী তরলে পূর্ণ গহ্বর বর্তমান কিন্তু প্যারাইটাল আবরণী ও ভিসেরাল আবরণী নামক মেসোডার্মাল আবরণী অনুপস্থিত তাদেরকে সিউডোসিলোমেট (Pseudocoelomate) বলে আর এ ধরণের সিলোমকে সিউডোসিলোম (Pseudocoelom) বলে। যেমন- অ্যাস্কেলমিনথিস (Aschelminthes) পর্বের প্রাণী। অন্যদিকে যেসব প্রাণীদের সিলোম মেসোডার্মের অভ্যন্তর থেকে গহ্বর রূপে উদ্ভূত হয় এবং তাতে প্যারাইটাল আবরণী ও ভিসেরাল আবরণী উপস্থিত থাকে তাদের ইউসিলোমেট (Eucoelomate) প্রাণী বলে আর এ ধরণের সিলোমকে ইউসিলোম(Eucoelom) বলে। যেমন- অ্যানিলিডা (Annelida), আর্থ্রোপোডা (Arthropoda), মোলাস্কা (Mollusca), একাইনোডার্মাটা (Echinodermata) ও কর্ডাটা (Chordata) পর্বের প্রাণী।

সেন্স অর্গান (Sense organ or Receptor organ)
প্রাণী যেসব অঙ্গের মাধ্যমে দর্শন, শ্রবণ, ঘ্রাণ, স্পর্শ, স্বাদ ইত্যাদি সংবেদন পেয়ে থাকে সেসব অঙ্গকে সেন্স অর্গান বা ইন্দ্রিয় বা গ্রাহক অঙ্গ বলে। বেশীর ভাগ উন্নত প্রাণীদের চোখ, কান, নাক, ত্বক, জিহ্বা ইত্যাদি ইন্দ্রিয় বর্তমান। অনেক প্রাণীতে এগুলোর কোন কোনটি যেমন অনুপস্থিত থাকে তেমন অনেক প্রাণীতে এছাড়াও আরও বিশেষায়িত ইন্দ্রিয় উপস্থিত। যেমন- মাছের পার্শ্বরেখা অঙ্গ।

স্টিমুলাস বা উদ্দীপক (Stimulus, একবচনে Stimuli)
স্টিমুলাস বা উদ্দীপক পরিবেশের এমন পরিবর্তন যা প্রাণীর ইন্দ্রিয় কর্তৃক সনাক্ত হবার পর সংবেদী বা অন্তর্বাহী স্নায়ুর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে পৌঁছায় এবং ফলাফল হিসেবে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পায়। প্রাণী দেহের অভ্যন্তরীণ পরিবেশের পরিবর্তন (যেমন-পাকস্থলীর পেশীর সংকোচন) উদ্দীপক হিসেবে কাজ করলে তাকে অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক এবং প্রাণীদেহের বাহ্যিক পরিবেশের পরিবর্তন (যেমন-তাপমাত্রা বাড়া, বাতাসের প্রবাহ বাড়া ইত্যাদি) উদ্দীপক হিসেবে কাজ করলে তাকে বাহ্যিক উদ্দীপক বলা হয়। এখানে বিশেষভাবে স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে, পরিবেশের যে কোন পরিবর্তনই উদ্দীপক নয় (যদি না তা ইন্দ্রিয় কর্তৃক সনাক্ত হতে পারে) আবার পরিবেশের একই ধরণের পরিবর্তন সবার জন্য উদ্দীপক নাও হতে পারে। যেমন- বধির ব্যক্তির ক্ষেত্রে তীব্র শব্দের উপস্থিতি কোন উদ্দীপক নয়।

স্নায়ু-রজ্জু (Nerve cord)
কর্ডেটদের ভ্রূণীয় এক্টোডার্ম থেকে উদ্ভূত পৃষ্ঠদেশের লম্বা অক্ষ বরাবর বিস্তৃত ফাঁপা নালীর মত গঠন যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অন্যতম অংশ। করোটিধারী কর্ডেটের দেহের সম্মুখদিকে অবস্থিত স্নায়ু-রজ্জুর অগ্র প্রান্ত মস্তিষ্কে রূপান্তরিত হয়।

 

এই পাতাটি উন্নয়নকল্পে dictionary.bdfish.org-তে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এর উন্নয়নে অংশ নিতে পারেন আপনিও। আপনার কাঙ্ক্ষিত শব্দটি পাঠিয়ে দিন add-word@bdfish.org ইমেইল ঠিকানায়।


Visited 1,543 times, 1 visits today | Have any fisheries relevant question?
মাৎস্য শব্দকোষ: স

Visitors' Opinion

এ বি এম মহসিন

প্রফেসর, ফিশারীজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী-৬২০৫, বাংলাদেশ। বিস্তারিত ...

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.